Rytro विष्ट्राँड-ब्रश्नांदनौ ষেশামোশি ও আলাপ পরিচয় হয়ে গেল। তঁর পৈতৃক জামা-জমি অনেক মাকি ফঁাকি দিয়ে দখল করেছে, আমাদের সাহায্যে এবার যদি সেগুলোর একটা গতি হয়- এই সব ধরনের কথা তিনি আমাদেৱ প্ৰায়ই শোনাতেন। আমি সেখানে বেশীদিন ছিলুম মা , খানাপুৰীয় কাজ আরম্ভ হয়ে গিয়েছে, আমি সেদিনই জেলায় ফিরব-জোয়ারের অপেক্ষায় নৌকা ছাড়তে দেৱী হ’তে লাগল। চক্রবর্তী মশায়ও সেদিন উপস্থিত ছিলেন। কথায় কথায় জিজাসা করলুম, এটাকে বউ-চণ্ডীর মাঠ বলে কোন চাকতি মশাই ? আপনাদের কি কোন • • নৃপেনবাবুও বললেন-ডাল কথা বলুন তো চক্ষত্তি মশাই, বউ-চণ্ডী আবার কি কঁখাশুনিনি তো কখনো । আমাদের প্রশ্নের উত্তরে চক্রবর্তী মশায়ের মুখে একটা অদ্ভুত গল্প শুনলুম। তিনি বলতে লাগলেন-শুনুন তবে, এটা সেকালের গল্প। ছেলেবেলায় আমার ঠাকুরমার কাছ থেকে শোনা। এ অঞ্চলের অনেক প্রাচীন লোকে এ গল্প জানে। সেকালে এ গ্রামে এক ঘর সম্পন্ন গৃহস্থ বাস করতেন। এখন আর তাঁদের কেউ নেই, তবে আমি যে সময়ের কথা বলছি সে সময় তাদেব বড় শরিক পতিতপাবন চৌধুরী মহাশয়ের भूब बांशझांक ईिल । এই পতিতপাবন চৌধুৰী মহাশয় যখন তৃতীয় পক্ষেয় বিয়ে ক’রে বউ ঘরে আনলেন, তখন তঁায় বায়ুস পঞ্চাশ পাব হয়ে গিয়েছে। এমন যে বিশেষ বয়স তা নয়, বিশেষত ”ভোগের শরীয় -পঞ্চাশ বছর বয়স হ’লেও চৌধুরী মহাশয়কে বয়সের তুলনায় অনেক ছোট দেখাত। বউ দেখে বাষ্ঠীর সকলেই খুব সস্তুষ্ট হ’ল। তৃতীয় পক্ষের বিয়ে ব’লে চৌধুরী মশায় একটু ভাগর মেয়ে দেখেই বিয়ে কবেছিলেন, নতুন বউয়ের বয়স ছিল প্ৰায় সতেরোব কাছাকাছি। বউয়েব মুখেয় গড়নটি বড় হুন্দর, মুখেৰ ছাঁচ যেন হরতনের টেক্সাটির মত। চোখ দুটি বেশ ডাগর, ভাসা ভাসা মুখে চোখে ভারি একটা শান্ত ভাব। নতুন বউয়ের কাজ-কৰ্ম্ম আর ধীর শান্ত ভাব দেখে পাড়ার লোকে বললে, এ রকম বউ এ গাঁয়ে আর আসেনি। সে মাটির দিকে চোখ রেখে ছাড়া কথা বলে না, অল্প বয়সের খুড়-শাশুড়ী দলের সামনেও ঘোমটা দেয়, সকলে বললে, যেমন লক্ষীয় মত রূপ তেমনই গুণ । মাস দুই-তিন পরে কিন্তু একুটা বড় বিপদ ঘটিল। সকলে দেখলে বৌটির আর সব ভাল বটে, একটা কিন্তু বড় দোষ। সে কিছুতেই স্বামীর ঘোষ নিতে চায় মা, প্ৰাণপণে এড়িয়ে চলতে চায়। প্রথম প্ৰথম সকলে ভেবেছিল, নতুন বিয়ে হয়েছে, ছেলেমানুষ, বোধহয় সেই জন্ধেই এ রকম করে। ক্রমে কিন্তু দেখা গেল, স্বামী কেন, যে কোন পুরুষমানুষ দেখলেই সে কেমন যেন ভয়ে কঁপে । বাড়ীতে যেদিন বিভিন্ন কি কোন বড় কাজ-কৰ্ম্মে বাইয়ের লোকের ভিত্যু হয়, সেদিন সে ঘর থেকে আর বারই হয় না। স্বামীর খয়ে কিছুতেই তো যেতে রাজী হয় না, মাসে দু’দিন কি একদিন সকলে আমার করে গায়ে হাত বুলিয়ে পাঠাতে যায়, সে
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।