পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব-বৃন্দাবন কর্ণপুর সংসার ছাড়িয়া বৃন্দাবন ঘাইতেছিলেন। সংসায়ে তাহার কেহই ছিল না। স্ত্রী পাঁচ-ছয় বছয় মায়া পিয়াছে, একটি দৃশ বৎসরের পুত্র ছিল, সেও গত শরৎকালে শারদীয় পূজার অষ্টমীর দিনে হঠাৎ বিস্তুচিকা রোগে দেহত্যাগ করিয়াছে। সংসারের অঙ্ক বন্ধন কিছুই নাই। বিষয়-সম্পত্তি যাহা ছিল, সেগুলি সব জ্ঞাতিDDBD DBBDBDLD BBBDB DDBYB DBYgD DiuiSugD DD BBDD KDBD বঁধিয়া লইয়া কৰ্ণপুর পদব্ৰজে বৃন্দাবন যাইবার জন্য প্ৰস্তুত হইলেন। কর্ণপুরের জন্মপল্পী অজয় নদের ধারে। তিনি পরম বৈষ্ণবের সন্তান। অজয়ের জলের গৈরিক দুই তীরের বন-তুলসী মঞ্জরীর ব্ৰাণে কোন শৈশবেই তার বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে মানসিক দীক্ষা DD D DBBB BD gYL BBD BBD BBBDSDDBBBD DDDDD DDz স্মৃতি ও বৈস্তুকণাস্ত্রও পড়াইয়াছিলেন। ছাত্রেরা দেখিত তাহাদের অধ্যাপক মাঝে মাকে ঘিরে দুয়ার বন্ধ করিয়া সমস্ত দিন কঁদেন। পাগল বলিয়া অখ্যাতি রটাতে ছাত্রেরা ছাড়িয়া গেল, প্রতিবেশীরা তাচ্ছিল্য করিতে শুরু করিল, তাহার উপর প্রথমে স্ত্রী, তৎপরে পুত্রের মৃত্যু। সংসারের উপর কর্ণপুর নিতান্থই বিরক্ত হইয়া উঠিলেন। যাইবার সময় জ্ঞাতি-ভ্ৰাতা। রসরাজ আসিয়া মায়াকাল্লা কঁদিল, গ্রামের এক ব্ৰাহ্মণ বহুদিন ধরিয়া কৰ্ণপুরের নিকট ঋণ গ্ৰহণ করিয়াছিল এবং তাহার পর হইতেই সে র্তাহাকে বাজিজানে শত হস্ত দূরে রাখিয়া চলিয়া আসিতেছিল। আজ যখন সে দেখিল কর্ণপুর সত্য সত্যই বাহির হইয়া যাইতেছেন, ফিরিবার কোন আশঙ্কাই নাই, তখন সে আসিয়া মহা পীড়াপীড়ি শুরু করিল-আয় কয়েকটা মাস থাকুন, যে করিয়া পারি ঋণটা শোধ করিয়া ফেলি, কারণ ঋণ পাপ ইত্যাদি। উদারচিত্ত কর্ণপুর এসব কপট প্ৰবন্ধ বুঝিলেন না। তিনি রসরাজকে তাহার প্রার্থনা মত তাল-দীঘির পাড়ের আহুধায়ের একটুকরা উট গষ্ট ভূমি দানপত্র করিয়া দিলেন । ব্ৰাহ্মণ অধমৰ্গকে বলিলেন-এক কড়া কড়ি আন ভয়া, গ্ৰহণ করিয়া তোমায় ঋণমুক্ত করি। আপনার বলিতে কেহ না থাকায় গ্রাম ছাড়িয়া যাইবার সময় তাহার জন্য সত্যকারী ভাবনা কেহই ভাবিল না। শৈশব-স্মৃতির প্রথম দিনটি হইতে পরিচিত মাটির চণ্ডী-মণ্ডপ, স্বহস্তুেরোপিত কত ফল-ফুলের গাছ, কত খেলা-ধূলার জন্মভিটার আদিম৷ পিছনে ফেলিয়া চলিলেন, ফিরিয়াও চাহিলেন না, শুধু গ্ৰামসীমার অজয়ের ধারে গিয়া কৰ্ণপুত্ব একটুখানি দাড়াইলেন - অজয়ের ধারে প্রাচীন শিরীষ গাছের তলে গ্রামের শ্মশান, কয়েকমাস পূৰ্ব্বে তিনি মাতৃহীন বালক পুত্রটিকে এইখানে যাহা করিয়া গিয়াছেন। অজয় আর বাড়ে নাই, সুতরাং সে চিতার চিহ্ন এখনও একেবারে বিলীন হয় নাই। তার কচি মুখের অবোধ হাসিটুকু মনে পড়িয়া গেল, মৃত্যুর পূর্বে স্বালকটে বড় যন্ত্রণ পাইয়াছিল, সে সময়কার তাঁর আতঙ্কে আকুল অসহায় দৃষ্ট্রি মনে পড়িল। কর্ণপুর অবাক হইয়া অজয়ের ওপারে দৃষ্টি নিবন্ধ করিয়া অনেকক্ষণ দাড়াইয়া রছিলেন।-ধুধু গৈরিক বালুয়াশির শষ্যায় জীৰ্ণ গীৰ্ণ নদ অবসন্ম দেহ প্রসারিত করিয়া