পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وليمالا পখিকেরা, পথে ছড়িয়ে” আছে জামের আঁটি। ধুলি-কদম্বের স্তবকে জেগেছে গ্ৰাম্য দেহের পুলক। * আর একটা গ্রামে দেখতে পেলেন, শ্লৈী উন্ম - বালির বড়ার গায়ে ভিজে কাপড় জড়িয়ে রৌদ্রে রেখে ঘড়ার জল শীতল করা জালায় গায়ে শৈবালের প্রলেপ দিয়ে ঠাণ্ড করা হচ্ছে জল ; ছোট-ছোট দ্বড়ার ভিতর পারুল ফুল, কিছু লাল চিনি, কাপুরের মেশানি দিয়ে রাখা হয়েছে। জল-ঘটিকার মুখগুলিকে বাধা হয়েছে ক্ষৌমবস্ত্রের মধ্যে পাটল ফুলের সঞ্চয় দিয়ে,-হবে মুখপান। অঙ্ক গ্রামে যেতে-খেতে চোখে পড়লপথের ধারে ৱ’য়েছে অনেক জলসত্ৰ, প্রপা, অনেক পানীয়-শাল । সেখানে বিশাল-বিশাল জলশালায় শিখরগুলি আবৃত রয়েছে আমের শিশু-পল্লবের সন্ধস সমাৱোহে। রৌদ্র ক্লান্ত পথিকেরা সেখানে পান করে শীতল জল, এবং আর্দ্র করে নেয় শ্ৰান্ত মস্তকের চীৱ-বাস । এই বিজয়াভিযানের পথে কত যে গ্রাম, গণ্ডগ্ৰাম, দুর্ভিক্ষের ইতিহাস, সুখের সংসার, আনন্দিত শোভা শ্ৰীহৰ্ষদেবের চোখে পড়ল, তার ইয়াত্তা নেই। এ যেন একটি আয়ণ্য আর গ্ৰাম্য দিগন্ত-দর্শন । [এর পরে বর্ণনা আছে বিভিন্ন গ্রামের-লোহারদের, কাঠুরিয়াদের, বন-গ্ৰাম প্রান্তে ব্যাধদের আর পাখমারদের বসতির, আর তার পরে নানা প্ৰকার বনজ বাকল ফল ফুল ভুলার-চার, শণের মূল অতিশী-পাটের গােট, আরণ্য মধু, মোমের মালা, বাঁকে-কোলানো লামধুক ফুলের জটিল জটা, খাদির গাছের বাকল-ছাড়ানো ছোট-ছোট ডাল, সুগন্ধি কুষ্টিলতা আর লোৱা ফুলের ভার, ফলের পেটী-জঙ্গল থেকে এই সব সংগ্ৰহ ক'রে ভারীরা মাথায় বা বঁাকে ক’রে কাধে নিয়ে চলেছে, বিক্রীর উদ্দেশ্যে । তার পরে- ] ভিন্ন গ্রামে যখন পৌছুলেন শ্ৰীহৰ্ধদেব, তখন তার বিস্মিত নেত্ৰে প্ৰস্ফুটিত হ’ল বিরুক্ষে ক্ষেত্রের অনুর্বর দুর্বল রূপ । “আরক্ষণ-নামক রাজকর্মচারীরা সেই সব ঊষর জমির সংস্কার কাৰ্য্যে দণ্ড-হস্তে ব্যাপৃত । শক্ষিত চৱণে অন্তৰ্ধান ক’বৃছে অরণ্য-হরিণের। হেলা ভরে পালিয়ে’ যাবার কি সুন্দরী তাদের গতিলীলা ! অত বড়-বড় উচু বঁশের বেড়াগুলোও উদ্দাম উল্লম্বন্ধনে টপকিয়ে’ পালাচ্ছে। পথ জুড়ে চলেছে সহস্ৰ সহস্ৰ শকটের শ্রেণী, আকাশ্ম অন্ধকার ক’রে উঠছে শকটের ধূলি । ক্ষেত-সংস্কায়ের জন্য গাড়ী বোঝাই ক’রে সারা চলেছে। সায়-সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে-পুরাতন পাশ, পচা পাতার সার, এবং কালো ঘুটের সারি।-- Øሻፃ፻፷5 ርሢ∂ጻ ፦-- গ্রামবাসীদের খড়ের ঘর। তার পাশে নিয়ন্তরে অশ্বথ গাছের ছায়া। উপকণ্ঠে সন্ধারে স্বাচিত হয়েছে ইক্ষর ক্ষেত্র-দেখাচ্ছে যেন এক-একখানি বাধানো পায়া ।