পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৩

ee रिट्रडि-ब्रध्नांदनी কি পাই উড়ে চলেছে। কানিস ভাঙা ছাদের ফাটলে কোথায় ঘুঘুৱে তাকী-উঠানের ছায়ালিখা বাতাস শুকমো কুলের গন্ধে ভরপুর • • • খোকার সেই ঠেলাগাড়ীখানা দেখলুম-কাঠের মাচার নীচে তোলা আছে। ঘড়িটা vvs vgfs Stes - . বহুকালের কথা হলেও আমি কিন্তু চোখ বুজে ছাবলেই দেখতে পাই-কতকাল আগেকার আট বৎসরের সেই ছোট খোকাটি ঠেলাগাষ্ঠীটা টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছে। নিজনি দুপুরে ঘুঘূয় ভাকের মধ্যে বাড়ী থেকে বেরিয়ে পালেদের জামরুল বাগানের ছায়ায়--- আমাদের বড় মাদার গাছটার তলাকার পথ দিয়ে, রাঙা মুখে আশা ও আনন্দ-ভরা উজ্জল চোখে সে তার কেঙ্কোসিন কাঠের গাড়ীখানা টেনে টেনে নিয়ে আসছে “লারিকেলতলা বেয়ে-পটুদের বড় দো-ফলা আম গাছটার তলা বেয়ে-যেতে যেতে ক্ৰমে তার মুক্তি মাইতিপুকুরের মোড়ের পথে সুপারি গাছের সারির আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যায়।-- পুই মাচা সহায় হরি চাটুধ্যে উঠানে পা দিয়াই স্ত্রীকে বলিলেন-একটা বড় বাটি কি ঘটি যা হয় কিছু দাও তো, তারক খুড়ো গাছ কেটেছে, একটু ভাল। রস আনি । স্ত্রী অন্নপূর্ণ খড়ের রান্নাঘরের দাওয়ায় বসিয়া শীতকালের সকাল বেলা নারিকেল তেলের বোতলে কাঁটায় কাটি পুরিয়া দুই আঙ্গুলোর সাহায্যে কাঁটার কাটলগ্ন জমানো তৈলটুিকু সংগ্ৰহ করিয়া চুলে মাখাইতে ছিলেন। স্বামীকে দেখিয়া তাড়াতাড়ি গায়ের কাপড় একটু টানিয়া দিলেন মাত্র, কিন্তু বাটি কি ঘটি বাহির করিয়া দিবার জন্য বিন্দুমাত্র আগ্ৰহ তো দেখাইলেনই না, এমন কি বিশেষ কোম কথাও বলিলেন না । সহায় হরি অগ্ৰবৰ্ত্তী হইয়া বলিলেন--কি হয়েছে, বসে রইলে যে টু দাও না একটা ঘাটি ? আয়, ক্ষেণ্ডি টেস্তি সব কোথায় গেল এয়া ? তুমি তেল মেখে বুঝি ছোবে না ? অন্নপূর্ণ তেলের বোতলটি সরাইয়া স্বামীর দিকে খানিকক্ষণ চাহিয়া রহিলেন, পরে অত্যন্ত শান্ত স্থয়ে জিজ্ঞাসা করিলেন-ভূমি মনে মনে কি ঠাউরেছ বলতে পাৱ ? স্ত্রীর অতিরিক্ত রকমের শান্ত সুরে সহায় হরির মনে ভীতির সঞ্চায় হুইল-ইহা ৰে বাড়ের অব্যবহিত পূর্বের আকাশের স্থিরভাব মাত্র, তাহা বুধিয়া তিনি মরিয়া হইয়া বাড়ের প্রতীক্ষায় রছিলেন। একটু আমৃতা আমূতা করিয়া কহিলেন-কেনি-কি আবার-কি- অন্নপূর্ণ পূৰ্ব্বাপেক্ষাও শাস্তুহুরে বলিলেন-দেখ, য়াদ কোয় না বলছি।--ভাকামি করতে হয়। অঙ্গ সময় কোর। তুমি কিছু জান মা, মাকি খোজয়াখ না ! অত বড় মেয়ে যার ঘরে, সে মাছ ধরে আর রস খেয়ে দিন কাটায় কি করে তা বলতে পায়? গাঁয়ে কি গুজব রাটেছে জােন?