'N মানুষেরই দৃষ্টিভঙ্গী। ধীরে ধীরে নগরবাসী সভ্য নরনারীর মনে এই দৃষ্টিভঙ্গী এখন প্ৰতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে, এর কারণ হ’চ্ছে, মানুষের নিবাসস্থান এখন আব অরণ্যের আওতায় নেই। মানুষ এখন প্ৰকৃতিীয় সস্তান নয়, নিজেকে প্রকৃতির সন্তান মনে কয়ে না । সে মনে করে, প্ৰকৃতি তার দাসী, আর বিধি বা নিয়তি অথবা অঙ্গাত কোনও শক্তির দ্বারা নির্দিষ্ট, প্ৰকৃতিব কাজ হচ্ছে, নানাভাবে যন্ত্রবলে বলীয়ান মানুষের সেবা করা । বিভূতিভূষণের “আরণ্যক”-এ দুটি মনোবৃত্তির মিলন দেখতে পাই-প্রথমতঃ, প্রকৃতির মধ্যে সম্পূর্ণভাবে আত্মহারা হয়ে তিনি যেন নিজেকে নিবেদিত ক’রে দিয়েছেন, আর যেন প্ৰকৃতির একটা অংশই হয়ে গিয়েছেন ; আর সঙ্গে সঙ্গে "মেঘদূত"-এ কালিদাস যে শক্তি দেখিয়েছেন, সেই শক্তিরও অধিকারী তিনিও যেন হয়েছেন । তঁর সম্বন্ধেও ব’লতেও ‘রা যায়-তিনি নিজেকে বিশ্বপ্ৰকৃতি আর পৃথিবী থেকে আলাদা ক’রে নিতে পেরেছেন, আব্ব তার ফলে প্ৰকৃতিব সৌন্দৰ্য, তার বিরাট ভাব, আর তার সর্বন্ধরত্বের অনুভূতিও যেন পৃথিবীর বাইরে দাড়িয়ে দেখতে পাচ্ছেন, পৃথিবীর প্রতি শ্ৰদ্ধা ও তার সঙ্গে একাত্মতা না ভুলেণ্ড । প্ৰকৃতির সম্বন্ধে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গী নিশ্চয়ই আদিম মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীর চেয়ে আরও মার্জিত, আর সত্যকার সৌন্দৰ্য্যপিপাসুর দৃষ্টিভঙ্গী। শিক্ষিত দার্শনিক মনোভাবের মানুষ অবশ্য এখন আর কেবল Conquest of LLtLlLCCL uBDB YK YB BBYD DDS DB DSDBBD S SuBB ESBOSYYuBBD BBD জেনে নিয়ে, আরও পূর্ণভাবে প্রকৃতির দান সংগ্ৰহ করা, উপভোগ করা-এই হ’চ্ছে আধুনিক বৈজ্ঞানিক মানবের কৃতিত্ব-প্ৰকৃতির সৌন্দর্ঘ্যের কথা না ভুলেণ্ড । প্ৰকৃতির সম্বন্ধে তার ষে মনোভাব তার মধ্যে আমরা একটা গভীর বেদনার অনুভূতি যেন পাই-মানুষের সর্বভুক। আকাঙ্ক্ষাবি কাছে প্রকৃতিকে, পৃথিবীকে ধৈৰ্য সম্পূর্ণভাবে আত্মসমৰ্পণ করতে হচ্ছে, এটা তার মনোবেদনার মূল কথা । “আরণ্যক” বইখানিয়া পরিসমাপ্তিতে তিনি তঁর মনের এই ব্যথাকে প্ৰকাশ ক’রেছেন । মানুষের দরকারের তাগিদে নৃত্যুন-নূতন মানব-বসতি স্থাপিত করবার জন্যে আদিযুগের অরণ্যকে তিনি যে নিশ্চিহ্ন কি’রতে সাহায্য করেছেন, সে-জাঙ্কে দুষ্ঠায় মনের অনুশোচনা তিনি চেপে রাখতে
- ाgछन् नि :
নাঢ় বইহারের সীমানা পায় হইয়া পাখী হইতে মুখ বাড়াইয়া একবার পিছনে ফিরিয়া চাহিয়া দেখিলাম । বহু বন্তি, চালে চালে বসত, লোকজনের কথাবাৰ্ত্তা, বালক-বালিকায় কলহান্ত, চীৎকার, গরু-মহিষ, ফসলের গোলা। ঘন বন কাটিয়া আমিই এই হাস্তাদীপ্ত শািন্তপূর্ণ জনপদ বসাইয়াছি ছয়-সাত বৎসরের মধ্যে। সবাই কাল তাঁহাই বলিতেছিলা-বাবুজী, আপনার কাজ দেখে আমরা পৰ্য্যন্ত অবাক হয়ে গিয়েছি, নাঢ়ি লবটুলিয়া কি ছিল আর কি হয়েছে। কথাটা আমিও ভাবিতে তাৰিতে চলিয়াছি। নাঢ়ি লবটুলিয়া কি ছিল আর কি tu !