পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هلته ډ ঢোকাতে লাগলেন । তাতে তিনি এই অলৌকিক রহস্তে পূর্ণ বিশ্বাসের জোরের সঙ্গে আমায় বলেন, “গাঁজাখুরি নয়, সব সত্যি। এ আমার অভিজ্ঞতার ফল।” এই বিশ্বাস তীকে মৃত্যুর সম্মুখীন অবস্থায়ও ভিয়ে তীত হ’তে দেয় নি। প্ৰশাস্তু ভাবে তিনি মৃত্যুর প্রতীক্ষায় ছিলেন। বিভূতিবাবুকে আমরা প্রকৃতির পূজাৱী, বন-পাগলা কবি, নৈসর্গিক সৌন্দর্ঘ্যের ভ্ৰষ্টা আর সাহিত্যে তার অষ্টা ব'লেই জানতুম, শ্ৰদ্ধা ক’ল্পতুম-কিন্তু তিনি যে এইভাবে নিজ জীবনের এক Philosophy, নিজের বিশেষ দর্শন বা দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে নিয়ে তারই আধারে স্থিতপ্ৰজা, স্থিতধী হয়ে ছিলেন, তার খবর আমার জানা ছিল না। এইরূপ কোনও জিনিস জীবনে না পেলে, মানুষ শোকাতীত দুঃখজয়ী হ’তে পারে না যং পবিধ চাহপয়ং লাভম মঙ্গতে নাহধিকং ততঃ। যস্মিন স্থিতো ন দুঃখেন গুরুণাগুপি বিচালাতে ॥ এ জিনিস তিনি যে পেয়েছিলেন, মুত্যুর সম্মুখীন হ’য়ে তিনি তঁর অবিচলিত ব্যবহারে তা আমাদেৱ দেখিয়ে” গিয়েছেন। তিনি এখন আমাদের নাগালের বাইরে-নইলে তঁকে ধরে সেই ধনের সন্ধান চাইতুম, যে ধনে ধনী হয়ে তিনি মৃত্যুকে উপেক্ষা ক’রে যেতে পেরেছেন। রবীন্দ্রনাথের রূপকথায় যে আছে, স্বর্গের অপর এসে যখন দেখা দিয়েছিল কালো মেয়ের রূপে, তখন কেউ তাকে চিনতে পারে নি। কিন্তু যখন সে চিরতরে চলে গেল, তখন তার আসল রূপের একটু ঝলক দেখিয়ে সে চলে গেল। বিভূতিবাৰু কি সেই ধরনের গুপ্তসাধক বা উপলব্ধিযুক্ত আত্মা ছিলেন, যিনি নিজের সত্য রূপকে লোকচক্ষুর অস্তুরালে গোপন ক’রে রেখে আমাদের ধোঁকা দিয়ে গিয়েছেন ?” কতদিন ধ’রে বিভূতিবাবুর সঙ্গে আমার পরিচয়, তার সূত্রপাত কবে, সে কথা আমার মনে নেই, তায় হিসাব নেই ; তবে বোধ হয়, বিশ বছরের বেশী হবে তীয় সঙ্গে প্ৰথম পরিচয় । মনে হয়, তঁকে তো বরাবরই চিনি। “পথের পাঁচালী” যখন ধারাবাহিক রূপে “বিচিত্ৰা”য় বা’র হত, তখন মাঝে-মাঝে পড়তুম-চমৎকার লাগত। তার পরে যখন “পথের পাঁচালী” বেরিয়ে গেল, রসঙ্গ সাহিত্যিক মহলে বিভূতিবাবুর স্বান হয়ে গেল, তখন “প্রবাসী’তে “পথের পাঁচালী’র দ্বিতীয় পর্ব “অপরাজিত” বা’র হাতে লাগল। আমার মনে আছে, ছাত্রাবস্থায় যে অধীর আগ্রহে “প্রবাসী’তে রবীন্দ্রনাথের রচনা, প্ৰভাত মুখোপাধ্যায়ের রচনা পড়তুম, সেই আগ্রহে উক্ত কালে মাস-মােস “অপরাজিত” পড়বার অপেক্ষায় থাকৃতুম। আমার নিজের কাছে “অপরাজিত"কে বিভূতিভূষণের সর্বশ্ৰেষ্ঠ বই বলে মনে হয় ; আর এর মধ্যে অণুর বিবাহের আর বিবাহিত জীবনের যে মনোজ ছবি বিভূতিভূষণ একে গিয়েছেন, সেটিকে বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ Tove Idyl বা প্ৰেম-চিত্রের অন্যতম বলে আমায় মনে লেগেছে। ভনে খুশী হয়েছি, বিভূতিভূষণের নিজের বিশ্বাসও ছিল যে “অপরাজিত” তীব্র YBL BBBBBSS SBB BBSt LBBBu SSiDBBDDBBuS iBBB BBB BBB BY DL SsLL মাজুষেয় স্থান একটু বেশী বলে । বিভূতি বন্দ্যর সঙ্গে প্ৰথম মালাপের সন-তারিখ স্থান-কাল মনে নেই-বোধ হয় তখন