পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VN दिंडूलि-ब्रश्नांबर्गी -অসীম শৃঙ্গ পায় হয়ে কোটি কোটি অজ্ঞাত নক্ষত্ৰলোকের দেশে দেশে। সময়ের ফুয়াশা ভেদ করে তাদের মন ফিরে যায় একেবারে পৃথিবীর সে-যুগে যখন মানুষস্থাটি আরম্ভ হয় নি, আলাজঙ্গলে অজ্ঞাত ভীষণ-দর্শন অধুনালুপ্ত অতিকায় প্রাণীদের সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞাত গাছপালায় ভয়া অনাদিম যুগের জঙ্গলে। এই জগতে সবচেয়ে বড় আনন্দ হচ্ছে অজানার আনন্দ-জানা জিনিসে কোনো সুখ নেই। এই নতুন জিনিসের আনন্দ, অজানার আনন্দো বিশ্বজগৎ ভরা। মানুষের সঙ্কীর্ণ ইন্সিয়: শক্তির চারপাশ ঘিরে, তার চোখের সামনে, তার কানোয় সামনে, তার অনুভব ও স্পর্শশক্তির সামনে, তার মনের সামনে অনন্তু অসীম রহস্যময় অজানায় মহাসাগর। তার দূর দিক্‌চক্ৰবালের ওপারে ঘন ঘন আবছায়া কুয়াশায় অস্পষ্ট কজোলিও শোনা যায় না-এত দূর সেদিক । এই অসীম অজানা সাগর মানুষকে অজানার আনন্দ দেবার জন্য যেন তার চারধার ঘিরে আছে। কে আছে যার সাহস, বুদ্ধি, মন এত দৃঢ় যে অজানার দরিয়ায় পাড়ি জমাতে চলে ? কুল আঁকড়ে তো সকলেই পড়ে রইল। দিকৃদিশাহারা অকুল-রহস্য মহাজলধিতে কে ‘বাচ’ খেলতে চলবে।-কোথায় সে বীর ব্রাতা, মুক্ত আত্মা ? সংসারের ধূলায় পড়ে সবাই সুটোপুটি খাচ্ছে-ত্বদের হিসাবে দিন যাচ্চে, গাজা গেয়ে আনন্দলাভের চেষ্টা করছে, সংসারের সবাই আনন্দকে খুঁজছে। কিন্তু আনন্দের জলধি যে সামনে অক্ষুন্ন রইল। তার দিকে তো চাইবে না। সে উচ্চ আনন্দের ভাণ্ডারকে ব্যবহার করবার মত শিক্ষা-দীক্ষা সকলোয় থাকে না, অধিকায় সকলের থাকে না । এই জন্যই মনে হয় সংসারে কাউকে ঘৃণা করতে হবে না। মানুষ এই উচ্চ ব্রাত্য, আনন্দের খবর না জানতে পেরেই অ-মুখে হিংসায় ধূলায় কাদায় পড়ে লুটোপুটি খায়। স্বাৰ্থদ্বন্ধে নিজের সুখ খুজতে নিজেকে আরও হীন, অসুখী করে তোলে। তাদের দোষ নেই। হতভাগ্য তারা-সকলে আনন্দকেই খুজছে। কিন্তু শিক্ষা-দীক্ষার অভাবে আনন্দের পথ না জেনে ভুল পথ ধরেছে। শুধু অবগুণ্ঠনময় বিশ্বজগতের অনন্ত রহস্য-লোকের অজানা জীবনানন্দের পথ দেখিয়ে দেবার কেউ নেই বলেই তারা এমন হয়েছে। নইলে একবার চোখ ফুটলে তারা সকলেই ঠিক পথই ধরত, কারণ নিজের ভাল পাগলেও বোঝে। কেউ নেই -কেউ নেই-তাদের মুখের দিকে চাইবার কেউ নেই। কোন মুক্তপুরুষ অনন্ত অধিকারের বাৰ্ত্তা নব-আনন্দের তড়িৎ লেখায় তাদের উপেক্ষিত অমৃদ্ধ বুভূক্ষ্যণীর্ণ প্ৰাণে পৌঁছে দেবে ? ? | RefsÇANKI, xat হঠাৎ জানালার ধারে এসে দাড়ালাম-বাইয়ে শীত কমে গেছে।--জ্যোৎক্ষসিক্ত লম্বা ছায়া পড়েছে—আলো আঁধারে গাছগুলোয় লম্বা লম্বা ছায়া-মনে হোল এই ৰে হুন্দর পৃথিবী, এই জ্যোৎসা ছায়া, ঐ রহস্যময় চিন্তু পাঁচশো বছর পরে কোথায় থাকবে ? ঐ দুয়ে যে কুকুরটা ঘেউঘেউ করছে, এই বঁাশঝাড়ের বঁাশগুলো-আজ যায় সব জীবন্ত