পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न्यूडिन्छ cन्नथा *y আবছায়া। সামনের তালবনগুলো অন্ধকারে কি অদ্ভুত দেখাচ্ছে! চারধারে একটা গভীরতা, অপরূপ শাস্তি, একটা দুরবিসণিত ইন্দিত। এই স্থানটা কি জানি আমার কেন এত ভাল লাগে ! ধখনই আমি এখানে সারাদিন পরে আলি তখনই আমার মনে হয় আমি সম্পূর্ণ অন্য এক জগতে চলে গিয়েছি। এই গাছপালা, মটরলতা, পাখীর গান, সন্ধ্যাকাশে বর্ণের ইন্দ্ৰজাল-এ অন্য জগৎ-আমি সেই জগতে ডুবে থাকতে চাই-সেটা আমারই কল্পনায় গড় আমারই নিজস্ব জগৎ, আমার চিন্তা, শিক্ষা, কল্পনা, স্মৃতি সব উপকরণে গড়া । নীচের জলাটা যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগের জল-সেখানে অধুনালুপ্ত হিংস্ৰ অতিকায় সরীসৃপ বেড়াতো- সামনের অন্ধকার বনগুলি কয়লার যুগের আদিম অরণ্যানী-আমি এই নিস্তৰ সন্ধ্যায় দেখি কত রহস্য, কত অপরূপ পরিবর্তনের কাহিনী, কত কার ইতিহাস ওতে আঁকা, কত যুগযুগের প্রাণধারার সঙ্গীত। DD DBBD BD DBB BDB BBBDBB DD BD DDD DDDS BDBE BDBD M করেছিলাম। একটু বিশ্লেষণ করে দেখলাম। এই রকম করে বলা যেতে পারে—শৈশব তো সকলেরই সন্ম-ওতে ভাববার কি আছে ! এ আর নতুন কথা কি ? তা নয়। এই ভেবে দেখাটাই আসল । *না ভাবলে ভগবানের সৃষ্টি মিথ্যা হয়ে পড়ে। জগতে যে এত সৌন্দৰ্য্য তার সার্থকতা তখনি যখন মানুষ তাকে বুঝবে, গ্ৰহণ করবে, তা থেকে আনন্দ পাবে। নইলে আকাশের ইথারে তো চব্বিশ ঘণ্টা নানা ভাবের স্পন্দন চলছে, কিন্তু যে বিশিষ্ট ধরনের সম্পন্দনের ঢেউ এর নাম সঙ্গীত তা এত আনন্দদায়ক হ’ল কেন ? দিনের পর দিন সূৰ্য্য অস্ত যায়, পাখী গান করে, খোকাথুকিরা হাসে— যদি কেউ না দেখতো, না শুনতো SLTDB DDB DD D DmmD DDDDB BLBBB BBD BBB KBDDBDB SDB মানুষের মনের সঙ্গে যখন এদের যোগ হয় তখনই এদেরও। সার্থ শতা, মনেরও সার্থকতা । মনের সার্থকতা যে এই বিপুল সৃষ্টির আনন্দকে সে ভোগ করে নিজেও বড় হয়ে উঠল-- আত্মাকে আয় এক ধাপ উঠিয়ে দিলে--এদের সার্থকতা এই যে এয়া সে উন্নতির আনন্মের কারণ হোল । r তাই আমাদের শাস্তুেও যোগকে অত বড় করে গিয়েছে। এই বিশ্বের অনন্ত সঙ্গে আমাদের আত্মার যোগই মানবজীবনের লক্ষ্য। সে কি রকম ? মানুষ সাধারণত ছোট হয়ে থাকে--হিংসাদ্বেষ, অর্থচিন্তু তায় কারণ। অনন্তু অধিকারের বাণী সে শোনেনি। বলেই সে নিজেকে মনে করে ছোট-বাইরের আলো পায় না বলেই এই দুর্দশা । এই ভূপতিত, ধূলি-লুষ্ঠিত আত্মাকে উচুতে ওঠাতে পাu, তার মান। মন মুদিখানার দোকান থেকে বায় হয়ে পোশ্বাস্ত্রী আড়া খোলে এসে। বাইরের অনন্ত নক্ষত্র-জগতের দিকে প্ৰশান্ত জিজাম্বু চোখ চেয়ে থাকুক-কান পেতে নদীর মৰ্ম্মর, পাখীর ঘর, রঙ, থেকে উপটীয়মান সঙ্গীত শুনুক-এই হোল যোগ। সঙ্গে সঙ্গে মনকে প্রসারিত করে দিক অনন্তের দিকেএই হোল যোগ!!! আর সে ছোট থাকবে না-বড় হয়ে যাবে। ঐ অনন্ত শূন্যের উত্তরাধিকারী