&le ঋগ্বেদের মধুমতী-সুক্তে ( ১৯০৬, ৭, ৮ ) যে প্রার্থনা করা হয়েছে, যিনি ঋত অর্থাৎ বিশ্ব-নীতি বা ধর্ম পালন করেন, স্টার পক্ষে বিশ্বজগতের সবা-কিছুই যেন মধুময় হয়---বায়ু, নদনদী, ওষধি-লতা-গুল্ম, রাত্রি এবং উষাকাল অর্থাৎ দিন, পৃথিবীর ধূলি থেকে আলোকময় আকাশ ধিনি সকলের পিতা, পৃথিবীর অরণ্য ও বনস্পতি, গগনের সূৰ্য, আর আমাদের ঘরের গোসমূহ ; সেই প্রার্থনা যেন শ্বতাঙ্গুসন্ধানী আর ঋতজ্ঞ বিভূতিভূষণের জীবনেও সার্থক छ'शछिछ মধু বাতা ঋতায়তে, মধুক্ষরন্তি সিন্ধবঃ। মাধবীবুনঃ সন্তোষধী: ॥ মধু নক্তম উতোধিসো, মধুমৎ পার্থিবং রজঃ। মধুস্থৌবু অস্ত্ৰ নঃ পিতা { মধুমান নো বনস্পতিত্ব, মধুম অস্তু সূৰ্যঃ । মাৰ্কণী:বুগাবো ভবস্তু নঃ ॥ বিভূতিভূষণের সম্বন্ধে কথা বলতে আরম্ভ ক’রলে ছোটখাটাে অনেক ঘটনা অনেক আলাপআলোচনা মনে আসে। কিন্তু আজ মৃত্যুর সম্মুখীন হ'যে তঁার এই চিত্তস্থিরতা, এই অকুতোভয়তা, সেইটেই বেশী ক’রে মনকে নাড়া দিচ্ছে। আর তা থেকেই বুঝতে পারছি, জীবনের ক্ষুদ্রতা বা দৈন্য যা আমাদের জড়িয়ে থাকে তা হয়তো তাকেও জড়িয়ে’ ছিল, কিন্তু তার গভীরতম অবস্থানের মধ্যে তিনি হয়তো সব-কিছু গ্লানি থেকে মুক্তই ছিলেন । ইহজগতে তঁর রুতিত্ব তীকে অমর ক’রে রাখবে, তঁর ব্যক্তিত্ব, ষ্টার আত্মাও তেমনি স্বপ্ৰকাশ তেজে দীপ্ত আর জয়যুক্ত হোক ।
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।