পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Verg वेिडि-ब्रट्नांश्वनौ এই সুন্দয় অপরিচয়ের মধ্যে বলে মনে হোল কতদিন আগেকার গানটা-বিশ্ব যখন নিজা মগন গগন অন্ধকার’-ঠিক এই সময়-কলকাতার বোভিংটা। আজ দ্বিতীয়া-সামনেই পূজা আসছে বোলাই আখিন। সেবার পূজা ছিল চব্বিশে। সেই সময়কার দূর-কালের সে জীবনটার সঙ্গে আজকার এই নির্জন জীবনের মধ্যকার এই শালবন বেষ্টিত পাহাড়, নদীতীরের BDDBS D DDDBD BDBLSS DB Bii iDBDB BB DDDD BB BD SS DC ig BDBDB অতীতের ও বৰ্ত্তমানের এই রকম বিভিন্ন জীবনযাত্রার কথা ভাবতে বত্ব ভালবাসি। বড় জাল লাগে, কোথায় যেন একেবায়ে ডুবে যাই। আজ সকালে মহিয়ারডি, লড়কী কয়লা প্ৰভৃতি অদ্ভুত রকমের গ্রামগুলো ও অপূর্ব পথের দৃশ্য, অম্বিকাবাবুর ললিত ডেপুটিকে প্রশংসার কথা অনেক দিন মনে থাকবে। কাল সকালে লছমীপুর যাবার প্রস্তাব হয়েছে-দেখা যাক। ভগবান আশীৰ্ব্বাদ করুন, দেওঘরে অবশ্যই পেঁৗছে যাবে। ডাকবাংলায় জলের বড় অভাব -পূর্ণ দুটাছুটি করছে। নাগেশ্বর প্রসাদ, লছমী মুলী দেওয়ান শ্ৰীধরবাবুর নামে পত্র নিয়ে আজি সন্ধ্যায় আসে, ঘোড়ায় করে লছমীপুব চলে গেল। পায়ে এমন বড় ফোস্কা হয়েছে যে ওপথে বড় চড়াই-উৎরাই শুনে একটু ভাবছি। জয়পুর। পৰ্য্যন্ত মিশিৱাজী পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে ঠিক হোল । আমি এই সব তুচ্ছ-খুটিনাটি লিখি এই জন্যেই যে, সবগুদ্ধ দিনটাকে ও তাঁর আবহাওয়াটাকে অনেক দিন পরে আবার ফিরে পাওয়া যাবে। বড় আনন্দ হয় । ২৮শে সেপ্টেম্বর ১৯২৭), জামদহ ডাকবাংলা । জামদহ ডাকবাংলা থেকে বেরিয়ে লছমীপুরের পথে কি স্বন্দর দৃশ্যটা দেখলাম-চাননের ওপারে পাহাড়ের মাথার ওপর প্রভাতের অরুণ-আভা, উঁচুনীচু পাহাডের উপত্যকার মধ্যে মধ্যে ক্ষীণস্রোতা নদী-শালবন, বড় বড় পাথরের টিলা । গভীর উপত্যকার মধ্যে শালবনবেষ্টিত লছমীপুর গড়ে এসে পৌছানো গেল বেলা আটটাতে। দেওয়ান শ্ৰীধরবাবুকে কালিবাড়িতে খবর দেওয়া গেল। লছমীপুর প্রাসাদে পৌঁছে দেওয়ানখানায় বসে রইলাম। তার আগেই কালীপদ চক্রবর্তী গুরুঠাকুরের ওখানে চা খাওয়া গেল। সেখানে খাওয়া-দাওয়া করে দুৰ্গম জঙ্গলের পথে হরপুর রওনা হলাম। উচ্চ মালভূমির উপর গভীর অরণ্যের ভিতর দিয়ে পথ । দুধারে খন্দির, হরিতকী, বয়েড, বঁাশ, আবলুশ, আমলকী, কৎবেল, বেলের জঙ্গল। প্ৰথম জঙ্গল পায় হয়ে দ্বিতীয় অদলটা শুধু ঘন আবলুশ ও কেঁদে জঙ্গল। এত বড় বড় পাথর ৰে জুতা ছিড়ে বুঝি পাথর পায়ে ফোটে। অধিকাবাবু ভারী বিরক্ত হোল-এত গভীর বন দিয়ে কেন আসা ? বনে ভালুক, বাঘ ও হরিণ প্রচুর। জঙ্গল শেষ করে রাঙা মাটির উঁচু-নীচু পথ। শালের ও মহুয়ার বন পার হয়ে হয়ে অবশেষে জয়পুরের ডাকবাংলায় পেঁৗছানো গেল । ওকাজি লছমীপুরের কাছারী থেকে সিয়ে এসে আহায় ও রপ্তানের আয়োজন করলে। বেশ কাটল আজ সাবাদিনটা। বনোয়ারী বাবুর কথা যেন মনে থাকে বহুদিন । রাণীলাহেবার এক ভাই এলেন। বাবরীচুলের গোছা, গ্রিংএর মত কপালে ও মুখের দুপাশে