স্মৃতির রেখা 'SI সেই কাথেনের ছবিটা বেশ দেখতে পেলাম। পর্তুগালের কি স্পেনের কোন ব্ৰাক্ষালতার বনের ধারে বসে নীলনয়ন-বালক আপন মনে নির্জনে দূর দেশের স্বপ্নে বিভোয় হয়ে থাকতে-আটলান্টিক পায় হয়ে অজানা দেশের ধনভাণ্ডার লুট করে তার দেশের নাবিকেরা প্রাচীন কালে দেশকে ধনশালী করে ক্ষমতাশালী করে রেখে গিয়েছে—তায়ও মনে মনে ইচ্ছা! যে সেও একদিন সেইরকম হবে। কটেজ কি পিজারোয় মত রাজ্যস্থাপয়িতা দিগ্বিজয়ী বীর মাবিক। তারপর তার দায়িত্র পিতামাতার ফুটীরে পোড়ারুটী খেয়ে শুয়ে রাত্রে ঘুমের ঘোয়ে সে দুয়ের স্বপ্নে আকুল হয়ে উঠতো। পিতামাতার অনেকগুলো ছেলেমেয়ে, কেউ ভাল খেতে পায় না। শিক্ষার সুযোগই বা কে দেয় ? একদিন স্বপ্নের সৌন্দৰ্য্যে আকুল হয়ে বালক বাড়ী থেকে পালিয়ে চলে গেল। তার কেউ খোঁজখবর করলে না। ক্রমে সকলে ভুলে গেল তাকে । কেবল তার মা তাকে মনে রাখলে। ধৰ্ম্মমন্দিরে উপাসনার সময় সঙ্গীহীন, সেই নীলনয়ন পলাতক ছেলেটি তার ছিল নিত্যসঙ্গী। কত নির্জন রাত্রের চোখের জলে, রোগশয্যায়। বিকারের ঘোরে তার কিশোর মূৰ্ত্তি চোখে পড়েছে। মা যখন মারা গেল, ছেলে তখন স্বপ্নকে সার্থকতার মধ্যে পেয়েছে । কত কাল চলে গিয়েছে-কত দেশের কত অদ্ভুত জীবন প্রবাহের মধ্যে দিয়ে সে বালক এখন প্রৌঢ় পোতাধ্যক্ষ। বিবাহ সে করেনি-বিশাল মহাসমুদ্রের তরঙ্গ-সঙ্গীত তার জীবনের বীণাকে চিরকাল ক্লািদ্রতালে বাজিয়ে এসেছে। সংসারের কোন বঁাধন নেই তার। অচিনেয়। অনন্ত পথ ছেলেবেলাকার মতই তার সামনে তবুও বিস্তৃত। ভীত, জড়সড়, ক্ষুদ্র বালককে দেখে সে মরণের রাত্রে তার নিজেয় দূর শৈশবের কথা মনে পড়ল। এই রকম অবোধ, হিতাহিতজ্ঞানশৃঙ্গ বালক ছিল সে, যখন প্ৰথম অজানার টানে সে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই বালকও আজ সেরকম বেরিয়েছে, কিন্তু হতভাগ্য প্ৰথম বারেই জীবনকে বিপন্ন করে বসেছে। বালকের জীবনের বিস্তৃত এর সুখ আনন্দকে প্রসায়লাভ কল্পবায় সুযোগ দেওয়ার জন্যে সে নিজের লাইফ-বেল্ট হুখনি খুলে তাকে পরিয়ে দিয়ে বললে,-“বন্ধু, তোমারই মত বয়সে আমিও বাড়ী ছেড়ে পালিয়েছিলাম, আমার জীবন তো শেষ হয়ে এসেছে—তুমি ধাঁচো, ভগবান তোমায় রক্ষণ করুন।” থআজ এই রাত্রে পড়াশুনার একটা অদম্য পিপাসা মনেল মধ্যে অনুভব করছি। ধ্রুক লাইব্রেরী বই পাই, সব বিষয়ে খুব বসে বসে পড়ি। বিজ্ঞান কাব্য উপন্যাস-দেশবিদেশের কবিদের ও ঔপন্যাসিকদের বই পড়তে বড় ইচ্ছে করছে। জীবন বড় ক্ষণস্থায়ী । অল্প ব্যাপারে নষ্ট করে কি করবো? শুধু পিপাসা - আমার এ পড়াশুনার পিপাসা দেখছি বিকারের তৃষ্ণার মত। যত জল খাই, আরও জল, আরও জল। ততই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। I Xq tayya, xeR9 1 D LLLL LLLLLLL DDD S SD DBB S DD DDD DiB Bu BBB
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।