স্মৃতির রেখা প্ৰথমে জিনিসপত্র রওনা করে দিলাম। পরে খাওয়ায় পরে ঘোড়া কয়ে রওনা হলাম, মিত্র KSK BBB LKY S BBL EBLL BB tBD BBB BE LLLLu BBS BD DBDBD বাবুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার দিন যতটা ছিল— পরে এসে পরশুরামপুর ঘাটে পৌছুনে গেল। কাছারীটা চিনতাম না-অভূহুরের ক্ষেত বেয়ে বেয়ে এসে কাছারী পৌছান গেল। গত বৎসর মোহিনীবাবু ধামশ্রেণী গিয়েছিলেন-লেট ধামশ্রেণী। শৈশবের কত স্থতি মাখামো ! জিজ্ঞাসা করলাম, রাণী সত্যবতীয় ঠাকুরবাড়ীতে আজকাল রাত্রে সে রকম ভোগ হয়। কিনা-সেই মজাপুকুরটা আছে কিনা। সেখান থেকে ষোড়া ছেড়ে কারু মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে আসতে আসতে কলািবলিয়ার ধারের পথ বেয়ে দেখি বনোয়ারী পাটোয়ারী আজমাবাদ চলেছে। তারই হাতে ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীর বড় খামখানা দিয়ে দিলাম। কলবলিয়ার পথ বেয়ে বেয়ে কখনো জোরে কখনো অ্যান্তে ঘোড়া ছুটিয়ে ভগবানদাস টোলার মধ্যে এলাম। পাছে পথ ভুলে যাই, এইজন্য সব সময়ে ডান দিকে বটেশ্বরনাথের পাহাড়টার দিকে নঞ্জয় রাখছিলাম। সে টোলা ছাড়িয়ে সোজা কলািবলিয়ার ধারে ধীরে ঘোড়া ছুটিয়ে এলাম। কলাই ক্ষেতে ক্ষেতে তিনটাঙার প্রজারা কলাই তুলছে। একটা বাবলা বন পেরিয়ে । “স্কটা সুন্দর পথে এলাম। বামদিকে পথের ছায়াঝোপ, কি সব ফুলে ফুটে আছে, বেশ ছায়া পড়েছে--সেইদিকটা কিছুক্ষণ ধীরে ধীরে ঘোড়া করে এলাম, পরেই আবার একটা উলুখড়ের মাঠের ভেতর দিয়ে ঘোড়া খুব জোরে ছুটিয়ে দিয়ে সামনে দেখি কুতরুটোলা। তীয়পরেই পরিচিত সহদেব সিংএর বাসা দিয়ে লছমন মণ্ডলের টোলার অড়হর ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে সোজা চলে এলাম কাছারী। পথে পথে উৎসব বেশে সজ্জিতা নরনারী চন্দ্রগ্রহণের মেলা দেখে গল্প-গুজব করতে করতে কোশকীপুর অঞ্চলে ফিরে যাচ্ছে। এ যেন বহু দূর থেকে অজানা পথ বেয়ে মোটরে কি এরোপ্লেনে করে নিজে পথ চিনে চিনে কখনো ধীরে কখনো জোরে এঞ্জিন চালিয়ে চলে এলাম-পথে পাহাড়, নদী, অজানা বনজঙ্গল, বেশ লাগিল আজকায় দিনটায়। সন্ধ্যার সময় বসে আরাম চেয়ারটায় ঠেলি দিয়ে অনেক কথা ভাবছিলাম। এই চেয়ারটা যেদিন থেকে তৈরী হয়েছে- ভ্রমণ শুরু হয়েছে সেদিন থেকে । সেই সত্যবাবুর বাড়ীর দেউড়িতে সন্ধ্যার সময় গিয়ে চেয়ারটা নিয়ে নামালাম-সেই ঢোকে ঢোকে জল খেয়ে তৃপ্ত হুলাম-পরদিন থেকে যাত্রা শুক হোল। মহারাণী স্বর্ণময়ী রোড, ৪৫ মীর্জাপুর স্ট্রট। সেই ফরিদপুরে সত্যবাবুর বাড়ী, গোয়ালন্দর ঈমারে, মাদারিপুর, বরিশালে অনাদিবাবুর বাড়ী, চাটগায়ের ঈমায়, কক্সবাজারের ষ্টীমারের ডেকে, সীতাকুণ্ডে, নরসিংদিতে, জোতিৰ্ম্ময়ের ওখানে ঢাকায়-আবার ৪৫, মীর্জাপুর স্ট্রীটে। বড় বাসায়, ইসমাইলগুরো-কত জায়গায়। এই তো সেদিন কানিবেনের জঙ্গল হয়ে, জামদহ, জয়পুরের ডাকবাংলায় শালবনের মধ্যে নির্জন রাত্রি মাপন করে গেলাম দেওঘর। তারপর এই গেলাম য়ামচন্দ্ৰপুরে, বেণীবনে, বক্ষতোয়ায় ধীরে ধারে, লক্ গেটে সুৰ্য্যাণ্ডের সময় কত বেড়ালাম । এই তো গেলাম পাটনা -শোণিপুরে ঘেমা দেখলাম। জ্যোৎস্নায়াজিতে প্যালেজ ঘাটে ঈমারে বলে চা খেতে খেতে
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।