আমার লেখা আমি কেমন করে লেখক হলাম, এ আমার জীবনের, আমার নিজের কাছেই, একটা অদ্ভুত ঘটনা। অবশ্য হয়তো একথা ঠিক, নিজের জীবনের অতি তুচ্ছতম অভিজ্ঞতাও নিজের কাছে অতি অপূর্ব। তা যদি না হত, তবে জগতে লেখক জাতটারই সৃষ্টি হত না। নিজের অভিজ্ঞতাতে এরা মুগ্ধ হয়ে যায়-আকাশ প্রতিদিনের সুৰ্য্যোদয় ও সূৰ্য্যাস্তে কত কল্পলোক রচনা করছে। যুগে যুগে-তারই তলে কত শত শতাব্দী ধরে মানুষ নানা তুচ্ছ ঘটনার মধ্য দিয়ে নিজের দিন কাটিয়ে চলেছে, মানুষের জন্ম-মৃত্যু, আশা-নৈরাপ্ত, হৰ্ষ-বিষাদ, ঋতুর পরিবর্তন, বানপুষ্পের আবির্ভাব ও তিরোভাব-কত ছোট বড় ঘটনা ঘটে যাচ্ছে পৃথিবীতেকে এসব দেখে, এসব দেখে মুগ্ধ হয় ? এক শ্রেণীর মানুষ আছে যাদের চোখে কল্পনা সব সময়েই মোহ অঞ্জন মাখিয়ে দিয়ে রেখেছে। অতি সাধারণ পাখীর অতি সাধারণ সুর ও তাদের মনে আনন্দের চেউ তোলে, অস্তবিশ্বতের রক্তমেঘণ্ডুপ স্বপ্ন জাগায়, আবার হয়ত তারা অতি দুঃখে ভেঙে পড়ে। এরাই হয় লেখক, কবি, সাহিত্যিক । এরা জীবনের সাংবাদিক ও ঐতিহাসিক। এক যুগের দুঃখবেদনা আশা আনন্দ অন্য যুগে পেঁৗছে দিয়ে যায়। আমার জীবনের সেই অভিজ্ঞতা তাই চিরদিনই আমার কাছে অভিনব, অমূল্য, দুর্লভ হয়ে রইল। যে ঘটনা আমার জীবনের স্রোতাকে সম্পূর্ণ অন্য দিকে বাক ফিরিয়ে দিয়েছে—আমার জীবনে তার মূল্য অনেকখানি। ১৯২২ সােল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি নিয়ে ডায়মগুহা।।***ার লাইনে একটা পল্লীগ্রামের হাইস্কুলে মাস্টারি চাকুরি নিয়ে গেলুম আষাঢ় মাসে। বর্ষাকাল, নতুন জায়গায় গিয়েছি। অপরিচিতের মহলে নিজেকে অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি। বৈঠকখানা ঘরের সামনে ছোট্ট একটু ঢাকা বারান্দাতে একলা বসে সামনে সদর রাস্তার দিকে চেয়ে আছি, এমন সময় একটি ষোল-সতের বছর বয়সের ছেলেকে একখানা বই হাতে যেতে দেখে তাকে ডাকলাম কাছে। আমার উদ্দেশ্য, তার হাতে কি বই দেখােব এবং যদি সম্ভব হয় পড়বার জন্তে চেয়ে নেব একদিনের জন্তে । বইখানা দেখেছিলাম, একখানা উপন্যাস। তার কাছে চাইতে সে বললে, এ লাইব্রেরির বই, আজ ফেরত দেওয়ার দিন। আপনা ে তো দিতে পারছি নে, তবে লাইব্রেরি থেকে बई बन थम g tयशम । -লাইব্রেরি আছে। এখানে ? SSSL0LG TTY DuS DBBB D S S DK S -আচ্ছ ট্যাদা দেব, আমায় বই এনে দিণ্ড ।
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।