পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ಇ-offi5 8¢ዩ› “দোকানের বাপ বন্ধ করিয়া অনেক রাত্রে বেতনা নদীতে রোজ স্নান করিয়া আসিতেন, আলুভাতে ও মাছের ঝোল রাধিয়া আহার করিয়া দুটা তিনটা রাত্ৰিতে তবে শুইতেন।” “পথের পাঁচালী” গ্রন্থে আছে প্ৰসন্ন গুরুমহাশয়ের পাঠশালায় এক শীতের প্রত্যুষে সপ্তজাগ্ৰত অপু গিয়া ভূষ্টি হইয়াছিল। পরে আছে বৈকালে পাঠশালা বসিত এবং গুরু মহাশয়ের বন্ধুরা আসিয়া একে একে মিলিত হইতেন এবং নানারূপ গল্পগুজব হইত। গ্ৰন্থাকারে প্রকাশিত হইবার সময় প্রসন্ন গুরুমহাশয়ের পাঠশালা ও রাজু রায়ের পাঠশালা এক হইয়া গিয়াছে এবং বেচার রাজু, রায় বাদ পড়িয়াছেন। ‘বেতনা’ নদী “বেত্ৰবৰ্তীতে *लि१७ श्वांछ । এইরূপ পাঠভেদ আরও অনেক পাওয়া যাইবে। ১৯৪১ খ্ৰীষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে বিভূতিভূষণ বনগ্রামে বর্তমান নিবন্ধকারকে স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে রাখিবার জন্য ‘‘পথের পাঁচালী’র পাণ্ডুলিপির শেষ পৃষ্ঠাটি দান করেন। পথের পাঁচালী’র পাণ্ডুলিপির শেষ পৃষ্ঠাটির সঙ্গে বৰ্ত্তমানে প্রচলিত “পথের পাঁচালী’র শেষ পৃষ্ঠাটির কিছু কিছু পাঠভেদ রহিয়াছে। আবার ‘বিচিত্রায় প্রকাশিত “পথের পাঁচালী’র শেষাংশের সঙ্গে পাণ্ডুলিপির পৃষ্ঠার এবং বৰ্ত্তমান প্ৰচলিত সংস্করণের পাঠভেম্ব বর্তমান। ‘বিচিত্ৰা’য় প্ৰকাশিত শেষাংশ এবং বর্তমানে প্ৰচলিত সংস্করণের সঙ্গে পাঠভেদ। এখানে দেখানো গেল : “নিশ্চিন্দিপুরের পখ যেন ফুৰাইতেছে ন• • •সে চলিয়াছে চলিয়াছে’, ‘চলিয়াছে সে আর মা---"এ পথে তা এক কখনো আসে নাই ? পথ সে চিনিতে পাব্লিতেছে না-ও কাস্তে হাতে কাকা, শুনচো, নিশ্চিন্দিপুরের পথটা এটু ব'লে স্থাওনা আমাদের?— যশড়া-নিশ্চিন্দিপুর, বেত্রবর্তীর ওপারে ?-- পথের দেবতা প্ৰসন্ন হাসিয়া বলেন - মূৰ্থ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বঁাশবনে, ঠ্যাঙাড়ে বীরু রায়ের বটতলায়, কি “ব্লচিতের খেয়াঘাটের সীমানায় ? তোমাদের সোনাডাঙা মাঠ ছাড়িয়ে, ইছামতী পার হয়ে, পদ্ম ফুলে ভরা মধুখালি বিলের পাশ কাটিয়ে, বোত্রাবতীর খেয়ায় পাড়ি দিয়ে, পথ আমার চ’লে গেল সামনে, সামনে শুধুই সামনে দেশ ছেড়ে বিদেশের দিকে, সুৰ্য্যোদয় ছেড়ে সূৰ্য্যান্তের দিকে, দুর ছেড়ে সুদূরের DDDSD D E DD GSB ESSDB DO KK LEO0DYYDLD SLDB LBDB আসে, বিশ্বের পর বিশ্ব চুনা পাথর হয়ে খনির অন্ধকারে চাপা পড়ে, পথ আমার তখনও ফুয়ায় না-চলে চলে--এগিয়েই চলে--অনন্তের অনাহত, অনিৰ্বাণ সঙ্গীত-- তোমার হারানো শৈশবের বীণার মত কালের বুকে বাজাতে থাকে।--অনন্ত দিন ধরে - চিত্র যুগ ধ’রে*** সে বিচিত্র যাত্রাপথের অদৃশ্নতিলক তোমার ললাটে পরিয়েই তো তোমায় ঘরছাড়া ক’রে এনেছি " " + চল এগিয়ে যাই।।” (বিচিত্রা, আশ্বিন, ১৩:৩৬, পৃ. ৫৫৫ । )