পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰন্থ-পরিচয় 3. থেকে খুব নিয়ে চলছে--সেই কিশোরীবাবুর বাড়ী, জ্যোৎস্নাময় পূর্ণিমার কথা মনে পড়ে।” ( স্থতির রেখা, বি. রা, ১ম, পৃ. ৩৮৩ । ) ১৯২৭ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৮ সেপ্টেম্বর জামদহ ডাকবাংলোতে বসিয়া দিনলিপি লিখিতে লিখিতে বিভূতিভূষণের মৃতা প্ৰথম স্ত্রীর কথা মনে পড়িয়া যায় : “এই সুন্দর অপরিচয়ের মধ্যে বসে মনে হ’ল কতদিন আগ্নেকার গানটা- "বিশ্ব যখন নিদ্রামগনি গগন অন্ধকার, “-ঠিক এই সময়-কোলকাতার বোৰ্ডিংটা। আজ দ্বিতীয়া--সামনেই পূজা আসছে বোলাই আশ্বিন। সেবার পুজো ছিল চব্বিশে। সেই সময়কার দূরকালের সে জীবনটার সঙ্গে আজকার এই নির্জন জীবনের মধ্যকার এই শালবন-বেষ্টিত পাহাড়, নদীতীরের ভ্যাকবাংলা, এই নিভৃত সন্ধ্যা, এই সম্পূর্ণ অন্য ধরণের জীবনটা মনে পড়ে। (স্বতিয় রেখা, বি, র, ১ম, 1. Veivs i ) তাহার ‘উৎকর্ণ” দিনলিপিতেও এই মধুর স্মৃতির পুনরুক্তি পাওয়া যায়। ২৫ আশ্বিন ( ১১ অক্টোবর ১৯৩৬) বিভূতিভূষণ ‘উৎকর্ণে” লিখিয়াছেন ঃ “অনেককাল আগে, আজ প্ৰায় আঠারো বছর আগে এই দিনটিতে পুঞ্জোর ছুটি উপলক্ষে গৌরীর সঙ্গে rদখা করতে বাড়ী গিয়েছিলুম, তখন নতুন বিয়ে হয়েচে, তার আগে কতকাল দেখা হয়নি। গিয়েছিলুম অবিশিষ্ঠ আগের দিন, কিন্তু দেখা হয়নি, বেশী স্নাত হয়ে গিয়েছিল বলে। আজই রাত্রে প্রথম দেখা হয়। সেই পূজোর সময়েই তার বাপের বাড়ী থেকে নিতে এল তাকে, আমরা পাঠিয়ে দিলুম, কিন্তু মাসখানেক পরে বাপের বাড়ীতে সে মারা গেল। সেই জন্যেই আজিকার দিনটি আমার এত মনে আছে, থাকবেও চিরকাল।” (TSRyf. I. sí, tj. e8" | ) SDD BE DDBB DYYB YK sS sE DBD BiK DK BBD DBzY উল্লেখ করিয়াছেন-বিভূতি জীবনীর পক্ষে মূলাবান বিবেচনা করিয়া তাহা এখানে উদ্ধৃত করিয়া দেওয়া হইল : “তারপর ফিনকি ফোটা জ্যোৎস্না রাত্রে কাশীবনের মধ্য দিয়ে আমি ও নায়েব পাশাপাশি ঘোড়া ছুটিয়ে এসে সীমানার কাছে যেখানে ও-বেলা মহিষ দেখেছিলাম। ওখানে এলাম। মনে হ’ল দূরে আমার বাড়ী। এই জ্যোৎস্না ওঠা সন্ধ্যায় মারা সঞ্চিত হাড়ি-কলসীগুলো পড়ে আছে জঙ্গল ভরা ভিটোতে। মার হাতের সজনে গাছটা এই ফাগুন দিনে জঙ্গলের মধ্যে ফুলে ভক্তি হয়ে উঠেছে। কেউ দেখছে না, কেউ ভোগ করছে না। হরি রায়ের জমিটুকু নেবায় কথা মা যখন সাইমাকে অনুরোধ করেছিলেন, তখন তিনি জানতেন না যে ছেলে তার ঘরকুনো গেয়ন্ত গোছের ছাপোষা "শয়া মানুষ হবে না। সে দেশে দেশে বন্ধদুরে বহু সমাজে পাহাড়ে পৰ্ব্বতে ঘোড়ায় ষ্টীমারে ট্ৰেনে-সারা জগতের অধিবাসী হয়ে বেড়াবে। জীবনের যাত্রাপথের সে হবে উৎসাহী উন্মত্ত পথিক-পথের নেশাতেই ভোয়। মা ছিলেন গৃহলক্ষ্মী, এ দরিদ্র ঘরে বিবাহ হওয়া পৰ্য্যন্ত এসে অল্প সাজিয়ে গুছিয়ে চালিয়ে গিয়েছেন। সেই ঢাল ভাজা-সেই সৰ। ঘৱকয়া সাজাবার বুদ্ধি যেমন মেয়েদের থাকে,