পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰন্থ-পরিচয় 89.3 কথা। জীবনটাকে আমি কি রকম পেলাম, সেইটাই সকলে জানতে চায়। যত অজ্ঞাতনামা লেখকই কেন হোক না, তার সত্যিকার অনুভূতি কখনো কৌতুহল না জাগিয়ে পারে না-পড়বেই সেটা সকলো! সকলেই খেলার তঁবুব জুয়ারে অপেক্ষা করছে।--রহস্য ভয়া খেলাটা সকলের ভাল লাগে, কিন্তু ভাল বুঝতে পারে না— ভঁাবুর বাইরে এলেই পরস্পরের অভিজ্ঞতার আদানপ্ৰদান ও তুলনা হয়-“মশাই কি রকম দেখলেন ? প্রত্যেক মানুষই নতুন LLLg LLgSgLLLBuDg DDuuDuD DD LLD S BDB BBBD BK tDDK BDD সাহিত্য শুধু জগৎটাকে কে কি চােখে দেখেছে, তারই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কাহিনী। বর্ণিত নায়ক নায়িকার পিছনে শিল্পী তার আবাল্য দীর্ঘ জীবনের সকল সুখ দুঃখ, হাসি কান্না নিয়ে প্রচ্ছন্ন রয়েছেন। কল্পনাও কিছু না কিছু অভিজ্ঞতাকে আশ্ৰয় করে তবে শূন্য ভর করে- যেমন সনেটের পিছনে তেমনি হ্যামলেটের পিছনে শেক্সপীয়ার গুপ্ত থেকেও ধরা fit灭破a目 “তাই এই যুগে জন্মে। আমি সকল রকম বিচিত্র জীবনধারার অভিজ্ঞতা চয়ন করে তায় কাহিনী লিখে রেখে যাবো । আমি জগৎকে কি রকম দেখলাম ? অামার শৈশব কি রকম কাটল ? শেকশ কোন সঙ্গীকে আমি আনন্দ মুহূৰ্ত্তে দেখলাম ? কাঙ্গের চোখের হাসি আমার মনকে অমৃত রাষ্ট্ৰ স্নিগ্ধ করলে ? গতিশীল পলাতক আনস্তের প্রবাহ থেকে তাদের উদ্ধার করে লেখার জালে তাদের বেঁধে স্বাবে- সুদীর্ঘ ভবিষ্ণুৎ ধরে ভবিষ্ণুৎ-বংশধরেরা তাদের কাহিনী জানবে। আর হয়তো এ পথে আমব না, হয়তো আবার যুগযুগান্ত পাবে ফিরে আসবো-কে জানে ? বহুকাল পুথিবীর সন্তানগণের মনে এ লেখা ঐ ইতিহাস কৌতুহল জাগাবে-তাজমহলের ধ্বংসস্তুপ যেন মহেঞ্জোদারের মত, গভীর মাটির রাশি মধ্যে যাকে খুঁড়ে বার করতে হবে-Great war-এর কথা মহাভারতের কি হোমব্রিক যুদ্ধের কাহিনীর মত প্ৰাচীন অতীতের কথা হয়ে দাড়াবে। —কলকাতা সহর, বঙ্গোপসাগরের তলায় ঢুকে যাবে।--সেই সুদূর অতীতের নতুন যুগেব নতুন শিক্ষাদীক্ষায় মাঙ্গণ এসব কাহিনী আগ্রহের সালে পড়বে। বলবে-আরো দেখ, সেই সে কালে ও লোকে এমনিভাবে বিয়ে করতে যেতো ! এই রকম জমি নিয়ে মারামারি করত, মেয়ের বিদ্যায়ের সময় কঁদিতো। ভারী আশ্চৰ্য্য হয়ে ojo vsfat ) “যুগযুগাস্তের শাসনে জীবনদেবতা বসে বসে শুধু হাসবেন।” ( স্মৃতির রেখা, ১৬ সেপ্টেম্বর, *२२१, वि. अ. *श, श्रृं. ev • । ) 3みav リ s) ফেব্রুয়ারপিবিভূতিভূষণ ভাগলপুরে বসিয়া ‘‘পথের পাঁচালী’ রচনা প্রসঙ্গে দিনলিপিতে লিখিতেছেন ঃ “কমিশনারের বাড়ীর কাছটাতে যখন এসেছি তখন চণ্ডীবাবুর সঙ্গে গল্প করতে করতে মনে হ’ল অনেক কালের কথা-সেই ষে সব দিনের বনগ্রাম স্কুল থেকে Home sick হয়ে বাড়ী ফিারতাম। ভারতদের বঁাশতলা, কালীদের বাগানের কোণটা গাবতলাটা আমার কাছে স্বপ্নপুরীর মত লাগত। কালীর সঙ্গে ইছামতীর ধারে বলে মনে হোত, কতদিন পরে