পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቆኳጓéj• ফুরু-পাণ্ডবে কি যুদ্ধটাই না দুয়ে গিয়েছিল । সে একই সঙ্গে শ্বিকালের সঙ্গিস্থলে বাস করছে। বলে আধুনিককে পৌরাণিক, পৌরাণিককে আধুনিক এবং মলৌকিককে লৌকিক বলে মনে করে । বোধ করি একটা বয়সে সকল শিশুই এরকম করে থাকে। এই শিশু সাধারণের সাধারণ ৰূপ হচ্ছে অপু। তলে অন্য শিশুবা বিষোপ্রাপ্ত হয়ে শৈশবটাকে ছেলেমানুষী ৰূলে মনে করে, অপু বয়োপ্ৰাপ্ত হয়েও তা করে নি। শিল্প-স্বর্গে একক অধিবাসী হয়ে গিয়েছে LB BBDB B BBDD S Suu S L sBBBD DuDBDS S DBD BLLE BBBB BBB গুণািট। এই কবিত্ব-গুণটি সমস্ত কাহিনীটিকে “ছাগকেল মোড়কে মুডে পাঠকের হাতে তুলে দিযেছে। নিতান্ত পরিতপোব বিষযা এষ্ট যে পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রে এই গুণটির ঐকান্তিক অভাব। তাতে দারিদ্র্যোিব কঙ্কালটাকে ফলাও কয়ে দেখানো হয়েছে, নিশ্চিন্দিপুর একটি পরিতাক্তি পোডো জংলা গ্রাম, মাহুবিগুলো ঠতদবিস্ত্র আর রাজ্যের দারিত্র্যে-চোলাই-করা আরও হরিহয় রায়ের পবিখ্যারটি । এখন বুকতে পারা যাচ্ছে বিদেশী পাঠকদেয় কেন এ ছবি ভাল লেগেছে। তারা জানতে অভ্যন্ত যে ভারতবর্ষ দাবিড়, ওই তো ছবিতে তার চাক্ষুব প্ৰমাণ পাওযা গেল। দেহের প্রাণ ও লাবণ্য বাদ দিয়ে শুধু নীরস কক্ষালটাকে যদি দেহ বলা চলে, তবে পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রটিকে পথে’ব পাঁচালী গ্ৰন্থ বলা যেতে পারে। বারংবার বোঝাতে চেষ্টা করেছি যে কবিত্ব নামে অনির্বচনীয় গুণটি মুক্তার লাবণ্যের মত পথের পাঁচালীকে অপর্বত্য দিযেছে। ঐ গুণটি বাদ পড়লে বইটি আব্ব দশখানা গাৰ্হস্থ্য উপন্যাসেব চেযে বেশী নয। ঐ গুণটি থাকাতে এইখানা দশখানার অন্যতম না হয়ে একেবাৱে দশম হয়ে উঠেছে । বস্তুতঃ দশম বললে বেশী বলা হত্য, কমিয়ে দ্বিতীযতম কলা উচিত। কেননা কপালকুণ্ডলা ছাড়া এত অধিক কবিত্বগুণ আব্ব কোনো বাংলা উপন্যাসে আছে বলে জানি না। তবে আব্ব কোনো কারণে কপালকুণ্ডপাৰ সঙ্গে পথের পাঁচালীব তুলনা করা উচিত নয়। কেননা কপালকুণ্ডলা কাললোতেব বেগে উপর গুর মতো তাড়িত হতে হতে তয়াবহ পরিণামের দিকে ধাবিত হযে চলেছে ! আব্ব জানি না কেমন করে, পথের পাঁচালীৰূপ বিচিত্র উপলখণ্ডটি কালস্রোতের উঞ্চে একটি ক্ষত্ৰ ভূখণ্ডেৰ উপবে স্থান পেষে গিয়েছে। তার চারিদিকে পরিবর্তনের প্রবাহ আকর্ষণ-বিকর্ষণ ও কলরোল। কিন্তু ক্ষুদ্র এই দ্বীপটি “দি টেম্পেন্ট’ নাটকের আর একটি ক্ষুদ্র দ্বীপের ন্যান্য এ সমস্ত পরিবর্তনেব। উঞ্চেব। সেখানকার অধিবাসীরা চিয়শৈশবে অমরলোকে বিবাজমান, তুচ্ছ কঁাচখণ্ডকে হীরকখণ্ড মনে কয়ে আনন্দ লাভ কবতে পারে এমন সৌভাগ্যবান, ভীষ্ম, লোণ প্রভৃতি মহারাধীদেব প্ৰতিবেশীরূপে কল্পনা করতে পারে এমন ক্ষমতাবান, সামান্য শস্য ফলে এমন স্বাক্ষ তারা পায় নন্দনবনের মধুরতম ফলেণ্ড দেবতারা তা পান। কিনা সন্দেহ। এখানে কারও বয়স বাড়ে না, অভিজ্ঞতা নামে দুটিল বৃদ্ধ এখানকার অধিবাসীদের স্পর্শ করতে পারে না, আর দারিদ্র্য নামে তয়াবহ জীনটা তাদের গুয়া দেখাতে এসে হঠাৎ কি মনে করে বিকৃত-দর্শন মুখোশখানা খুলে ফেলে তাদের মুখেয় দিকে তাকিয়ে চিরপরিচিত বন্ধুর মতো হেসে উঠে অধোয় “ভয় পেযেছিলে নাকি ? ঠাটী