ব্ৰঞ্জালী-জ্বালাষ্ট্র প্ৰথম পরিচ্ছেদ নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের একেবারে উত্তর প্রান্তে হরিহর রায্যের ক্ষুদ্র কোঠাবাড়ী । হরিহর সাধারণ অবস্থার গৃহস্থ, পৈতৃক আমলের সামান্য জমিজমার আয ও দু-চার ঘর শিস্য-সেবকের বার্ষিকী প্ৰণামীর বন্দোবস্ত হইতে সাদৃাসিন্ধ্যভাবে সংসার চালাইন্যা থাকে { পূর্ব দিন ছিল একাদশী। হরিহরের দূরসম্পৰ্কীয দি দি ইন্দিব ঠাকুরুণ সঞ্চালবেলা ঘরের দাওযায় বসিয়া চালভাজার গুডা জলখাবার খাইতেছে। হরিহরের ছয বৎসরের মেয়েটি চুপ করিয়া পাশে বসিযা আছে ও পাত্র হইতে তুলিবার পর চাইতে মুখে পুরিবার পূর্ব পৰ্য্যন্ত প্ৰতিমুঠা ভাজার গুন্ডার গতি অত্যন্ত করুণভাবে লক্ষ্য করিতেছে এবং মাঝে মাঝে ক্রমশূন্যাযমান কঁাসির জামবাটির দিকে হতাশ ভাবে চাহিতেছে । দু-একবার কি বল বলি করিযাও যেন বলিতে পারিল না। ইন্দির ঠাকুরুণ মুঠার পর মুঠ। উঠাইবা পাত্র নিঃশেষ করা ফেলিযা খুকীর দিকে চাহিয়া বলিল, ও মা, তোয় জন্থে দুটো রেখে দেলাম না ?-ওই দ্বাখো । মেয়েটি করুণ চোখে বলিল, তা হোক পিতি, তুষ্ট খাদুটাে পাকা বড় বীচে-কলার একটা হইতে আধখানা ভাঙ্গিষা ইন্দির ঠাকুরুণ তাহার হাতে দিল। এবার খুকীর চোখ-মুখ উজ্জ্বল দেখাইল-সে পিসিমার হাত হইতে উপহার লইয়া মনোযোগের সহিত ধীরে ধীরে চুষিতে লাগিল। ও ঘৱ হইতে তাহার মা ডাকিল, আবার ওখানে গিয়ে ধন্ন দিযে বসে আছে ? উঠে আয় ইন্ধিকে । ইন্দির ঠাকুরুণ বলিল, থাকু বেী—“আমার কাছে বসে আছে, ও কিছু করাচে না। থাক re তবুও তাহার মা শাসনের সুরে বলল, না, কেনিষ্ঠ বা খাবার সম্বয ওরকম বসে থাকবে ? ওসব আমি পছন্দ করি নে, চলে আয় বলচি উঠে খুকী ভয়ে ভযে উঠিয়া গেল। ইন্দিয় ঠাকুরুণের সঙ্গে হরিহরের সম্পর্কটা বড় দুয়ের । মামার বাড়ীয় সম্পর্কে কি রকমের বোন। হরিহর রায়ের পূর্বপুরুষের আদি বাড়ী ছিল পাশের গ্রামে যশড়া-বিষ্ণুপুর। হরিহরের পিতা রামচাদ রায মহাশয অল্পকসে প্ৰথমবার বিপত্নীক হইবার পরে অত্যন্তু ক্ষোভের সহিত লক্ষ্য করিলেন যে দ্বিতীয়বাৰ ঠাখার বিবাহ দিবার দিকে পিতৃদেবের কোন লক্ষ্যই নাই। বছয়খানেক কোনরকমে চক্ষুলক্ষ্মায কাটাইযা দেওয়ার পরও যখন পিতার সেদিকে কোন উদ্যম দেখা গেল না, তখন রামচাদ, মরীয়া হইয়া প্ৰত্যক্ষে ও পরোক্ষে নানারূপ অস্ত্ৰ ব্যবহার কবিতে বাধা হইলেন । দুপুর বেলা কোথাও কিছু নাই, সহজ মানুষ য়ামটাৰ
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।