পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

st st 血 আসিয়াছে, চলিয়া গিয়াছে। চক্ৰবৰ্ত্তাঁদেয় কাকা মাঠে গীতানাখ মুখুধ্যে নতুন কলমের বাগান বসাইল এবং সে সব গাছ আবার বুড়া হইতেও চলিল। কত ভিটায় নতুন গৃহস্থ বসিল, কত জনশূন্ত হইয়া গেল, কত গোলোক চক্ৰবৰ্ত্তা, ব্ৰজ চক্ৰবৰ্ত্তী মন্বিয়া হাজিয়া গেল, ইছামতীর চলোৰ্ম্মি-চঞ্চল স্বচ্ছ জলধারা অনন্ত কাল-প্রবাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়া কুটার মত, ঢেউয়ের ফেনায় মত, গ্রামের নীলকুঠির কত জনসন টমসন সাহেব, কত মজুরদারকে কোথায় ভাসাইয়া লইয়া গেল ! শুধু ইন্দির ঠাকুরুণ এখনও বঁচিয়া আছে। ১২৪৭ সালের সে ছিপছিপে চেহারার হাস্যমুখী তরুণী নহে, পঁচাত্তর বৎসরের বৃদ্ধি, গাল তোবাড়াইয়া গিয়াছে, মাজা ঈষৎ ভাঙ্গিয়া শরীর সামনে ঝুকিয়া পড়িয়াছে, দূরের জিনিস আগের মত চোখে ঠাহর হয় না, হাত তুলিয়া ষেন রৌদ্রের বঁাজ হইতে বঁাচাইবার ভঙ্গিতে চোখ ঢাকিয়া বলে, কে আসে ? নবীন ? বেহাৰী ? না, ও, তুমি রাজু*** এই ভিটায়ই কি কম পরিবর্তনটা ইন্দির ঠাকুরুণের চোখের উপর ঘাঁটিয়া গেল!! ঐ ব্ৰজ চক্ৰবৰ্ত্তাঁর যে ভিটা আজকাল জঙ্গল হইয়া পড়িয়া আছে, কোজাগরী লক্ষ্মীপূর্ণিমার দিন গ্রামসুদ্ধ লোক সেখানে পাত পাড়িত। বড় চণ্ডীমণ্ডপে কি পাশার আডাটাই বসিত সকালে বিকালে । তখন কি ছিল ঐ রকম বাঁশবন! পৌষপার্বণের দিন ও ঢেঁকীশালে একমণ চাল কোটা হুইত পৌষ-পিঠায় জঙ্গ-চোখ বুজিয়া ভাবিলেই ইন্দির ঠাকুরুণ সে সব এখনও দেখিতে পায় ঘে!! ঐ রায়বাড়ীর মেজবোঁ লোকজন সঙ্গে করিয়া চাল ফুটাইতে আসিয়াছেন, টেকীতে দমাদম পাতৃ পড়িতেছে, সোনায় বাউট রাঙা-হাতে একবার সামনে সরিয়া আসিতেছে আবার পিছাইয়া যাইতেছে, জগদ্ধাত্রীর মত রূপ, তেমনি স্বভাব্যচরিত্র। নতুন যখন ইন্দির ঠাকুরুণ বিধবা হইল, তখন প্ৰতি দ্বাদশীর দিন প্ৰাতঃকালে নিজের হাতে জলখাবার গোছাইয়া আনিয়া তাহাকে খাওয়াইয়া যাইতেন। কোথায় গেল কে! সেকালের আর কে% পুঁচিয়া নাই যার সঙ্গে সুখ gs per i LDBB Sg BLBBD S BDBB DB D BBBS SLDDB GBB DBBB BBDBB B সেদিন। ঘাটে পথে লাফাইয়া লাফাইয়া খেলিয়া বেড়াইত, মুখুয্যেদের তেঁতুল গাছে স্কাশা তেঁতুল খাইতে গিয়া পড়িয়া হাত ভাঙিয়া দুই-তিন মাস শয্যাগত ছিল ; সেদিনের কথা । ধুমধাম করিয়া অল্পবয়সে তাহার বিবাহ হইল-পিতার মৃত্যুর পর দশ বৎসরের নববিবাহিতা পত্নীকে বাপের বাড়ী ফেলিয়া ব্ৰাখিয়া দেশছাড়া হইয়া গেল। আট দশ বছর প্রায় কোন খোজখৰয় ছিল না-কালেভদ্রে এক-আধখানা চিঠি দিত, কখনো কখনো দু’পাঁচ টাকাবুড়ীর নামে মনি-অর্ডার করিয়া পাঠাইত। এই বাড়ী অ’লিয়া কত কষ্ট্রে, কতদিন না খাইয়া প্ৰতিবেশীর দুয়ায়ে চাহিয়া চিন্তিয় তাহার দিন গিয়াছে ৷ অনেকদিন পরে হরিহর আজ ছয় সাত বৎসর আসিয়া স্বর সংসার পাতিয়াছে, তাহার একটি মেয়ে হইয়াছে—সেই প্রায় ছয় বৎসরেয়টি হইতে চলিল। বুড়ী ভাবিয়াছিল এতদিনে সেই ছেলেবেলায় ঘর-সংসার আবার বজায় হইল। তাহার সঙ্কীর্ণ জীবনে সে অঙ্ক সুখ চাহে নাই,