পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS খুকী গুইয়া শুইয়া যতক্ষণ পৰ্য্যপ্ত ঘুম না আসিল, ততক্ষণ পিসিমার জন্য ফাদিল। রোজ রাত্রে সে কাব্দে। তাহার পর খানিক রাত্ৰে কাহাদের কথাবার্কা শুনিয়া জাগিয়া উঠিয়া দেখিল, কুড়ীর মা দাই রান্নাঘরোয় ছেচতলায় দাড়াইয়া কথা বলিতেছে, পাড়ায় নেড়ার ঠাকুরমা, আরও কে কে উপস্থিত আছেন। সকলেই যেন ব্যন্ত ও উদ্বিগ্ন। খানিকটা জাগিয়া থাকিয়া আবার শুইয়া পঢ়িল। বঁাশবনে হাওয়া লাগিয়া শিরশিবু শব্দ হইতেছে, অতুড় ধরে আলো জ্বলিতেছে ও কাহারা কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছে। দাওয়ায় জ্যোৎস্না পডিয়াছে, ঠাণ্ডা হাওয়ায় একটু পরে সে ঘুমাইয়া পড়িল । খানিক রাত্রে ঘুমের ঘোরে একটা অস্পষ্ট আওয়াজ ও গোলমাল শুনিয়া আবায় তাহার ঘুম ভাঙিয়া গেল। তাহার বাবা ঘর হইতে বাহির হুইযা অতুড়ে ঘরের দিকে দৌড়িয়া ব্যস্তভাবে বলিতে বলিতে যাইতেছে—কেমন আছে খুউী ? কি হযোচে ? আতুড় ঘরের ভিতর হইতে কেমন ধরণের গলার আওৰাজ সে শুনিতে পাইল ; গলার আওয়াজটা তাহার মায়ের । অন্ধকারের মধ্যে ঘুমের ঘোরে সে কিছু বুঝিতে না পারিয়া চুপ করিয়া খানিকক্ষণ BBB DBBDSS BDDBB BBB BBB BD S DBBDD S tD gDSDgDBD BBBDBDLDDD S DDDD DDD হুইয়াছে মােয়র ? -- সে আরও খানিকক্ষণ বসিয়া থাকিয়া কিছু বুঝিতে না পারিয়া শুইয়া পড়িল এবং একটু পরেই ঘুমাইয়া পড়িল। কতক্ষণ পরে সে জানে না-কোথায় যেন বিড়ালছানার ডাকে তাহার ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। চট্ৰ করিয়া তাহার মনে পড়িল পিসিমার ঘরের দাওয়ায় ভাঙ্গা উনুনের মধ্যে মেনী বিড়ালের ছানাগুলা সে বৈকালবেলা লুকাইয়া রাখিয়া আসিয়াছো-ছোট তুলতুলে ছানা কয়টি, এখনও চোখ ফুটে নাই ; ভাবিল-ঐ যা-ওদের ছলো বেড়ালটা এসে বাচ্চাগুলোকে সব খেয়ে ফেললে,-“ঠিক । ঘুমাচোখে উঠিয়া তাড়াতাড়ি সে অন্ধকারের মধ্যে পিসিমার না শুযায় গিয়া উনুনের মধ্যে হাত পুরিয়া দেখিল বাচ্চা কয়টি নিশ্চিস্তমনে ঘুমাইতেছে। হলো বেড়ালের কোন চিহ্ন নাই কোনও দিকে। পরে সে অবাক হইয়া আসিস শুইয়া পড়িল এবং একটু পরেই ঘুমাইয়া পড়িল । ঘুমের ঘোরে আবার কিন্তু কোথায় বিড়ালছােনা ডাকিতেছিল। পরদিন উঠিয়া সে চোখ মুচিতেছে, কুডুনীর মা দ্বাই বলিল, ও খুকী, কাল রাক্তিরে তোমার একটা ভাই হয়েচে দেখবা না ? শুমা, কাল রাত্তিরে এত চেঁচামেচি, এত কাণ্ড হয়ে গেলকোথায় ছিলে তুমি ? ঘা কাণ্ড হলো, কালপুরের পীরির ঘরগায় সিন্নি দেবানে-বড়ো রক্ষে *Fist gifts খুকী এক দৌড়ে চুটিয়া অতুড় ঘরের দু- র গিয়া উকি মারিল। তাহার মা অতুড়ের খেজুর পাতার বেড়ার গা ঘোষিয়া শুইয়া ঘুমাইতেছে। একটি টুকটুকে অসম্ভব রকমের ছোট, প্রায় একটা কাঢ়ের বড় পুতুলের চেয়ে কিছু বড় জীব কঁথার মধ্যে শুইয়া-সেটিও ঘুমাইতেছে। গুলের আগুনের মন্দ মন্দ ধোয়ায় তাল দেখা যায় না। সে খানিকক্ষণ দাড়াইয়া থাকিতে থাকিতেই জীবটা চোখ মেলিয়া মিটমিট করিয়া চাহিয়া অসম্ভব রকমের ছোট হাত দুটি নাড়িয়া