পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*哥守TEf访 y সৰ্ব্বজয়া মৃত্যু হাসিল। লজ্জাটা যেন কিছু কাটিয়া গেল। বলিল—এতদিন পরে বুঝি মনে পড়লো? আচ্ছা, কি বলে এতদিন ডুব মেত্ত্বে ছিলে ? পরে সে হাসিয়া বলিল-কেন, কি দোষ করেছিলাম বলে তো ? স্ত্রীর কথাবাৰ্ত্তায় অজ-পাড়াগায়ের টান ও ভঙ্গিস্ট্রকু, হরিহরের নতুন ও ভারি মিষ্ট বলিয়া মনে হইল। পরে সে লক্ষ্য করিয়া দেখিল স্ত্রীর হাতে কেবল গাছ কয়েক কড় ও কাচের চুড়ি ছাড়া অন্য কোন গহনা নাই। গরিব ঘরের মেয়ে, দিবার কেহ নাই, এতদিন খবর না লাইয়া ভারি অন্যায় করিয়াছে সে। সৰ্ব্বজয়াও চাহিয়া চাহিয়া স্বামীকে দেখিতেছিল। আজ সারাদিন সে চরি৷ পাচ বার আড়াল হইতে উকি মারিয়া দেখিয়াছে-স্বাস্থ্যময় যৌবন হরিহরের সুগঠিত শরীরের প্রতি অঙ্গে যে বীরের ভঙ্গি আনিয়া দিয়াছে, তাহা বাংলা দেশের পল্পীতে সচরাচর চোখে পড়ে না । বাপমায়ের কথাবাৰ্ত্তায় অ্যাজ সে শুনিয়াছে তাহার স্বামী পশ্চিম হইতে নাকি খুব লেখাপড়া শিখিয়া আসিয়াছে, টাকাকড়ির দিক হইতেও দু’পয়সা না আনিয়াছে এমন নয়। এতদিনে তাহার দুঃখ ঘুচিল, ভগবান বোধহয় এতদিনে মুখ তুলিয়া চাহিয়াছেন। সকলেই বলিত স্বামী তাহার সন্ন্যাসী হইয়া গিয়াছে—আর কখনো ফিরিবে না। মনে-প্ৰাণে একথা বিশ্বাস না করিলেও স্বামীর পুনরাগমন এতকাল তাহার কাছে ধু*াশার মতই ঠেকিয়াছে। কত রাত্রি দুশ্চিন্তায় জাগিয়া কাটাইয়াছে, গ্রামের বিবাহ উপনয়নের উৎসবে ভাল কমিয়া যোগ দিতে পারে নাই,--সকলেই আহা বলে, গায়ে পড়িয়া সহানুভূতি জানায় ; অভিমানে তাহার চোখে জল আসিত-অনাবিল যৌবনের সোনালী কল্পনা এতদিন শুধু আড়ালে আবড়ালে নিৰ্জন রাত্ৰিতে চোখের জলে ঝরিয়া পড়িয়ছে, কাহারও কাছে মুখ ফুটিয়া প্ৰকাশ করে নাই, কিন্তু বসিয়া বসিয়া কতদিন ভাবিত—এই তো সংসারের অবস্থা, যদি সত্যসত্যই স্বামী ফিরিয়া না আসে, তবে ব্যাপম্যায়ের মৃত্যুর পরে কোথায় দাড়াইবে-কে আশ্ৰয় দিবো ? ५gउपिन किनiद्ध शिविल । হরিহর হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল-আচ্ছা, আমাকে যখন তুমি ওবেলা দরজার বাইরে দেখলে --তখন চিনতে পেরেছিলে ? সত্যি কথা বোলো কিন্তু সৰ্ব্বজয়া হাসিয়া বলিল-না, তা চিনবো কেন ! প্রথমটা ঠিক বুঝতে পারিনি, তারপর છનિ 四评忙哥一 আন্দাজে নয় গো, আন্দাজে নয়—সত্যি-সত্যি ! গোখলে না, তখখনি মাথায় কাপড় দিয়ে বাড়ীর মধ্যে ঢুকলাম ? তারপর একটু চুপ করিযা থাকিয়া আবার জিজ্ঞাসা করিল, আচ্ছা তুমি বল তো, আমায় চিনতে পেরেছিলে ? বল তো গা ছুয়ে ? নানা কেজো-অকেজো কথাবাৰ্ত্তায় স্নাত বাডিতে লাগিল ; পরলোকগত দাদার কথা উঠিতে সৰ্ব্বজয়ায় চোখের জল আর বঁাধ মানে না । হরিহর জিজ্ঞাসা করিল-বীণায় বিয়ে কোথায় হল ? ছোট শালীয় নাম জানিত না, আজই শ্বশুরের মুখে শুনিয়াছে। ܓ݁ܶܚܚܗ ܕ ܪܳf