পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

0لار নেশাতেও তিনি সারা ভারতবর্ণ ঘূরিয়া বেড়াইতেন । পুত্র বিভূতিভূষণও পিতার নিকট হইতে এই ভবঘুরে স্বভাব ও দ্রমণের নেশা পূৰ্ণমাত্রায় পাষ্টয়াছিলেন । পিতা উপার্জনে উদাসীন ছিলেন সেজন্য সংসারে দারিদ্র্য অনটন লাগিয়াই ছিল। বিভূতিভূষণের বাল্য এবং কৈশোরকাল দাবিজ্ঞা অভাব-অনটনের মধ্য দিয়াই কাটে । তিনি দুইবেল স্থাটিয়াই স্কুলে যাইতেন। এই সময়েই গ্রাম-বাংলার পঞ্জীপ্ৰকৃতির অপৰূপ সৌন্দৰ্য ঠাচার চোখে মায়াজাল বুলায়। পথের দুই পাশেখ শুঠামশোভা আঁহায় নিসর্গগ্ৰীতি বধিত করে। তারপর গুহ-শিক্ষকতার বিনিময়ে এক ভদ্রলোকের গৃহে কিছুকাল এবং বনগ্রাম স্কুলহোস্টেলে থাকিয়া ঠাঁহাব পাঠ্য-জীবন শেষ করেন। বিভূতিভূষণের বনগ্রাম উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ে ভর্তি হওধা একটা গল্পকথার মতো ঘটনা। পিতা গৃহে থাকিতেন না । মাতার ও অভাব-অনটনের মধ্যে উচ্চ শিক্ষা দিবায় উচ্চাশা ছিল না। পাড়া প্ৰতিবেশীর ছেলেদেব দেখিয়া বিভূতিভূষণের অন্তরে বনগ্রামে গিয়া বিদ্যালযে ভর্তি BBBD sBK KB 0YS S SBDBB BSODuDB EEBB EB BBBDBDB DKS D BBB উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ে ভিতি হইতে যান। অর্থাভাবে মা “লক্ষ্মীর কঁাপি” হইতে সিদুর-মাখানো টাকা দেন। তৎকালে হেডমাস্টার ছিলেন ৮ চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। তাহার বহু বিষয়ে অনুসন্ধিৎসা এবং ইতিহাসে প্রগাঢ় জ্ঞান ছিল । তিনি ছাত্রদের মধ্যে যাহাতে প্ৰকৃত জ্ঞানের ক্ষুধা জাগ্রত হয়। সেজন্য সচেষ্ট ছিলেন । বিভূতিভূষণ বনগ্রাম উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালযে ভতি হষ্টতে গিষা দুই দিন তো ভয়েই স্কুল কম্পাউণ্ডের নিকট হইতে ফিবিয়া আসিলেন। তৃতীয দিন প্রধান শিক্ষক ৬ চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের নজরে পড়ায তিনি দপ্তী দ্বাবা বিভূতিভূষণকে স্কুলের মধ্যে ডাকিয়া আনেন। প্রধান শিক্ষক মহাশয় সিঁদুর-মাখানে টাকা দেখিযা জেরা কবিয প্রকৃত ঘটনা জানিতে পারেন এবং বিভূতিভূষণকে বেতন দিবার হাত হইতে রেঙ্গাই দেন। বিভূতিভূষণ "চাহাব সাহচযে আসিযা বহু বিষযে উপকৃত হইয়াছিলেন । এই কালেই অষ্টম শ্রেণীবি ছাত্র অবস্থায্য ঠাহাৰ পিতৃবিয়োগ BYS BBBBD BD ED BDB BBg BBBS S LLL BBD D T BB বিদ্যালয হইতে প্ৰথম বিভাগে প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । ১৯১৬ সালে কলিকাতা বিপন কলেজ হইতে প্ৰথম বিভাগে আই এ এবং ১৯১৮ সালে উক্ত কলেজ হইতে ডিসটিংশনে বি. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তৎপরে কিছুকাল তিনি ৪। শ্ৰীনীরদচন্দ্ৰ চৌধুরী এম এ, এবং ল-ক্লাসে অধ্যয়ন করিয়াছিলেন । কিন্তু তাহা বেশীদার অগ্রসব হইতে পারে নাই । বিভূতিভূষণ যখন তৃতীয় বাৰ্ষিক শ্রেণীবি ছাত্র তখন বসিরহাটেব মোক্তার কালীভূষণ মুখোপাধ্যায়ের কন্যা গৌরী দেবীকে বিবাহ করেন। কিন্তু এই বিবাহিত জীবন এক বৎসবেঃ বেশী স্থায়ী হয় নাই। এক বৎসরকাল পয়েই গৌরী দেবী বিশাচিকা রোগে অকালে প্ৰাণ ত্যাগ করেন। এই সময় হইতেই তেঁহায় লেখাপড়ায় সমাপ্তি ঘটে এবং তিনি হুগলি জেলাব জাঙ্গীপাড়ায় মাইনর স্কুলে শিক্ষকের চাকুরি গ্ৰহণ করেন। জাঙ্গীপাড়াবা জমিদার-বংশেব এক সহপাঠী বন্ধুতাহাকে ওখানে লইয়া ধান। প্রথম পত্নী-বিযোগেব। পরে তিনি তখন শোকে কাতায় ছিলেন। সেখানে বেশীদিন মন টিকিল না।