ve ट्रिडि-ब्रष्नांबर्नौ সে এতক্ষণ বাড়ী ছিল না, কোথা হইতে এইমাত্র আসিল। তাহাঙ্ক স্বর একটু সতর্কত মিশ্ৰিত । মানুষের গলার আওয়াজ পাইয়া অপু কলের পুতুলের মত লক্ষ্মীর চুপড়ীির কড়িগুলি তাড়াতাড়ি লুকাইয়া ফেলিল। পরে বলিল--কি রে দিদি ? দুৰ্গা হাত নাড়িয়া ভাকিল-আয় এদিকে-শোনদুর্গার বয়স দশ-এগার হইল। গড়ন পাতলা পাতলা, পুং অপুর মত অতটা ফৰ্পা নয়, একটু চাপা। হাতে কাচের চুড়ি, পরনে ময়লা কাপড়, মাথার চুল রুক্ষ—বাতাসে উড়িতেছে, মুখের গড়ন মন্দ নয়, অপুর মত চোখগুলি বেশ ডাগর ডাগর। অপু, রোয়াক হইতে নামিয়া কাছে গেল, বলিল-কি ত্বে ? দুর্গার হাতে একটা নারিকেলের মালা । সেটা সে নীচু করিয়া দেখাইল, কতকগুলি কচি আমি কাটা। ঘর নীচু করিয়া বলিল-মা ঘাট থেকে আসে নি তো ? घं घांफु नाख्रिशा निज-खैश्দুৰ্গা চুপি চুপি বলিল—একটু তেল আর একটু সুন নিয়ে আসতে পারিস ? আমের কুসী জায়াবো।-- অপু আহলাদের সহিত বলিয়া উঠিল—কোথায় পেলি রে দিদি ? দুৰ্গা বলিল-পাটুলিদের বাগানে সিঁদুরকেটের তলায় পড়ে ছিল-আন দিকি একটু নুন আর তেল ? অপু দিদির দিকে চাহিয়া বলিল-তেলের ভঁাড় ছুলে মা মাধুবে যে ? আমার কাপড় যে বাসি ? তুই যা না। শীগগিরি করে, মার আসতে এখন ঢের দেরি-ক্ষার কাচতে গিয়েচেfiglঅপু বলিল—নারকোলের মালাটা আমায় দে। ওতে ঢেলে নিয়ে আসবো।--তুই খিড়কী দোয়ে গিয়ে দুষ্ঠাখ মা আসচে। কিনা। দুর্গ নিয়ম্বয়ে বলিল, তেল টেল যেন মেঝেতে ঢালিসনে, সাবধানে নিবি, নইলে মা টের পাৰে—“তুই তো একটা হাবা ছেলে অপু বাড়ীর মধ্য হইতে বাহির হইয়া আসিলে দুৰ্গা তাহার হাত হইতে মালা লইয়া আমগুলি বেশ করিয়া মাখিল-বলিল, নে হাত পাত । তুই অন্তগুলো খাবি দিদি ৷ অতগুলি বুঝি হোল ? এই তো-ভারি বেশী—যা, আচ্ছা নে আর দু’খানা-বাৰু, দেখতে বেশ হয়েচে রে, একটা লঙ্কা আনতে পারিস ? অার একথানা দেবো তাহলে— লঙ্কা কি করে পাড়বে। দিদি ? মা যে তক্তার ওপর রেখে স্থায়, আমি যে নাগাল পাইনে ? তবে খাকুগে যাক-আবার ওবেলা আনবো এখন-পাটুলিদের ডোবার ধারের আমগাছটায় গুটী বা ধরেচে-দুপুরের রোদে তলায় ঝরে পড়ে দুৰ্গাদের বাড়ীর চারিদিকেই জঙ্গল। হরিহর ব্লায়ের জ্ঞাতি-ভ্ৰাতা নীলমণি রায় সম্প্রতি
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।