পথের পাঁচালী *伞 খামি আবার কাকে বলতে যাবো ? তা হোক সে সন্দেগাপ, দাও গিয়ে দিয়ে, এই কাঁই যাচ্ছে- ঐ স্বায়বাষ্ঠীর আটটা টাকা ভরসা, তাও দু'তিন মাস অন্তর। তবে দ্যায়-আর এদিকে রাজ্যিয় দেন। কাল ঘাটের পথোৱা সেঙ্গ ঠাকরুণ বলে—বেীমা, আমি বন্দক ছাড়া টাকা ধার দিইনে—তবে তুমি অনেক করে বল্পে বলে দিলাম-আজি পাঁচ পাঁচ মাস হয়ে গেল, টাকা আর রাখতে পারবো না। এদিকে রাধা বেষ্টিমের বৌ তো ছিড়ে খাচ্চে, দু’বেলা তাগাদা আরম্ভ করেচে। ছেলেটার কাপড় নেই-দু’তিন জায়গায় সেলাই, বাছা আমার তাই পরে হাসিমুখে নেচে নেচে বেড়ায়-আমার এমন হয়েচে যে ইচ্ছে করে একদিকে বেরিয়ে ঘাই আর একটা কথা ওয়া বলছিল, বুঝলে ? বলছিল গীয়ে তো বামুন নেই। আপনি যদি এ গায়ে উঠে আসেন, তবে জায়গা জমি দিয়ে বাস করাই-গাঁয়ে এক ঘর বামুন বাস করানো আমাদের বড় ইচ্ছে। তা কিছু ধানের জমি-টমি দিতেও রাজী-পয়সার তো অভাব নেই। BBBB BBBD DBBD DBD BYSTeBB EED D KBD D DDB BB BzYS আগ্রহে সৰ্ব্বজয়ার কথা বস্তু হইবার উপক্রম হইল-এখখুনি। তা তুমি রাজী হ’লে না। DE SDD DB BD KBDS DBDBBB KBSS 0SDD BuYD DDDBDB DBDDSTTT গাঁয়ে তোমার আছে কি ? শুধু ভিটে কামড়ে পড়ে থাকা হরিহর হাসিয়া বলিল-পাগল ! তথুনি কি রাজী হতে আছে। ছোটলোক, ভাববে ঠাকুরের ইন্ডি দেখচি শিকেয় উঠচে-উহু, ওতে খেলো হয়ে যেতে হয়-ত নয়, দেখি একবার চুপি চুপি মজুমদার মহাশয়ের সঙ্গে পরামর্শ কয়ে-আর এখন ওষ্ঠ, বল্পেই কি ওঠা চলে ? সব ব্যাটা এসে বলবে টাকা দাও, নৈলে ধেতে দেবো না-দেখি পরামর্শ করে কি ব্লকম দাড়ায় এই সময়ে মেয়ে দুৰ্গা কোথা হইতে পা টিপিয়া টিপিয়া আসিয়া বাহিরের দুয়ারের আড়াল হইতে সতর্কতার সহিত একবার উকি মারিল এবং অপর পক্ষ সম্পূর্ণ সঙ্গ:ণ দেখিয়া ও ধারের পাচিলের পাশ বাহিয়া বাহিয়া-বাটীর রোয়াকে উঠিল। দালানের দুয়ার আস্তে আস্তে ঠেলিয়া দেখিল উহা বন্ধ আছে। এদিকে রোয়াকে দাঁড়ানো অসম্ভব, রৌদ্রের তাপে পা পুড়িয়া যায়, কাজেই সে স্থান হইতে নামিয়া গিয়া উঠানের কঁঠালতলায় দাড়াইল । রৌত্রে বেঙ্কাইয় তাহার মুখ রাঙা হইয়া উঠিয়াছে, আঁচলের খুঁটে কি কতকগুলা যত্ন করিয়া বাধা। সে আসিয়াছিল। এই জন্য যে, যদি বাহিরের দুয়ার খোলা পায় এবং মা ঘুমাইয়া থাকে, তবে স্বরের মধ্যে চুপি চুপি ঢুকিয়া একটু শুইয়া লইবে । কিন্তু বাবার, বিশেধত মাৱ সামনে সম্মুখ হুয়ার দিয়া বাড়ী ঢুকিতে তাহার সাহসী হইল না। উঠানে নামিয়া সে কঁঠালতলায় দাড়াইয়া কি করিবে ঠিক করিতে না পারিয়া নিরুৎসাহভাবে এদিক ওদিকে চাহিতে লাগিল। পরে সেখানেই বসিয়া পড়িয়া আঁচলের খুটি খুলিয়া কতকগুলি শুকুনো স্নাড়া ফলের বীচি বাহির করিল। খানিকক্ষণ চাহিয়া থাকিয়া সে অ্যাপন মনে সেগুলি গুনিতে আরম্ভ করিল, এক-দুই-তিন-চার•••ছাব্বিশটা হুইল। পরে সে
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।