পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের পাঁচালী ve BDDB KB LLBBB DDB K EDB EBDDB zBB DB LBDB BLBL LBBB CL BBBLLz DBDB DBB ugBO S BDDt KLDB uBDBiK Kuu KiB ভার্কিত, অণু নিকটে বসিয়া হাতের লেখা ক-খ লিখিতে লিখিতে একমনে মায়ের মুখের মহাভারত পড়া শুনিত । দুৰ্গাকে তাহার মা বলিত, একটা পান সেজে দে তো দুৰ্গগা। অপু বলিত, মা, সেই ঘুটি-ফুড়োনোয় গল্পটা ? তাহার মা বলে-কুঁটি-ফুড়োনোর কোন গল্প বলতে -ও সেই হগ্নিহোভেয় ? সে তো অন্নদামঙ্গলে আছে, এতে তো নেই। পরে পান মুখে দিয়া সুর করিয়া পড়িতে থাকিস্ত রাজা বলে শুন শুন মুনির নন্দন। কহিব অপূৰ্ব্ব কথা না যায় বর্ণন ॥ সোমদত্ত নামে রাজা সিন্ধুদেশে ঘর। gर्षिछ श्शिों की अलिঅপু অমনি মায়ের মুখের কাছে হাতখানি পাতিয়া বলিত, আমায় একটু পান ? মা চিবানো পান নিজেৱ মুখ হইতে ছেলের প্রসারিত হাতের উপর রাখিয়া বলিত-এ, বড় তেতো-এই খয়েয়গুলোয় দোষ, রোজ হাটে বারণ করি ও খয়ের ধেন আনে না, তবুও জানালার বাইরে বঁাশবনের, দুপুরের রৌদ্র-মাখানো শেওড়া-ঘেটু বনের দিকে চাহিয়া চাহিয়া মহাভারতের-বিশেষত কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কথা শুনিতে শুনিতে সে তন্ময় হুইয়া যায়। মহাপ্তারতের সমস্ত চরিত্রের মধ্যে কর্ণের চরিত্র বন্ড ভাল লাগে তাহার কাছে । ইহার কারণ কর্ণের উপর তাহার কেমন একটা মমতা হয়। রথের চাকা মাটিতে পুতিয়া গিয়াছে-জুই হাতে প্ৰাণপণে সেই চাকা মাটি হইতে টালিয়া তুলিবার চেষ্টা করিতেছেন-সেই নিরস্ত্ৰ অসহায়, বিপন্ন কর্ণের অনুরোধ মিনতি উপেক্ষা করিয়া অৰ্জ্জুন তীৱ চুড়িয়া ভঁাহাকে মারিয়া ফেলিলেন ! মায়ের মুখে এই অংশ শুনিতে শুনিতে দুঃখে আপুৱ শিশুহৃদয় পূর্ণ হইয়া উঠিত, চোখের জল বাগ মানিত না-চোখ ছাপাইয়া তাহার নরম তুলস্কুল গাল বাহিয়া গড়াইয়া পড়িত-সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দুঃখে চোখে জল পড়ার যে আনন্দ, তাহা তাহার মনোরাজ্যে নব অঙ্গভূতির সজীবত্ব লইয়া পরিচিত হইতে লাগিল। জীবন-পথের ধেদিক মানুষের চোখের জলে, দীনতায়, মৃত্যুতে, আশাহত ব্যর্থতায়, বেদনায় করুশ-পুরোনো বইখানায় ছেঙা পাতার ভরপুর গন্ধে, মায়ের মুখের মিষ্ট স্বরে, রৌদ্রভাৱ্য দুপুরের মায়া-আঙ্গুলি-নির্দেশে, তাহার শিশুদৃষ্টি অস্পষ্টভাবে সে পথের সন্ধান পাইত। বেলা পড়িলে মা গৃহকাৰ্য্যে উঠিয়া গেলে, সে বাহিৰে আসিয়া রোয়াকে দাড়াইয়া দূরের সেই অশ্বথ গাছটার দিকে এক এক দিন চাহিয়া LLESYYLLLDS DD Gugu gBBBB BL Kt DBE GB GL iBiSS D DL বৈকালের রাঙা রোদ অলসভাবে গাছটার মাথায় জড়াইয়া আছে--- সকলের চেয়ে এই বৈকালের রাঙা-রোদ-মাখানে গাছটার দিকে চাহিয়াই তাহার মন কেমন করিত। কৰ্ম্ম যেন ঐ অশ্বখ গাছটার ওপারে আকাশের তলে, অনেক দূরে কোথাও এখনও মাটি হইতে রথের ঢাকা দুই হাতে প্ৰাণপণে টানিয়া তুলিতেছে-য়োজই তোলে-রোজই তোলে-মহাবীর,