পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপিনের সংসার ఇse —তুমি চলে গেলে আমার বড় খারাপ লাগবেকথাটা বলিয়া ফেলিয়াই কিন্তু বিপিনের মনে হইল, মেয়েটিকে এরূপ বলা উচিত হয় নাই। এ সব ধরণের কথা বলা হয়, যখন পুরুষ নারীমনের মুকুলিত প্রেমকে ফুটাইতে চায়। বিবাহিতা মেয়ে, কাল শ্বশুরবাড়ী চলিয়া যাইবে—প্লেম জাগিলে মেয়েটিই কষ্ট পাইবে । বিপিন আর ও পথে পা দিবে না । মেয়েটি বোধ হয় সহজ ভাবেই কথাটা গ্রহণ করিল, নতুবা তাহার চোখে লঙ্গ ঘনাইয়া জাসিত। মানীকে দিয়া বিপিন ইহা অনেকবার দেখিয়াছে । সে সরল ভাবেই বলিল, কেন ? বিপিন ততক্ষণে সামলাইয়া লইয়াছে। হাসিয়া বলিল—দুধ চিড়ের ফলার ঘন ঘন ৰোগাড় হবে না । বলিয়াই যেন পূৰ্ব্ব কথাটা পেটুক লোকের খেদোক্তি ছাড়া আর কিছুই নহে, প্রমাণ করিবার জন্য সে নিজেই হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিল। অনেক সময় প্রেম আসে করুণা ও সহানুভূতির ছদ্মবেশে। দত্ত মহাশয়ের মেয়ে সরলা পল্লীবালা, লোককে খাওয়াইয়া মাখাইয়া সে হয়তো খুশি–একটা লোক কোন একটা বিশেষ জিনিস খাইতে ভালবাসে, অথচ সে চলিয়া গেলে লোকটা তাহার প্রিয় ৰখাস্ত হইতে বঞ্চিত হইবে ইহা তাহার মনে সত্যকার করুশ জাগাইল । 龟。 সে মনে মনে ভাবিল, জাহ, ডাক্তারবাবু সরু ধানের চিড়ে খেতে এত ভালৰাসেন । জামি চলে গেলে কে দেবে ? উনি যে মুখচোর, কাউকে বলতেও পারবেন না। মুখে বলিল, আমার শ্বশুরবাড়ীতে কনকশাল ধানের চিড়ে হয়, খুব ভাল লঙ্ক চিড়ে জার কি স্বগন্ধ। চিড়ে ভেজালে গন্ধ ভুর ভুর করে ঘরে। আমাদের বাড়ীর চেয়েও ভাল। আমি গিয়ে আপনার জন্তে পাঠিয়ে দেবো। বিপিন ভাবিল, তা দেবে তা জানি ! তোমাদের আমি চিনি । সন্ধ্যা হইয়া আসিল দেখিয়া শাস্তি দ্রুতপদে সন্ধ্যাপ্রদীপ দিতে গেল । একাদশ পরিচ্ছেদ X সেই দিনের ব্যাপারের পর হইতে বছর খানেক কাটিা গিয়াছে, পটল আর বীণার সঙ্গে দেখা করিবার চেষ্টা করে নাই। ইহাতে প্রথম প্রথম বীণা খুব স্বস্তি অনুভব করিল। কিন্তু সপ্তাহ যখন পক্ষে এবং পক্ষ যখন মাসে এমন কি বৎসরে পরিবর্তিত হইতে চলিল—পটলের টিকি কোনদিকে দেখা গেল না, তখন বীণার মনে হইল তাহার মনের এই ষে নিরঙ্কুশ খন্তি,