পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ হিন্দুহোটেল ১২৯ এখানে তোমার চলবেই না, ষেরকম দাড়াচ্চে তার আর কি। হোক, ইট্টিশানে আধা ৰখরাই হোক । দিন কুড়ি-বাইশ পরে একদিন বদ্ধ বাড়ুষ্যে বেচুর গদ্বিঘরে ঢুকিয়া ষে ভাবে ধপ, করিয়া হতাশ ভাবে তক্তপোশের এক কোণে বসিয়া পড়িল, তাহাতে পদ্মবি ( সেখানেই ছিল) বুৰিল স্টেশনের হোটেল হাতছাড়া হইয়া গিয়াছে। কিন্তু পরবর্তী সংবাদের জন্য পদ্মঝি প্রস্তুত ছিল না। যছ বলিল—শুনেছেন, চকত্তি মশাই! কাণ্ডটা শোনেন নি ? বেচু চকত্তি ওভাবে যদু বাড়ুৰ্য্যেকে বসিতে দেখিয়া পূৰ্ব্বেই বুঝিয়াছিল সংবাদ ভক্ত নয় । তবুও সে ব্যস্ত ভাবে জিজ্ঞাসা করিল—কি ! কি ব্যাপার । —ইষ্টিশানের থেকে আসচি এই মাত্তর, আজ ওদের হেড অফিস থেকে টেণ্ডার মজুর করে নোটিশ পাঠিয়েছে— বেচু একথার উত্তরে কিছু না বলিয়া উদ্বিগ্ন মুখে বহু বাড়য্যের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল । —কার হয়ে গেল জানেন ? —না—সেই ভাটিয়া ব্যাটার বুঝি— —তা হলেও তো ছিল ভাল ৷ হল হাজারির, তোমাদের হাজারির— বেচু ও পদ্মঝি দু'জনেই বিস্ময়ে অস্ফুট চীৎকার করিয়া উঠিল প্রায়। বেচু চকত্তি বলিল—দেখে এলেন ? —নিজের চোখে । ছাপা অক্ষরে । নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দিয়েছে— পদ্মঝি হতবাক হইয়া যদু বাড়য্যের দিকে চাহিয়া রহিল, বোধ হইল কথাটা যেন সে এখনও বিশ্বাস করে নাই । বেচু চকত্তি বলিল—তা হলে ওরই হল! এ কথার কোন অর্থ নাই, যন্থও বুঝিল, পদ্মঝিও বুঝিল । ইহা শুধু বেচুর মনের গভীর নৈরাশু ও ঈর্ষার অভিব্যক্তি মাত্র । যন্থ বাড়ধ্যে বলিল—ও, লোকটার বরাত খুবই ভাল যাচ্ছে দেখছি। খুলে মুঠো ধরলে সোনা মুঠে হচ্ছে। আজ একুশ বছর এই রেলবাজারে হোটেল চালাচ্চি, আমরা গেলাম ভেসে, আর ও হাতাবেড়ি ঠেলে আপনার হোটেলে পেট চালাত, তার কিনা—সবই বরাত— বেচু বলিল—কেন হল, কিছু শুনলেন নাকি ? টাকা ঘুৰাৰ দিয়েছিল নিশ্চয়”— —টাকার ব্যাপার নেই এর মধ্যে । হেড অফিসের বোর্ড থেকে নাকি মঞ্জুর করেছে— এখানকার ইষ্টিশান মাষ্টার সাহেব নাকি ওর পক্ষে খুব লিখেছিল। কোন কোন প্যাসেজার ওর নাম লিখেছে হেড, অফিসে, খুব ভাল রান্না করে নাকি, এই সব । আর কিছুক্ষণ থাকিয়! ধন্থ চলিয়া গেলে পদ্মঝি বলিল—ৰলি এ কি হল, হ্যা কওঁ । —তাই তো ! বি. هة سدعة قة