পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 so বিভূতি-রচনাবলী দাদাই অগ্রজের অধিকারে পথ দেখালেন প্রথম। আগে মূও ঘুরে গেল তারই। সে ইতিহাস রীতিমত বিচিত্র । কাচড়াপাড়ার কাছে বন্দিপুর গ্রামে আমার এক দূর সম্পর্কের মামা থাকতেন, তাকে পাচুমামা বলে আমরা ডাকতুম। বাবা বেঁচে থাকতে তিনি দু-একবার আমাদের বাড়ী যাতায়াত করেছিলেন বটে, কিন্তু বাবার মৃত্যুর পরে তার যাতায়াত, বিশেষ করে দাদার সঙ্গে র্তার ঘনিষ্ঠত যেন হঠাৎ খুব বেড়ে গেল । পাচুমামা দাদার চেয়েও চার-পাঁচ বছরের বড়। কাজেই আমি পাচুমামাকে খুব সমীহ করে চলতুম। পাচুমামাও আমার চেয়ে দাদার সঙ্গে বেশী করে মিশতে । একবার পাচুমামা এসে দাদাকে সঙ্গে করে বন্দিপুর নিয়ে গেল । বন্দিপুর থেকে দিন পনেরো পরে ফিরে এসে দাদা ঠাকুরমাকে বল্লেন, ঠাকুম, আমার দুশো টাকা বড় দরকার এখুনি । কলাই মুগের ব্যবসা করছি, পাচুমাম সস্তায় মাল বাধাই করছে, চাবাদের দিতে হবে—টাকাটা এখুনি চাই । মোটা লাভ হবে দু'মাস পরে । ঠাকুরমার হাতে নগদ টাকা কত ছিল তা আমার জানা ছিল না, তবে নগদ টাকা ষে মন্দ ছিল না—এটা দাদা ও জানতেন, আমিও জানতাম । ঠাকুরমা টাকাটা দিয়ে দিলেন, দাদা টাকা নিয়ে মাল খরিদ করতে চলে গেলেন । দিল কুড়ি পরে পাচুমামাকে সঙ্গে নিয়ে দাদা আবার এসে শ দুই টাকা চাইলেন । মাল যথেষ্ট পাওয়া যাচ্ছে সস্তায় । পাচুমামার বাড়ী মাল গোলাজাত করা হচ্ছে, টাকার দরকার সেজন্তেই । পাচুমামাও দাদার কথা সমর্থন করলেন । মাল সস্তার মুখে বেশী পরিমাণে খরিদ কঃে রাখতে পারলেই লাভ । টাকাটার দরকার বটে । ঠাকুরমা জিগ্যেস করলেন—ক’ত মাল কেন &লে ? পাচুমামা বল্লে—ত দুশো মণের ওপর । এই ঢাকাটা পেলে আরও দুশো মণ খরিদ কয়। তবে । মণ পিছু আট আনা করে ধরলেও দুশো টাকা লাভ । দিলেন টাকা ঠাকুরমা । দাদা ও পাচুমাম টাকা নিয়ে চলে গেল—এরপরে মাস খানেক তাদের আর কোন পাত্ত রইল না। ঠাকুরমা ব্যস্ত হয়ে একখানা চিঠিও লেখালেন—তার ও উত্তর এল না। চিঠির উত্তরের বদলে আরও দিন দশেক পরে এলেন পাচুমামার এক ভগ্নিপতি নারাণবাৰু। নারাণবাৰু বৃদ্ধ ব্যক্তি, বন্দপুরে তারও বাড়ী। আমি তাকে কখনও আমাদের বাড়ী আসতে দেখিনি । * BBBBBB LLLLS BBB BB BBBB BBB B BB BB BttS tttS BB আছেন তো ? ব্যাপার কি ? BBBBB BBSg Dg BB 0T DD DDDBBB BDSDS BBB BBB BB টাকা দিয়েছেন এ পর্ঘ্যম্ভ r