পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ვა • বিভূতি-রচনাবলী আমারও রাগ চড়ে গেল মাথায়। আমি কল্পম—আপনি মিছে চেঁচামেচি করেন কেন ? আপনি বিষয় সম্পত্তির কিছুই বোঝেন না তাই ওকথা বলছেন। এ তে শোনাগুনির কথা নয় । দলিল দস্তাবেজের কথা, পডচা কোবালার কথা । বিষয় সম্পত্তি গাছের ফল নয় ঘে— BB BBB BB BB BB S BBB BB DB BBBB BB BBBBS DBB BBBS BBB —তিনি কি দুঃখে তেওটা বন্দিপুরের পাচু রায়ের বাবার কাছে বিষয়ের পাঁচ আনা বেচতে যাবেন ? ও সব ভুলে যান। যা শুনেছেন, ভুল শুনেছেন । বিশ্বাস না হয় আমার কথা, রেজিষ্ট্র আপিসে দুটাকা ফি জমা দিয়ে খুজে দেখুন গিয়ে সেখানে এমন কোন দলিল আছে কিনা। আমরা দলিল গোপন করতে পারি, সেখানে তো গোপন থাকবে না ? চেঁচামেচি শুনে পাডার দু-পাঁচজন জড় হলো । তারাও হৃষীকেশ বাড়ুষ্যের সরলতা দেখে কোনক্রমে হাসি চেপে রইল। যারা সেবার সাক্ষী দিতে এসেছিল ষে পাচুমামার বিষয়ের ংশ আছে, তারাই বলে গেল পাচুর এখানকার বিষয়ের অংশ আছে এমন কথা কম্মিনকালে তারা শোনেও নি । সব শুনে হৃষীকেশের বিশ্বাস হলো শেষ পর্য্যস্ত ষে এদের কথাই সত্যি । তিনি তো মাথায় হাত দিয়া বসে পডলেন—তারপরেই হঠাৎ কোথাও কিছু নেই, ডুকরে মেয়েমাস্তষের মত কেঁদে উঠলেন—আমি মেয়েটার সর্বনাশ করেছি নিজের হাতে—তখন কি জানি এমন জুয়োচুরি আমার সঙ্গে সবাই করবে—আমার অমন সোনার পিরতিমে মেয়েটা— আমায় ভালমহিষ পেয়ে— – ভাল হাঙ্গামাতেই পডা গেল দেখছি সকালবেলা । বুন্ডোর কাল্প শুনে পাড়ার লোক জড তো হলোষ্ট, বাডীর মধ্যে থেকে মা, ঠাকুরমা ছুটে এলেন, এমন কি পাচুমামার স্ত্রী পর্য্যস্ত সেই সঙ্গে ছুটে এলেন দেখতে ষে তার বাবাকে বুঝি আমি মারধর করেছি । সে এক কাণ্ড আর কি ! ••• ঠাকুরমা তো বুড়োকে অনেক অঙ্গরোধ করে তার কান্না থামিয়ে তাকে বাডীর মধ্যে নিয়ে গেলেন । অনেক কি সব বোঝালেন-সোজালেন । আমায় ডেকে খুব বকুনি দিলেন ; আমি নাকি লোকের সঙ্গে কথা কইতে জানি নে । আমি বল্লাম—এর আর কথা কষ্টতে জানাজানি কি, আমি যা সত্যি কথা তাই বলেছি । তুমিই বলে না কেন, আমাদের বিষয়ে পাচুমামার কি পাচ আনা অংশ ছিল ? মা শুনে অবাক, তিনি এসব ব্যাপার কিছুষ্ট জানতেন না। বল্পেন—সে কি কথা! পাচুর এদের বিষয়ে অংশ কন থাকবে ? এ কি রকম কথা, এ তে বুঝতে পারছি নে ? ক্রমে তিনি সব শুনলেন। আমার ও দাদার ওপর খুব রাগ করলেন শুনে। বঙ্গেনবেশ, আমার ছেলেরা যখন এ জুপ্রোচুরি মধ্যে আছে, তখন আমি পাচুর বৌয়ের ভরণপোষণের ভার নিলুম । মেয়েকে এ বাড়ীতে রেখে চলে যান। আজ থেকে ও আমাদের স্বরের লোক ।