পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অম্নবৰ্ত্তন

  • াড়াইতে বলিলেন, টোমার মার সামনে কান্না করে না। দেয়ার ইজ এ গুড বয়—আমার স্কুলের বালক কাদিবে না—আই নো ইউ উইল কিপ অাপ দি প্রেষ্টিজ অফ ইওর স্কুল—আই ८झन् ३७ भाद्दे झाइँक्छ– ছেলেটি খানিকটা বুঝিল, খানিকটা বুঝিল না ; কিন্তু সে কান্না বদ্ধ করিল, আর কখনও কাহারও সামনে কাদে নাই। এমন কি, মৃত্যুর দুই দিন পূর্বে তাহার সংজ্ঞা লোপ হওয়ার পূর্ব পর্য্যস্ত ভয় কি দুৰ্ব্বলতাস্থচক একটি কথাও তাহার মুখে কেহ শোনে নাই।

মাস্টারদের বেতন আরও কমিয়া গিয়াছে'; কারণ, জানুয়ারী মাসে নতুন ছেলে ভর্তি হয় নাই আশাচুরূপ। এই মাসের মাহিনা লইতে গিয়া মাস্টারের ব্যাপারটা জানিতে পারিলেন। চায়ের আসরে যত্নবাবু বলিলেন, আর তো চলে না হে, একে এই মাইনে ঠিকমত পাওয়া যায় না, তাতে আরও পাঁচ টাকা কর্মে গেল। কলকাতা শহরে চালাই কী করে । ক্ষেত্রবাবু বলিলেন, তবুও তো দাদা, আপনি বউদিকে পাড়াগায়ে রেখেছেন আজ ছু বছর। আমি আর-বছর বিয়ে ক’রে কী মুশকিলেই পড়ে গিয়েছি, বাসার খরচ কখনও চলত না, যদি টুইশানি না থাকত। জ্যোতিৰ্ব্বিনোদ বলিলেন, থোকার অন্নপ্রশন দেবে কবে ক্ষেত্রবাৰু ? —আর অন্নপ্রাশন ! খেতে পাই নে তার অন্নপ্রাশন ! বাসা-খরচ চলে না, বাসাভাড়৷ আজ তিন মাস বাকি । —আমার কথা যদি শোনেন, তবে অবাক হয়ে যাবেন। স্কুলের ঘরে থাকি,—ম্বরভাড়া লাগে না, তাই রক্ষে। আজ ছ মাস বাড়ীতে পাঁচটা করে টাকা মাসে, তাও পাঠাতে পারি নে। পচিশ ছিল, হল বাইশ। এখানেই বা কী খাই, বাড়ীতেই বা কী দিই ? যদুবাৰু বলিলেন, আমার ভাবনা কিসের শুনবে ? বউটাকে এক জ্ঞাতি শরিকের বাড়ী ফেলে রেখেছি দেশে। সেখানে তার কষ্ট্রের সীমা নেই। কতবার লিখেছে, পিস্তু আনি কোথায় বলে । বত্রিশ থেকে আটাশ হল। মেসে খাই তাই কুলোয় না। শরংবাবু বলিলেন, কোথাও চলে যাই ভাবি, কিন্তু এ বাজারে যাই-ই বা কোথায় ? ক্ষেত্রবাবু বলিলেন, আচ্ছ শরৎ, তোমায় একটা কথা বলি। আমাদের না হয় বয়েল হয়েছে, স্কুল-মাস্টারি ধরেচি অনেক দিন থেকে, কোথায় আর এ বয়েসে যাব ! কিন্তু তুমি ইয়ং ম্যান, কেন মরতে এ লাইনে পচে মক্কবে ? স্কুল-মাস্টারি কি কেউ শখ ক’রে করে ? সমস্ত জীবনটা মাটি। এখনও সময় থাকতে অন্য পথ দেখে নাও-তুমি, কি ওই গেম-টাচার বিনোদবাবু, কেন যে তোমরা এখানে আছ! পিওর লেজিনেসশরৎবাবু বলিলেন, লেজিনে নয় দাদা। এখানে পচিশ পেতাম, হল বাইশ। অনেক চেষ্টা করেছি, হেন আপিস নেই যেখানে দরখাস্ত-হাতে যাই নি, হেন লোক নেই যাকে ধরি নি। আমরা গরীব, নিজের লোক না থাকলে হয় না! আমাদেরকে ব্যাক তুরচে, বলুন