পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>brゲ বিভূতি-রচনাবলী একদিন বিশ্বনাথের মন্দিরে সন্ধ্যার আরতি দেখতে গেলেন দুজনেই । সেখানে এক সন্ন্যাসিনী নাটমন্দিরে বসে আছেন, গেরুয়া কাপড় পরনে, মাথায় জটা, অনেক মেয়েছেলের ভিড় হয়েচে সেখানে । নীরজা তো সাধু সন্ন্যাসী দেখলে সৰ্ব্বদা একপায়ে খাড়া, চারিপাশের ভক্তের দলে গেল মিশে তাকে নিয়ে । দ্রব ঠাকরুণ শুনতে লাগলেন কেউ জিজ্ঞেস করচে, মাইঞ্জি, ঠাকুরের দেখা পাওয়া যায় ? কেউ বলচে–মাইজি, আমার মেয়ের মাদুলি দেবেন তো আজ ? -- আজ আমার হাতখানা দয়া করে দেখবেন কি ? নীরজা জিজ্ঞেস করলেন—মাইজি, আমার ভক্তি হচ্চে না কেন ? দ্রব ঠাকরুণ শুনে মনে মনে হেসে আর বঁাচেন না। সৰ্ব্বদা সাধুসমিলি নিয়েই আছে, এখানে প্রণাম, ওখানে ধন্না, দুঘণ্টা ধরে নাক টেপা—এতেও যদি তোমার ভক্তি না হয়ে থাকে, গঙ্গার জলে ডুবে মরো গিয়ে—ঢং দেখে আর বঁচি নে ! মরণ আর কি ! তারপর সবাই চলে গেল—নীরজা সেই যে সেখানে চোথ বজে ধ্যান না কি যোগে বসলে। আর ওঠে না । দ্রব ঠাকরুণও কিছু বলতে সাহস পান না । এদিকে তার মনে পড়লে। স্বজি একদম নেই, সেকথা এতক্ষণ মনে ছিল না, এত রাত হয়ে গেল কোথায় বা স্বজি কেন হবে। রাত্রে একটু মোহনভোগ খাওয়া, তাও আজ ধৰ্ম্মের ভিডে বুঝি বা হয় না। বসে বসে দ্রব ঠাকরুণ বিরক্ত হয়ে উঠলেন । মন্দির থেকে বাঙালী মেয়ের প্রায় সব চলে গিয়েচে, এদেশী লোক যারা হিন্দি মিন্দি বলে, তাদের দলই যাচ্চে আসচে ! কি জানি ওদের কথা তিনি কিছুই বুঝতেও পারেন না, বলতেও পারেন না। আজ মাস তিনেক গ্রাম থেকে এসেচেন। বেশ শীত পড়ে গিয়েচে কাশীতে। মুংলি গোরুটার কথা এত করেও আজকাল মনে পড়চে ! শীতের রাত্রে পাছে মূংলির কষ্ট হয় বলে তিনি গোয়ালে আগুন করে রাখতেন । তার গাছটাতে খুব ডুমুর হয়েচে নিশ্চয়, কে জানে একটা গাছ ডুমুর কারা খাচ্চে ? কম ডুমুর হয় গাছটাতে ! আহা, ন'বে কি মুংলিকে অত যত্ন করচে ?—তার মত ? তিনি যে পেটের মেয়ের মত ওকে-না, তার চোখে জল এসে পড়ে | 龜 আজই এতকাল পড়ে ন’ বৌয়ের পত্র এসেচে দেশ থেকে। তাই বেশি করে মনে পড়চে দেশের কথা। ন'বে লিখেচে মুংলি ভালো আছে, শীগগির বাছুর হবে। তার বাড়ীর দাওয়ার খুটি না বদলালে নয়। কাছ বা বিনোকে যেন চিঠি লেখা হয় সেজন্তে । নীরজা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে ধ্যান ভঙ্গ করে উঠে দাড়িয়ে বঁল্পেন—দিদি, চলে যাই..সত্যি কি পবিত্র স্থান, না ? ইচ্ছে হয় না যে আবার সংসারে ফিরে যাই, রাধি খাই। সুব ঠাকরুণ মনে মনে বল্পেন—মরো-না এখানে শুকিয়ে হত্যে দিয়ে—কে মাথার দিব্যি দিয়েছে রাঁধতে খেতে । নীরজা বলেন-করষ্ঠাসটা অভ্যেস করচি কি না, প্রায় হয়ে এল— जबबौ नौङ्गव। भानेझैो स्थाश्रज नाकि ? कि जद बाल cवाको७ बाग्न मा । ब्राज्र इश्रुद्ध