পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবর্তন ছুটির ঘণ্টা এইবার পড়িবে। শেষের ঘণ্টাট। কি কাটিতে চায় ? ক্ষেত্রবাবু ও ধৰ্ছবাৰু তিনবার ঘড়ি পেখিতে পাঠাইলেন। চারিট বাজিতে পনেরো মিনিট, আট মিনিট এখনও চার মিনিট । স্কুল-ঘরের নীচের তলায় একটা অন্ধকূপ ঘরে থার্ড পণ্ডিত জগদীশ ভট্চাজ জ্যোতিবিনোদ মশায় আছেন। বাড়ী পূৰ্ব্ববঙ্গে, দশ বৎসর এই স্কুলে আছেন, কুড়ি টাকায় ঢুকিয়াছিলেন, এখনও তাই—গত দশ বৎসরে এক পয়সা ও মাহিনী বাড়ে নাই। অবশ্য অনেক মাস্টারেরই বাড়ে নাই—হেডমাস্টার ও য়্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমাস্টার ছাড়া। হেডমাস্টারের মাহিনী গত চারি বৎসরের মধ্যে দুই শত টাকা হইতে দুই শত পচাত্তর এবং মি: আলমের মাহিন। যাট झहेरउ *कां*ि श्झेग्रांtछ् । ভুলিয়৷ যাইতেছিলাম, মিস সিএসনের মাতিন। গত দুই বৎসরে এক শত হইতে দেড় শন দাড়াইয়াছে। উপরের তিন জনের মাহিনী বছর বছর বাড়িয়া চলিয়াছে, অথচ নীচের দিকের শিক্ষকগণের বেতনের অঙ্ক গত দশ পনেরো বিশ বৎসরে ও দারুব্রহ্মবং অনড় ও আচল আছে কেন-এ প্রশ্ন উত্থাপন করিবার সাহস পৰ্য্যন্ত কোন হতভাগ্য শিক্ষকের নাই। যে কথা থাকৃ। জগদীশ জ্যোতির্বিবনোদ সিকূস্থ ক্লাসে বাংলা পড়াইতেছিলেন। তিনি শেষ ঘণ্টার দীর্ঘতায় অতিষ্ঠ হইয়া একটি ছেলেকে ঘড়ি দেখিতে পাঠাইলেন। আপিস-ঘরে ঘড়ি। সিড়ির মুখে দাড়াইয়া ঘাড় বাড়াইয়। চালাক ছেলের ঘড়ি দেখিয়া ফিরিয়া আগে, যাহা.ে হেডমাস্টারের চোখে না পড়িতে হয়। কিন্তু ভাঙা পা থানায় পড়ে। জগদীশ জ্যোতির্বিবনোদের প্রেরিত হতভাগ্য ছাত্রটি একেবারে হেডমাস্টারের সামনে পডিয়া গেল— ঘড়ি দেখিতে চেষ্টা করিবার অবস্থায় । o ক্লার্কওয়েল ভীমগর্জনে স্থাকিলেন, হোয়াট ইউ আর ট্রাইং টু লুক য়্যাট । ইউ । কাম আপ ! ছোট ছেলেটি কঁাপিতে কঁাপিতে আপিস-ঘরে ঢুকিল। সেখানে মিঃ আলম বসিয় ছিল। আলম জিজ্ঞাসা করিল, কী করছিলে নন্দ ? —ঘড়ি দেখছিলাম স্তার। —কেন ? ক্লাসে কেউ নেই ? —আঞ্জে, থার্ড পণ্ডিত মশাই আছেন। তিনি ঘড়ি দেখতে পাঠিয়ে দিলেন। আলম ও হেডমাস্টার পরস্পরের দিকে চাহিলেন। —আচ্ছ, যাও তুমি। - মিঃ আলম বলিলেন, চলবে না স্বার। কতকগুলোটচার আছে, একেবারে,অকৰ্ম্মণ্য, শুধু ঘড়ি দেখতে পাঠাবে ছেলেদের। কাজে মন নেই। এই থার্ড পতিত একজন, যদুবাবু,