পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাগত & v(t সবাই একবাক্যে বলে উঠলোঁ—আমরা একবার দেখবে—তিনি কাউকে দেখা দেন না । কারো কাছে কিছু চান না তো তিনি । ন্যানিফাস বল্লে—আচ্ছা নিয়ারা, তুমি একজন এদেশী ধাপ্পাবাজের পাল্লায় পড়ে গেলে কি বলে ? এ যে-রকম শুরু হোল দেখচি, কবে আমাদের বন্ধু ডিওন মুণ্ডিতমস্তক বৌদ্ধ ভিক্ষু ম৷ ट्रश #ांप्लांश ! স্বরাপায়ী, বিলাসী, স্থূলদেহ ডিওন পঙ্ককেশে পুষ্পমালা ধারণ করে একপাশে পর্যাঙ্কে শুয়ে ছিলেন, তাকে মুণ্ডিত-মস্তকে বৌদ্ধ ভিক্ষুর বেশে কল্পনা করে সর্বপ্রথমে প্রৌঢ় সুন্দরী নিয়ার। ষ্টি ষ্টি করে হেসে গড়িয়ে পড়লে, পরে ডিওনের সব বন্ধই সেই হাসিতে যোগদান করলে। এমন সময় দেখা গেল, একজন দীর্ঘদেহ কেীপীনধারী লোক, সৰ্ব্বাঙ্গে বিভূতি মাখ, হাতে কমণ্ডলু, আয়ত চক্ষুদ্বয় জ্যোতিষ্মান—কোন সময়ে ছাদের ওপর এসে দাডিয়েচে । সকলে চমকে উঠলো—ডিওন বল্লে—কে তুমি ? সন্ন্যাসী বল্পেনা-বাবাজিদের জয় হোক । —কি ?.এ উত্তর শুধু ডিওন দিলেন । —এই মেয়েটি আমায় বড় মানে । আমি একে এই পাপজীবন থেকে উদ্ধার করতে চাই । আপনারা এখানে আর আসবেন না । —কোথায় যাবে আমরা ? তুমি কোন নবাব এলে জানতে পারি কি ? সন্ন্যাসী রোষকষায়িত নেত্রে বল্পেন-বৃদ্ধ লম্পট। পরকালের দিন সমাগত, ভয় হয় না ? এখনও এই সব— সবাই মিলে হুঙ্কার দিয়ে ঠেলে উঠলো---এত বড় স্পদ্ধা ! --- ---কিন্তু আশ্চৰ্য্য, কারো সাধ্য নেই যে নিজ নিজ আসন ছেডে উখিত হয় । ডিওনকে দেখা গেল তার স্থূলদেহ নিয়ে তিনি পর্যাঙ্ক থেকে উঠবার চেষ্টায় নানারূপ হাস্যকর অঙ্গভঙ্গি করচেন—এ যেন এক রাত্রির দুঃস্বপ্ন । ......সন্ন্যাসী মৃদু হেসে বল্লেন–নিয়ারাকে আমি কন্যার মত দেখি, মা বলে সম্বোধন করি । ওর পারলৌকিক উন্নতির জন্যে আমি দায়ী । তোমাদের মত স্বরাসক্ত লম্পট ওকে অধঃপতনের পথে নিয়ে চলেচ । তোমাদের সাবধান করে দিয়ে গেলাম । এর পরেও যদি এসো, বিপদে পড়ে যাবে। পরে হ্যানিফাসের দিকে চেয়ে বল্লেন---শোনো, তোমার দিন আসন্ন ; এই স্বরা ও নারী তোমাকে মৃত্যুর পথে নিয়ে যাবে। পরকালের কথা চিন্তা কর। এখন থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে একটি প্রশস্ত রাজপথের পার্শ্ববর্তী পুরাতন কুপে তোমার মৃতদেহ ভাসচে আমি দেখতে পাচ্চি— 灘 ছানিফাসের মুখ হঠাৎ বিবর্ণ, পাণ্ডুর হয়ে উঠলো স্বরার নেশা ততক্ষণ তার এবং সকলেরই কেটে গিয়েচে । —আর ডিওন, তোমার বংশে একটি অদ্ভুত পরিবর্তন আসন্ন। কিন্তু সেজন্যে তুমি ভগবানকে ধন্যবাদ দিও—বিদায় “আমি চলে গেলে তোমরা পূৰ্ব্ব অবস্থা প্রাপ্ত হবেবিদায় !••••••