পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

सपनांथांबूलं ' \లిe সম্বন্ধে এমন উচ্চুলিত হবে, যেন কারো নাতনি কোন দিন ম্যাট্রিক পাশ করে নি। সব নাতনিই অসাধারণ, সাধারণ নাতনি একটাও চোখে পড়ে নি। নাতনির প্রসঙ্গের পরে উঠবে বাতের প্রসঙ্গ, দাতের ব্যথার প্রসঙ্গ, রক্তের চাপের প্রসঙ্গ। যমদূত যেন দণ্ড উচিয়ে বসে আছে পার্কটার প্রত্যেক বেঞ্চিখানার ওপরে। সে আবহাওয়ায় বসলেই মনে হয়— "এবার দিন ফুরুলো সম্ঝে চলে ইহকাল পরকাল হারিও না—” কিংব৮–“মনে কর শেষের সে দিন ভয়ঙ্কর” কিংবা—“ধাশের দোলাতে উঠে কে হে বটে যাচ্চ তুমি শ্মশানঘাটে—” 聽 ইত্যাদি ।••• দিন কতক গিয়ে তাই রায় বাহাদুর আর ওই সব ক্ষুদ্র সামাজিক পার্কে যান না, যেখানে বাতব্যাধিগ্রস্ত পেনসনভোগী বৃদ্ধদের যাতায়াত। তার চেয়ে আসেন তিনি এই লেকের ধারে, খামবনকুঞ্জ পাও রে । হরিৎবর্ণ দ্বীপটি জলের এক দিকে, কত স্বগঠিত-দেহ তরুণ, কত প্রণয়চপল৷ তরুণী কলেজের ছাত্রী আসে যায়। ওয়াকাইয়ের দল কলহান্তে চটুলপদে বেড়ায় মাঝে মাঝে, ঠোটে রঙ, খাকির আটসাট পোশাক পরনে । না, এখানে লাগে ভালো। যৌবনের হাওয়া বয় সৰ্ব্বদা | তিনি এখনো বঁাচবেন অনেক দিন । হাত দেখিয়ে বেড়ান এখানে সেখানে রায় বাহাদুর, সেদিন কাজ ন পার্কে এক উড়িয়া জ্যোতিষী তাকে বলেচে । তা ছাড়া এ তিনি জানতেন । তার আয়ু যে প্রায় নব্বইয়ের কান ঘেষে যাবে, জ্যোতিষী না বললেও তা তিনি জানেন । আজ এত পয়সা রোজগার করেও, কলকাতায় এত বড় বাড়ী করেও,ভি-এইট ফোর্ড চালিয়েও মনে হচ্ছে রাতুলপুরের সেই দিনগুলো চব্বিশ বছরের সতেজ যৌবন নিয়ে যদি আবার ফিরে আসতো...সেই বাশবনের দিকে চেয়ে স্বপ্ন দেখা---ঢং ঢং করে ঘণ্টা বাজাতো নবীন নাপিত•••কত নিজনে বসে জীবনের ভবিষ্যতের স্বপ্ন বিভোর হয়ে থাকা... তখন ছিলেন গীৰ স্কুল-মাস্টার, আজ তিনি বড়লোক। স্কুল-মাস্টারি ছেড়ে এক বন্ধুর পরামর্শে ব্যবসা ধরলেন, ইনশিওরেন্সের কোম্পানী খুললেন নিজে, বড় আপিল হোল, ধুলোমুঠো ধরলে সোনামুঠো হোতে লাগলো। দেশহিতকর কাজও দু’চারটা যে না করেচেন এমন নয়, পয়সা যথেষ্ট হয়েচে । ছেলেরা বলে—ভালো গাড়ী কিছুন বাবা । একখানা মার্সেডিজ বেনজ দেখে এলাম কাল—খরগোশের মত নিঃশব্দে চলে—কি ফোর্ড গাড়ীতে চড়কে ठिंब्रक्लिन ! যুদ্ধের আগেকার কথা অবিপ্তি। তেলের অভাব ছিল কি ? কিছু ক্যালকাটা প্রপার্টিজও করলেন, যার জন্তে কলকাতার বড়লোকেরা ছ। করে থাকে।