পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

षश्ाोक्षद्भिं eళ్నీ হীক মাস্টার বলে—যুমোও গে যাও— –কিন্তু মুই যে তোমাদের মত নিশ্চিন্দি হতে পারি নে তার কি হবে । ধানগুলোর ঝকি যে মোর ঘাড়ে ফেলে সে বাৰু দিব্যি চাঙা হয়ে বসে আছেন। এবার আস্থৰ, কিছুতেই জার এ বোঝা ঘাড়ে রাখচি নে মুই। কিন্তু নিজের ইচ্ছেতে তার ছাড়তে হয় নি। বৃদ্ধ বয়সে তিন দিনের জরে রূপে কাকা আমাদের গোলার দায়িত্ব নামিয়ে চলে গেল। এও সাত-আট বছর পরের কথা । আমরা তখন স্কুলে পড়ি । সবসুদ্ধ ত্রিশ-বত্রিশ বছর ও ছিল আমাদের বাড়ী । বাবার সঙ্গে আমরাও দেখতে গেলাম রূপো কাকাকে । রূপে কাকার ছোট চালাঘর। একদিকে ডোবা, একদিকে বঁাশঝাড় । ছেড়া মলিন র্কাখা মুড়ি দিয়ে শীর্ণ, শাদা দাড়ি রূপে কাক পুরনো মাদুরে ওয়ে। রূপে কাকার ছেলের নাম বেজ, লোকে বলে বেজা বাঙাল। বেজ৷ আমাদের দেখে বললে—আস্থন বাবুরা, দেখুন দিকি বাবারে ? জ্ঞান নেই, ভুল বকচে— 醫 বাবা ওর মুখের ওপর ঝুকে পড়ে বললেন—ও রূপোদা ? কেমন আছ, ও রূপোদা— রূপে কাকা চোখ মেলে বললে—কেভা ? সীতেনাথ ? কবে এলে ? —এই পরশু এসেচি । —বেশ করেচ। এই শোনো, খাতার মুড়োয় লিখে রাখে, মুই চিড়ে খাবার বেনামূরি ধান নিইচি চার কাঠা, আহাদ মণ্ডল কলাই দু কাঠ, বাড়ী দু কাঠা, বিটু ধেরিসি ছ কাঠ ধান, বাড়ী চার কাঠা—মোর ধান পোষ মাসের ইদিকে দিতি পারবো না বলে দিচ্চি—ভুলে যাবে, লিখে রাখেী— এই রূপো কাকার দায়িত্বের শেষ। আর কোন কথা বলে নি রূপে কাকা । সেদিন সন্ধ্যেবেলা রূপো কাকা আমাদের গোলা-পালার দায়িত্ব চিরদিনের মত ঝেড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেল । ৰিশ্বস্ত লোকেদের জন্তে কি কোন স্বৰ্গ আছে ? যদি থাকে, আমাদের বাল্যের রূপে কাকার আসন অক্ষয় হয়ে আছে সেখানে । আজ ত্রিশ বছর আগেকার কথা এসব । এই সব চোরাবাজারের দিনে, জুয়োচুরির দিনে, মিখ্যে কথার দিনে বডড বেশি করে রূপো কাকার কথা মনে পড়ে ।