পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

पश्रजांथां★♚ ●ጫ© গঙ্গার ধার বেয়ে বেয়েই রাস্ত অনেক দূর চলে গিয়েচে ! যদি আবার পাড় ভাঙে, বিশ্বাস কি । নন্দকে বললাম–নন্দদা, আমি যাবে না, তুই যা । আমি বাড়ী যাই—বলেই স্বীকার করতে এখন লজ্জা হয়, কেঁদে ফেললাম । নন্দ কাছে এসে বললে—ওই দ্যাথো, নাও, কেঁদে উঠলি কেন ? কি মুশকিলেই পড়া গেল দ্যাখে । বাড়ী যেতে পারবি নে একলা । চল তোকে পাগল ঠাকুরের আস্তানায় রেখে আসি । এইভাবে এই অদ্ভুত লোকটির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ঘটলো। এ অঞ্চলে আমি আছি আজ মাস দুই। পাগল ঠাকুরের সম্বন্ধে অনেক কথা শুনে আসচি এতদিন । শুনেছিলাম প্রথম আমার মাসিমার মুখে । আমি বলেছিলাম—সে কে মাসিমা ? —গঙ্গর তীরে থাকে। সাতনীলর চরের এপারে। —কে সে ? —জেতে বুনো। ওখানে আস্তানা করে আছে ঘর বেঁধে আজ বিশ ত্রিশ বছর। আমার তো বিয়ে হয়ে এখানে এসে এস্তক শুনে আসচি। অনেক ছোট জেতের গুরুদেব । মাঘ মাসে তার ওখানে মেলা বসে, লোকজন আসে, দোকান পসার জমে । —আমি একদিন দেখতে যাবো ? —না, যায় না। বুনো বাগি, ছোট জেতের কাও, সেখানে কি দেখতে যাবি তুই ? ছুলে যাদের গঙ্গাস্নান না করলে শুদ্ধ হয় না ! সেই বিকেলে আমার মাসতুতো ভাই নন্দ আমায় পাগল ঠাকুরের আস্তানায় বসিয়ে রেখে চলে গেল। বললে—ফিরে না আসা পর্য্যস্ত বসে থাকবি— একটা বাবলা বনের মধ্যে দুখানা খড়ের ঘর। একটা ছোট গোয়াল ঘর, তাতে ছুটি গাইগরু বাধা। একখানা ঘরের দাওয়া অত্যন্ত নিচু, সেখানে খানকতক পিড়ি আর খেজুরের চেটাই পাতা। বাবলা গাছে ফুল ধরেচে, ফুল ঝরে ঝরে নিকোনো পুছোনো পরিষ্কার উঠোনট ছেয়ে রেখেচে । একটি বৃদ্ধ স্ত্রীলোক গোয়াল ঘরে ঘুটের সাজাল দিচ্ছে। আর কেউ কোথাও নেই। 顧 এমন সময় একটি লোক বাবলা বনের ওধার থেকে বড় ঘরখানার দাওয়ায় এসে একখানা দা GDDDDS DB BBB BB BBB BBB BBB BBB BBS BBB BB BB BBB উপরে পড়েচে, মাখায় লম্বা লম্বা জট পাকানো চুল, পরনে অতি মলিন এক কাপড়-দেখে পাগল বলে মনে হয় । * লোকটা জামাকে লক্ষ্য করে বললে—কে ওখানে f কে গা ? জায়ার তয় হয়েচে । আমি আমতা আমতা করে বললাম—এই—এই—৬ই জামার মালির বাড়ি—