পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चनांथांब्रजं \96יש. भांनन निरग्न अंiहि । ও হালিভরা উজ্জল চোখ দুটি আর নারদের মত সাদা দাড়ি, শিশুর মত সরল মুখ ওর কথার সত্যতা সপ্রমাণ করতো-••সেই আনন্দ ছোয়াচে রোগের মত পেয়ে বসতো সবাইকে, যে ওর সংস্পর্শে আসতো । এর একটা উদাহরণ মধ্যে একদিন প্রত্যক্ষ করলাম। কোথা থেকে একদল মেয়ে-পুরুষ ওর ওখানে এল। বেঁচেকা-বুচকি এক একটা পিঠে বাধা । শুনলাম ওরা পাগল ঠাকুরের শিষ্য। এই যে মালিমা বলেন, ছোট জেতের গুরু । কিন্তু গুরুর মত সন্নমস্থচক ব্যবহার করে ওরা দূরে রইল না। সবাই একসঙ্গে বসে তামাক খেলে হাতে হাতে কন্ধে পরিবেশন করে। পাগল ঠাকুরের চারিদিকে গোল হয়ে বলে একতারা বাজিয়ে গান করলে, হাসিখুশি, আনন্দ, খাওয়া-দাওয়া। ওদের মুখ দেখে মনে হোলো জীবনে ওদের কোন দুঃখকষ্ট নেই। খাওয়া-দাওয়া তো ভারি, পাগল ঠাকুরের ভাণ্ডার কারো আপন নয়, যার খুশি নিজের হাতে চাল বার, করে নিচ্চে, বুনোপাড়া থেকে দুটো রাঙা শাকের ডাটা নিয়ে এল, ডুমুর পাড়লে—চড়ালে ভাত, মুন ছড়িয়ে সবাই আঙট কলার পাতায় ভাত ঢেলে একসঙ্গে খেলে, গুরুও বাদ গেলেন না । দিনটা আনন্দ করে সন্দোর দিকে সবাই বোচক-কুঁচকি নিয়ে চলে গেল । আমিও চলে এলাম তার পরের দিন । এরপরে আবার সে গ্রামে যাই যেবার ম্যাট্রিক পাস দিয়ে কলেজে ঢুকেচি “মাসিম আগের চেয়ে বৃদ্ধা হয়ে পড়েচেন, চোখে ভালো দেখতে পান না । বললাম–পাগল ঠাকুর বেঁচে আছে ? মাসিম বললেন—অাছে না তো যাবে কোথায় ? তোমার বুঝি সেখানে যাওয়া চাই-ই ? আহা, কি যে দেখেচ ওর মধ্যে তুমি ! ছেলেবেলা থেকে দেখে আসচি এই কাও— পাগল ঠাকুরকে অন্য চোখে দেখলাম। সেই ছোট খড়ের ঘরের আশ্রম, সেই সদানন্দ সাদা দাখিয়াল বৃদ্ধ, সব তেমনি আছে। চার বছর আগের মত চেহারাই আছে, বিশেষ কোনো BBBBB B S BBB BB BBBSBDDBB DDS DDDS BBS BBS BBBD DD কত বলি। কবে এলে ? —আজই। তুমি ভালো আছ ? —গুরু-গোসাইয়ের কৃপায় আছি ভালোই ৷ বসে, গান শোনবা ? -গান শোনবীর জন্তেই তো আসা । —শপা খাব না ছেলেবেলাকার মত ? - --না, শোনো, এখন আর ছেলেমানুষ নই। তুমি যা খুশি খেতে দিতে পারে, তাত পৰ্য্যন্ত । ছেলেমানুষ মই আখ, কারো এস্তাজারির মধ্যে নেই এখন। তোমার এখানে খাবে, তাতে মোৰ কি ? রাধো না তেমনি ভুমূর্ব-ভাতে ভাত ?