পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইে অরণ্য কথা কও ৪২৭ পাশে, সৰ্ব্বত্র বহু মাইল নিয়ে। দেখলে ভয় হয়, কৌতুহল হয়, বিস্ময় হয়—আবার কি জানি কেন শ্রদ্ধাও হয় । হঠাৎ ফরেস্টার বল্পে—পাশে আর একটা গুহা আছে— —কতদূরে ? —এই পাশেই হুজুর । দুর্গম লৌহগ্রস্তরের boulder ও জলা, নরম মাটি ঘন জঙ্গলে। জমি উপরের দিকে উঠচে । পাশের পাহাড়ের ছাদটা ক্রমনিম্ন হয়ে এসে এই গুহ তৈরি করেচে বেশ বোঝা যাচ্চে । কিন্তু ক্ষইয়ে গুহা তৈরী হোল কি ভাবে ? ঐ লোহ-চোয়ানো ঝর্ণ কি এর হাতিয়ার ? পাশেই সে গুহা দেখলুম। ঢুকলাম তার মধ্যে। এট আরও বড়, ব্যদিকে উচু টিবি মত, লোহা-চোয়ানি জল রাঙা পলি ফেলে আন্দাজ লক্ষ বৎসরে এই মাটির ভূপ তৈরি করেচে। ফরেস্টার দেখালে—আবার একটা বাঘের পায়ের দাগ দেখুন হুজুর— সত্যি, ঠিক গুহার মুখে লোহা-চোয়ানো রাঙা মাটিতে। —আর দেখুন, শাহী আর হরিণের পায়ের দাগ—বহুত । —শাহী কি ? মিঃ সিনহা বল্পেন—পকুপাইন— ভাবলুম বাঘ আর অন্যান্য বন্য জন্তুর আডড তো হবেই এমন গুহাতে । এরও সামনে তেমনি ঘন জঙ্গল, খুব মোটা একটা জংলি আম গাছ । নিবিড়, দুর্ভেদ্য জঙ্গল চারিপাশে । কত কথা মনে আসে । প্রাগৈতিহাসিক মানব কি এ গুহায় বাস করতে ? মেঝের মাটি খুড়লে বোধ হয় তাদের চিহ্ন পাওয়া যায়। কত লক্ষ বছরের মৌন ইতিহাস এই গুহার মেজেতে আঁকা আছে—ওই সব বন্য জন্তু-জানোয়ারের মত। কতকাল আগে, পৃথিবীর কোন আদিম শৈশবে এ গুহা তৈরী হয়েচে আপনা-আপনি—কোন আদিম মানববংশ প্রাগৈতিহাসিক যুগের আদিম অরণ্যানীর মধ্যে এখানে বাস করতে, কত লক্ষ লক্ষ বৎসর দূরে মন চলে যায় মহাকালের বীথি-পথ বেয়ে । বিস্ময়ে মন স্তন্ধ হয়ে যায় । বেশি ভাবতে পারা যায় না। ঐ বনানী-শীর্ষে রাঙা রোদ যেমন আজ, তেমনি কত লক্ষ কোটি লক্ষ কোটি স্বৰ্য্যাস্ত,স্বৰ্য্যোদয়, লক্ষ কোটি লক্ষ কোটি পূর্ণিমা অমাবস্তাদেখেচে এই স্বপ্রাচীন পাৰ্ব্বত্য-গুস্থা—যার তুলনায় বেদ-গাথা রচয়িতা ঋষিরা, উপনিষদের কবিদার্শনিকেরা, বেদব্যাস, বাল্মীকি, বুদ্ধ, কপিলাবাস্তু, অশোক কলিঙ্গযুদ্ধ-কালকার কথা। আচ্ছা, কেউ থাকতে পারে এখানে এক ? উপনিষদের ঋষিরা কি এমনি নিবিড় বনের গুহায় এক থাকতেন ? এখনও কি সাধুসন্ন্যাসীরা ঠিক এমনি নির্জন অরণে এমনি গুহায় এক থাকেন ? এসবের উত্তর কে দেবে ? মাথা ঘুরে ওঠে যেন ভাবলে। কত অদ্ভুত অদ্ভূত কথা মনে DBBS BBBB BBBB BB gDDDS BB BB BBB BBS DD DDDS BBB BB