ভূমিকা বিরাজ-বেী উপন্যাসের নাট্যরূপ এইবার লইয়া তিনবার দেওয়া হইল। কথায় বলে বার বার তিনবার। দেখা যাক, এবারের প্রচেষ্টা কতদূর সফল হয়। যদি হয়, তবে বিরাজ-বেী-এর বরাত ও আমার হাতঘশ । প্রথম নাট্যরূপ দান বহুকাল পূৰ্ব্বের ঘটনা। তখন শ্ৰীগিরিমোচন মল্লিকের পরিচালনায় স্টার থিযেটার চলিতেছে । সুপ্রসিদ্ধ নাট্যকার শ্ৰীভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিরাজ-বেীকে রূপান্তরিত করিলেন এবং স্টার রঙ্গমঞ্চে নামিয়া বিরাজ-বেী সাধারণকে দর্শন দিল । কিন্তু সে নাটক রঙ্গমঞ্চ ছাড়িয়া মুদ্রাঘন্ত্রের মারফৎ সাধারঙ্গর ঘরে ঘরে বিরাজ করে নাই । সে নাট্যরূপ কোথায তাঙ্গা জানি না । অনেকদিন পরে। তখন নাট্যাচাৰ্য্য শ্রশিশিরকুমার ভাদুড়ী তাঙ্গর সম্প্রদায় লইয়া “নব নাট্যমন্দির” নামে স্টার থিযেটার গৃহে অভিনয় করিতেছেন। সে সন ১৩৪১ সালের কথা । একদিন অসামান্ত সুন্দরী বিরাজ-ীে-এর উপর শিশিরকুমারের দৃষ্টি পড়ল, এবং বলা বাহুল্য, মনও পড়িল । তিনি নূতন রূপে সাজাইয বিরাজকে সঙ্গে লইয: মঞ্চে অবতীর্ণ হইলেন । এবার বিরাজ-বেী থালি মঞ্চাবতরণ করিয়াই থামিল না। সে মুদ্রারাক্ষসকে ভয় না করিয়া পূর্ণ আত্মপ্রকাশ করিল পাঠক সমাজে। সে সমযে শিশিরকুমারের যাদুস্পর্শে এই নব-সাজের বিরাজ-বে। যে নাট্যরসিক সমাজে সমাদৃত হইয়াছিল তাছা বলা বাহুল্য। কিন্তু সে
পাতা:বিরাজবৌ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।