পাতা:বিলাতযাত্রী সন্ন্যাসীর চিঠি - ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
বিলাত-যাত্রী

মঙ্গলবারে আমি―হিন্দু চিন্তা ও পাশ্চাত্য শিক্ষা (Hindu Thought and Western Culture)—বিষয়ে বক্তৃতা করি। এখানকার সংস্কৃত অধ্যাপক (Boden Professor of Sanskrit) এ-এ মগ্‌দানল এম-এ সভাপতি ছিলেন। লোক জন মন্দ হয় নাই। কলিকাতার জর্জ ট্রিভিলিয়ান (Trevelyan) উপস্থিত ছিলেন। আমার বক্তৃতার মর্ম্ম এই যে জীবন পথের জটিল সমস্যা ভঞ্জন করিতে য়ুরোপীয়েরা কেন হিন্দু চিন্তাপ্রণালীর সাহায্য না লয়। যুদ্ধের সময় ভারতের সৈনিক চাই। কিন্তু প্রবৃত্তির সহিত নিবৃত্তির যুদ্ধের সময় ভারতের দর্শন কেন না চাই। হিন্দু জাতি কেমন করিয়া সমস্যা ভঞ্জন করে তাহার দুই একটু নমুনা দেখাইলাম আর বলিলাম—শুধু সুখ্যাতি করিলে হইবে না—হাতে কলমে কোরে দেখিতে হবে―তা হোলে সুফল ফলিবে। খুব হাততালি। লোকে আরও বক্তৃতা শুনিতে চায়। আমিও তাই চাই।

নামটা একটু রোটে গেছে। ছোকরা মহলে কথা চোলেছে। অধ্যাপকেরাও কানাকানি করিতেছেন। যাঁরা সিভিলিয়ানদের পড়ান তাঁরা আমার খুব বন্ধু হোয়েছেন। এবং দুচার জন যারা সিভিলিয়ানি পাস কোরেছে ও শীঘ্র ভারতে যাবে তারাও বক্তৃতা শুনে খুসি হয়েছে। এখানে কালেজ ১৩ই ডিসেম্বরে বন্ধ হবে। তার মধ্যে আমি তিনটি বিষয়ে বক্তৃতা করিব। প্রথম—হিন্দুর আস্তিক্যতত্ত্ব (Hindu Theisim)―২য় হিন্দুর নৈতিকতত্ত্ব (Hindu Ethics)―৩য় হিন্দুর সমাজতত্ত্ব (Hindu Sociology)। আমার ভাগ্য ভাল। বেলিয়ল (Balliol) কালেজের প্রধান অধ্যাপক (Principal এখানে Master বলে) ডাঃ কেয়ার্ড (Dr Caird) আগামী বারে সভাপতি হইবেন। ইনি বর্ত্তমানে ইংলণ্ডের একজন প্রধান দার্শনিক। সকলেই বলিতেছে এটা বড় সম্মানের বিষয়। বাস্তবিক