ব্রাহ্মণ। মা, এ সংসারে তাঁর দ্বিতীয় নাই, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সাক্ষাৎ দয়ার সাগর।
দয়া। ঠাকুর, কি বল্লে বিদ্যাসাগর।
ওগো সেই যে আমায় করত আদর।
আহা! সেথা যেওনা যেওনা,
তার দেখা পাবেনা পাবেনা।
এ ধরা পাপে ভরা,
আপন নিয়ে সবাই মরা;
অমন মানুষ কি হেথায় রয়,
ভবের জ্বালা সে ক দিন সয়।
ব্রাহ্মণ। কি বল বাছা, কি বল বাছা, বিদ্যাসাগর মশাই নাই! তাঁর স্বৰ্গলাভ হয়েছে! আমি যে বড় আশা করে এই বৃদ্ধ বয়সে পথকষ্ট সয়ে এই পৌত্রটীকে তার হাতে সঁপে দিতে যাচ্ছিলেম; না না তোমার ভুল হয়েছে, তুমি মিছে শুনেছ; অমন মানুষ গেলে কাঙালের উপায় কি হবে? অনাথেরা আর কার কাছে দাঁড়াবে? এই সাঁওতালরা ত পাহাড় থেকে ঝাঁপ দেবে। বাছা, তুমি সত্য বলছ? কোথায় শুনলে, কার কাছে এ সংবাদ পেলে?
দয়া। বাছা, সে ছিল আশ্রয় আমার,
দুঃখের ধরায় দয়ার আধার;
সাথে করে মোরে যেত ঘরে ঘরে
রোদন দেখলে বদন মুছাত;
ব্যথা পেয়ে নিজে
পরের ব্যথা ঘুচাত।