পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাবি না । কোন দলিল নাই । আপনি কিছু উপায় করিতে পারেন ? পারি। কিন্তু তুমি কি জানো না, এই রাজ কর্মচারীট কে ? বলিয়া লোকটা হাসিল । এই হাসির মধ্যেই স্পষ্ট উত্তর ছিল । মা-শোয়ে ব্যগ্ৰ হইয়া তাহার হাতটা চাপিয়া ধরিয়া বলিল, তবে দিন একটি উপায় করিয়া । আজই । আমি একটা দিনও আর বিলম্ব করিতে চাহি 2} | পো-থিন ঘাড় নাড়িয়া কহিল বেশ, তাই । এই ঋণটা চিরদিন এত তুচ্ছ, এত অসম্ভব, এতই হাসির কথা ছিল যে, এসম্বন্ধে কেহ কখনো চিন্তা পৰ্যন্ত করে নাই । কিন্তু রাজ কর্মচারীর মুখের আশায় মা-শোয়ের সমস্ত দেহ একমুহূর্তে উত্তেজনায় উত্তপ্ত হইয়া উঠিল , সে দুই চক্ষু প্ৰদীপ্ত করিয়া সমস্ত ইতিহাস বিবৃত করিয়া কহিতে লাগিল, আমি কিছুই ছাড়িয়া দিব নাএকটা কড়ি পর্যন্ত না । জোক যেমন করিয়া রক্ত শুষিয়া লয়, ঠিক তেমনি করিয়া । আজই-এখনই হয় না ? এ বিষয়ে এই লোকটাকে অধিক বলা বাহুল্য । ইহা তাহার আশার অতীত । সে ভিতরের আনন্দ ও আগ্রহ কোনমতে সংবরণ করিয়া বলিল, রাজার আইন অন্ততঃ সাত দিনের সময় চায় । এ সময়টুকু কোনরূপে ধৈৰ্য ধরিয়া থাকিতেই হইবে । তাহার পরে যেমন করিয়া খুশী, যত খুশি রক্ত শুষিবেন, আমি আপত্তি করিব R সেই ভাল । কিন্তু এখন আপনি যান । এই বলিয়া সে এক প্রকার যেন ছুটিয়া পলাইল । এই দুর্বোধি মেয়েটির প্রতি লোকটির লোভের অবধি ছিল না ! তাই অনেক অবহেলা সে নিঃশব্দে পরিপাক করিত, আজিও করিল ; s