তীরিত [ sa } তীর্থ ভীয়র ( তীবর শঙ্কজ ) ধীবর, জেলে, বর্ণলঙ্কর জাতিবিশেষ। ইহারা মৎস্তাদি দ্বারা জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করে। [ তীবর দেখ। ] উীর (রা) তাঁর মছ। নাদির কুল। নদীর গর্ত হইতে সাৰ্দ্ধ শতহস্ত পৰ্য্যস্ত পরিমিত স্থানকে তীয় কহে । ভাদ্রমাসের কৃষ্ণাচতুর্দশী তিথিতে যে পৰ্য্যস্ত জলপ্লাবিত হয়, সেই পৰ্য্যন্ত • গর্ড, অর্থাৎ সেই স্থল হইতে ৫০ হাত পৰ্য্যস্ত তীর । “সাৰ্দ্ধহস্তশতং যাবৎ গর্ডতস্তীর মুচ্যতে । •ভাদ্রকৃষ্ণচতুৰ্দ্দপ্তাং যাবদাক্রমতে জলং। তাবদগৰ্ভং বিজানীয়াৎ তদদ্ভৰ্ত্তীরমুচ্যতে।” (প্রায়শ্চিত্ততত্ব ) পুরাণ মতে, গঙ্গাদি পুণ্যনদীসমূহের তীরে পুণ্য বা পাপ করিলে ত্বাহা চিরস্থায়ী হয়, এজষ্ঠ যত্নপূর্বক পুণ্যনদীসমূহের তীরে পাপকাৰ্য্য পরিহার করিবে এবং যথাশক্তি পুণ্যোপার্জনে যত্নবান হইবে । ( পুং ) ২ সীসক । ৩ বাণ । ৪ ত্রপু, টিন । • তীরগ্রহ (পুং ) দেশভেদ। *তারগ্রহাঃ শূরসেনাঃ ইজকাঃ কল্পকা; গুহাঃ।” (ভা ভীষ্ম ৯ অঃ) তীরগর ( তীরকর ) ১ তীর প্রস্তুতকারী । ২ এক শ্রেণীর মুসলমান। আহ্মদনগর জেলায় ইহাদের বাস। পূর্বে ইহার যুদ্ধের জন্য তার প্রস্তুত করিয়া দিত, এজন্তু তীরগর নাম হইয়ছে । এখন আর তারের অাদর নাই। সুতরাং ইহারাও জাতীয় ব্যবসায় পরিত্যাগ করিয়াছে। এখন ইহার চোবদার বা দাসের কার্য্য করিয়া জীবিক। নিৰ্ব্বাহ করে । তীরঘর ( দেশজ ) ১ তীর রাখিবার গৃহ । ২ হিন্দুরমণীগণের মধ্যে প্রথম ঋতু হইলে চারি দিন যে ঘরে আবদ্ধ থাকে, যে ঘরে কোন পুরুষ ঐ চারিদিন যাইতে পারে না, সেই ঘরকেও সাধারণে তীরঘর বলে । পুৰ্ব্বকালে চারিদিকে তীর পুতিয় তাহার মধ্যস্থলে ঋতুমতী রমণীকে রাখা হইত, তাহ। হইতেই তীরঘর নাম হইয়াছে। এখন ক একট বাথারি কাটিয়া তীর স্বরূপ ব্যবহৃত হয় । o তীরণ ( ক্লা) লতাভেদ, করঞ্জিকা । ( নির্ঘণ্ট,গ্ৰ' ) তীরন্দাজ ( পারসী ) শরনিক্ষেপনিপুণ ব্যক্তি, ধমুদ্ধয় । তীরভুক্তি (পুং ) দেশবিশেষ, ইহা বিদেহের নামান্তর। ইহার অপভ্রংশ তীরস্থত। [ ত্ৰিহত দেখ । ] তীররুহ (ত্রি ) তীরে রোহতি রুহ-ক বৃক্ষ । তীরস্থ ( ত্রি ) তীরে তিষ্ঠতি তীর-স্থ-ক । ১ তীরস্থিত। ২ মৃত্যুর পূৰ্ব্বে গঙ্গাতীয়ে নীত। চলিত কথায় ব্যবহৃত হয় “তীরস্থ করা হইয়াছে।” তীরাট (পুং ) লোগ্ৰ । তীয়াস্তুর ( ক্লী ) তীরন্ত অন্তরং ৬তৎ। অপর পার । তারিত (ত্রি ) তীর-ক্ত । কাৰ্য্যসমাপ্তি । VIII x. তীর (পুং ) ১ শিব, মহাদেব । “নমস্তেংভীৰু হস্তায় তীর ভীরু হরায় চ।” (হরিবল্লা ১৩৮ অঃ) ২ শিবস্তুতি । তীর্ণ (ত্রি) ভূক্ত। ১ উৰ্ত্তীর্ণ, পারগত। ২ অভিভূত। ৩ আপ্লুত । ৪ অতিক্রাপ্ত। “তীর্ণোহি তথা ভবতি হৃদয়স্ত গেহান।” ( শ্রীতি ) তীর্ণপদী (স্ত্রী) তীর্ণ পাদো মূলমন্তাঃ অস্ত্যেলোপঃ কুত্তপদ্যা উীঘূ । তালমুলী । তীর্ণ (স্ত্রী ) প্রতিষ্ঠাখ্য বৃত্তিবিশেষ, পিঙ্গলছপাশাস্ত্রোক্ত ষড়ক্ষর ছন্দবিশেষ, ইহার তৃতীয় ও ষষ্ঠ গুরু। লক্ষণ— “যস্মিন বৃত্তে কর্ণ: কৰ্ণ বেদৈবণৈঃ স৷ স্থাৎ তীর্ণ।” “গৃভে চেৎ কন্যেতি।” ( পিঙ্গলছ' ) তীর্থ (ল্পী) তরতি পাপাদিকং যম্মাৎ তৃথক (পাতৃ ভুদি বচৗতি। উ৭, ২৩)। ১ শাস্ত্র । ২ যজ্ঞ। ৩ ক্ষেত্র । ৪ উপায় । ৫ নারীরজঃ । ৬ অবতার, অবতরণ। ৭ ঋষিজুষ্ট জল, যে জল ঋষিরা সেবন করিয়া থাকেন । ৮ পাত্র । ৯ উপাধ্যায়, গুরু। ১০ মন্ত্রী । ১১ যোনি । ১২ দর্শন । ১৩ খট খাট । ১৪ বিপ্র । ১৫ আগম । ১৬ নিদান । ১৭ বহ্নি । ১৮ পুণ্যস্থানাদি । কাশীখণ্ডে তীর্থের বিধয় এইরূপ লিখিত আছে—তীর্থ ত্ৰিবিধ জঙ্গম, মানস ও স্থাবর । জগতে ব্ৰাহ্মণগণ জঙ্গম তীর্থ। ইহার পবিত্র স্বভাব এবং সব কামপ্রদ । ইহাদিগের বাক্যোদক দ্বারা মলিন লোক সকল বিশুদ্ধ হয় । ব্রাহ্মণদিগকে সেবা করিলে পাপ থাকে না এবং সকল কামনা সিদ্ধি হয় ।
- ব্রাহ্মণ জঙ্গমং তীৰ্থং নিৰ্ম্মলং সৰ্ব্বকামিকং ॥ যেষাং বাক্যোদকেনৈব গুন্ধ্যস্তি মলিনা: জনা: ॥” (কাশীথ-) মানসতীৰ্থ । সত্য, ক্ষমা, ইঞ্জিয়লিগ্রহ, দয়া, ঋজুতা, দান, দম, সস্তোষ, ব্রহ্মচৰ্য্য, প্রিয়বাদিতা, জ্ঞান, ধৈর্য্য ও তপস্ত, ইহার প্রত্যেকট মানসতীর্থ ; ইহার মধ্যেও মনের যে বিশুদ্ধিত তাহাই সকল তীর্থ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ! দেশ ভ্রমণ করিলে আত্মার উন্নতি বা বহুদৰ্শিতা লাভ হয়, এজন্যও তীর্থযাত্র হিন্দুগণ অতি পুণ্যদায়ক বলিয়া জ্ঞান করিতেন । তীর্থগমন করিলে মন বিশুদ্ধ হয়, সাধুদিগের দর্শনে আত্মাও পুত হয় । বে সকল মহাত্মার আশ্রমে গমন করা যার, তাহাদের বৃত্তান্ত স্মরণ করিলে জগতের অনিত্যতা স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়, কত শত লোক এই সকল আশ্রমে আসিরী জন্ম ও মৃত্যুর হাত হইতে উদ্ধার লাভ করিয়াছেন, এই সকল চিত্ত করিয়া মন এক উদার ভাব ধারণ করে, এবং সৰ্ব্বদা পাপ হইতে দূরে থাকিবার চেষ্ট হয়, এই নিমিত্ত
છે ૨ •