বাঙ্গালা সাহিত্য (বৈঞ্চব পদশাখা) [ ১০৫ ] বাঙ্গালা সাহিত্য (বৈষ্ণব পদশাখা) তিনি সে স্থান পরিত্যাগ করিয়া আগরডিহি দক্ষিণখণ্ডে আসিয়া বাস করেন। পরে ভ্রাতাদিগের সহিত বিচ্ছিন্ন হইয়া জেফিলাই গ্রামে যাইয়া জীবনের শেষদিন পর্য্যস্ত তথায় অতিবাহিত করিয়াছিলেন। জগদানন্দ বহুশাস্ত্রবেত্ত ও সিদ্ধপুরুষ ছিলেন। তিনি গম্ভীরার্থক নানাভাবপ্রকাশক শ্রবণমধুর পদসমুহ রচনা করিয়া বঙ্গভাষাকে গৌরবান্বিত করিয়াছেন। জগদানন্দ যে সকল সুমধুর পদাবলী রচনা করিয়াছেন, ঐ সকল পদ কি কবিত্বে কি ছন্দোলালিত্যে, কি রচনাচাতুর্য্যে কি শব্দবিদ্যাসে সকল বিষয়েই তাহার কৃতিত্ব-মাহাত্ম্য প্রকটিত হইয়াছে। কথিত আছে যে, তিনি স্বপ্নে গৌরাঙ্গমূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া ‘দামিনীদাম’ ও ‘গৌরকলেবর এই জুইটী পদ রচনা করেন । জগদানন অপূৰ্ব্ব পদাবলী রচনা করিয়া জগদানন্দ নাম সার্থক করিয়া গিয়াছেন । জগদানন্দ সম্বন্ধে নিম্নোক্ত প্রাচীন শ্লোকও প্রচলিত আছে—
- )लजैौछ*ानांनान्म छणभांनन्नलांद्रक: ।
গীতপদাঙ্কর খ্যাতে ভক্তশাস্ত্রবিশারদ: ॥” জগদাননের সিদ্ধপুরুষত্ব সম্বন্ধে দুইট প্রবাদ প্রচলিত আছে । জগদানন্দের গৃহে নিত্য অতিথিসেবা হইত। একদ পশ্চিমদেশীয় কএকট সাধু তাহার গৃহে অতিথি হন। প্তাহার কুপোদক ভিন্ন অন্ত কোন জলপান করিতেন না। জোফলাই গ্রামে কোথাও কূপ ছিল না। অতিথিসেবার জন্য জগদানন্দ মঙ্গপ্রভূর নাম স্মরণ করিয়া ভূমিতে একট লৌহদণ্ডের আঘাত করেন। তৎক্ষণাৎ সেইস্থলে এক কুপ উদ্ভূত হয়। এই কুপ কালক্রমে পুন্ধরণীরূপে পরিণত হইয়। অস্থাপি কোফলাই গ্রামে বিদ্যমান রহিয়াছে। উহা এক্ষণে গৌরাঙ্গসাগর’ নামে কথিত । জগদানন্দ মহাপ্রভুর প্রবর্তিত ধৰ্ম্মপ্রচারার্থ একদা পঞ্চকোট রাজ্যের অধীন আমলালাগ্রামে গমন করেন । এইস্থানে এক স্ববৃহৎ সরোবর ছিল। এই সরোবরের মধ্যস্থলে দ্বীপের ন্যায় একটা নিভৃত সুন্দর স্থান ছিল। জগদানন্দ প্রতিদিন কাঠপাদুকা পায় দিয়া সেই সরোবর পার হইয়া ঐ নিভৃত স্থানে সাধন-ভজন করিতেন । পঞ্চকোটরাজ এই গ্রামে আসিয়া প্তাহার এই অলৌকিক ব্যাপার অবগত হইয়া ভক্তিপূৰ্ব্বক ওঁাহাকে এই গ্রাম অর্পণ করেন। গ্রাম লাভের পর তিনি ঐ স্থানে গৌরাঙ্গমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। অস্থাপিও সেই মুঞ্জ তার বিরাজিত আছেন এবং উক্ত দেবমূৰ্ত্তির সেবাইতগণ এখনও সেই গ্রাম ভোগ করিতেছেন । এই পুষ্করণী अिङ्कङ्गवास्त्र नरम थाङ। जअज्ञानल आडिएउ बन्न श्हेप्णख् XVIII २१ অনেক ব্রাহ্মণসন্তান তাহার প্রভাবে মুগ্ধ হইয়া তাহার নিকট মন্ত্রগ্রহণ করেন । বৈষ্ণব-গ্রন্থে জগন্নাথ দাস নামে চারিজন মহাত্মার নাম পাওয়া যায়। তাহাদের মধ্যে উড়িষ্যাৰাসী জগন্নাথ দাসই পদকৰ্ত্ত। বৈষ্ণববনানা গ্রন্থে ইহার এইরূপ পরিচয় পাওয়া যায়--
- श्निः।। ७ज्झि। जश्झt५ १ॉज भृश्ांचन् ।
अजंब्राँथ यलग्नीय छांब्र क्ञ हघ्न } छ१ग्नाथ शाण बरण नत्रौठ viसिएछ । छाँग्न गैठ शनिद्र बैछनब्रlष cभांश्ऊि ॥" ইহাতে অনুমান করা যায় যে, ইনি জগন্নাথদেবের কীর্জনিয়া এবং সঙ্গীতে সিদ্ধ ছিলেন । জগন্নাথ ও বলরাম ইহার সঙ্গীত तनिग्न cभांझ्ऊि इद्देऊन । cशरर्दगैनमान ब८णन, हें शंद्र छब्रिज বড়ই মধুর ছিল । “अभद्रीष मान षtन्त भधूम कब्रिठ ।" { জগন্নাথ দাস শব্দ দেখ ] পদকৰ্ত্ত নয়নানন্দ দাসের নিবাস মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত কাদির নিকটবর্তী পাট-ভরতপুর গ্রাম । নয়নানন্দের আদি নাম ধ্রুবানন্দ । চৈতন্যচরিতামৃতে ইনি মিশ্রনয়ন নামে অভিহিত। নয়নানন্দ গদাধর পণ্ডিতের ভ্রাতুষ্পুত্র ও শিষ্য। বাণীনাথ মিশ্র গদাধরের কনিষ্ঠ ভ্রাতা, নয়নানন্দ এই বাণীনাথের পুত্র । ইহার বংশধরগণ অদ্যাপি উক্ত গ্রামে বাস করিতেছেন । গদাধর পণ্ডিত ভরতপুর গ্রামে এক গোপীনাথ বিগ্ৰহ প্রতিষ্ঠা করেন। গদাধর নীলাচলে গমন করিলে, এই বিগ্রহ সেবার ভার নয়নানদের উপর পড়ে। প্রেমবিলাসে তাহার ‘পুষ্পগোপাল' ও 'গোপাল দাস’ ও ধ্রুবাননী’ নামে তিন ভ্রাতার নাম পাওয়া যায় । अनंज्ञां५ छन । ময়নানন্দ দাস । “পণ্ডিত গোসাঞীর ভ্রাতু-পুত্র গ্রনয়নানন্দ । পুষ্পগোপাল গোপালদাস আয় এখানন্দ ॥” (প্রেমবিলাস ) মহাপ্ৰভু ও গদাধর নবদ্বীপে থাকিয়া যখন প্রেমভাবে মৃত্য ও কীৰ্ত্তন করিতেন, তখন নয়ন তাহা দেখিয়া তৎক্ষণাৎ পদ রচনা করিতেন। এইরূপে তিনি গৌরাঙ্গদেবের যখন যে লীলা দর্শন করিতেন, তখনই তাছা পদে প্রকাশ করিতেন। তাহার এই অদ্ভূত কবিত্বশক্তির লুণ দেখিয়া মহাপ্ৰভু ও গদাধর উভয়ই র্তাহাকে ভাল বালিতেন । পরে এই গদাধরই নয়নের নাম নয়নানন্দ রাখেন। এ সম্বন্ধে পদসমূত্রে লিখিত আছে— “পণ্ডিতের জোপান্ত্ৰে শ্ৰীময়ান মিশ্র । 嚇 বাল্যকালে প্ৰভু জীয়ে কঙ্গিলেন শিষ্য ।