বিক্ষেপ _. চিত্তে সৰগুণের উদয় হয়, তাছা হইলে তাহার দুঃখলেশ থাকে মা ! এইরূপ বিক্ষিপ্তাবস্থাও যোগের উপযোগী নহে, যোগভায্যে লিখিত আছে যে,— বিক্ষিথে চেতলি বিক্ষেপোপসর্জনীভূতঃ সমাধিনযোগপক্ষে বর্ততে” ( যোগভাষ্য ১২ ) ইহাতে ঘদিও সত্বগুণ কিছু প্রবল হয়, তথাচ রজস্তমো জষ্ঠ চিত্তবিক্ষেপ একেবারে তিরোহিত হয় না, অতএব এই অবস্থাতেও যোগ হয় না । এই বিষয়ে ভাষ্যকার বলিয়াছেন যে, চিত্ত ত্রিগুণাত্মক, ‘ রজোগুণের সমুদ্রেক বা আধিক্য হেতু তত্তদ বিষয়ে পরিচালিভ চিত্তের অত্যন্ত অস্থিরাবস্থা ৰ তম্বৰস্থ চিত্তের নাম ক্ষিপ্ত । তমোগুণের সমুদ্রেকজনিত নিদ্রাবস্থা বা তদবস্থ চিত্তের নাম মূঢ়। ক্ষিপ্ত ও মুঢ় অবস্থায় যোগের কোনরূপ সম্ভাবন নাই। ক্ষিপ্ত অবস্থা অপেক্ষ কিঞ্চিৎ বিশেষযুক্ত চিত্তের নাম বিক্ষিপ্ত। কিঞ্চিৎ বিশেষ কি না,-অত্যন্ত অস্থির চিত্তের কাদাচিৎক বা ক্ষণিক স্থিরতা। বিক্ষিপ্ত চিত্তের কদাচিৎ স্থিরত হয় বলিয়া তৎকালে ক্ষণিক বৃত্তি নিরোধ হইতে পারে বটে, কিন্তু ঐ বৃত্তি নিরোধ ক্লেশাদির পরিপন্থী বা নিবারক হয় না ; সুতরাং বিক্ষিপ্তাবস্থায় যোগ হয় না । ( পাতঞ্জলদর্শন ) [ পাতঞ্জল ও যোগশধ দেখ ] বিক্ষীর (পুং ) রক্তার্কবৃক্ষ, অর্কবৃক্ষ, আকনাগাছ। (রাজনি" ) বিক্ষুদ্র (ত্রি) অতি ক্ষুদ্র। বিক্ষেপ ( পুং ) বিক্ষিপ-ঘঞ, ১ প্রেরণ। ২ ত্যাগ । ৩ বিক্ষেপণ । ৪ কম্পন । “লাঙ্গুলবিক্ষেপবিসর্পিশোভৈরিতস্ততশ্চন্দ্ৰমরীচিগেটর;" ( কুমারস” ১।১৩) ৫ প্রসারণ। ৬ সঞ্চালন । ৭ ভয় । ৮ প্রেরণ । ৯ রাজস্ব । ১• সঙ্গীভ মতে, একটা সুয়ে আঘাত করিয়াই সেই সুর হইতে এক, দুই বা ততোহধিক স্বর ব্যবধানে বামহস্তের অঙ্গুলির ঘর্ষণ যোগে অবিচ্ছেদে উৰ্দ্ধগতিতে যাওয়ার নাম বিক্ষেপ। ১১ পাতঞ্জল-দর্শনের মতে চিত্তবিক্ষেপের কারণ ৯টা ; এই ৯টা কারণ দ্বারা চিত্ত বিক্ষিপ্ত হইয়া থাকে। rবাধিস্তানসংশয়প্রমাদালন্তবিরতিভ্রান্তিদর্শনালন্ধভূমিকানবস্থিতানি চিত্ত্ববিক্ষেপস্তেহস্তরায়াঃ”। ( পাতঞ্জলদ’ ১২৯) ব্যাধি, স্ত্যান, সংশয়, প্রমাদ, আলস্ত, অবিরতি, ভ্রান্তিদর্শন, অলককুমিকত্ব ও অনবস্থিতত্ব এই ৯টা চিত্তবিক্ষেপ এবং যোগের অস্তুরায় অর্থাৎ বিম্বস্বরূপ । যোগাভ্যাসকালে এই সকল চিত্তবিক্ষেপ উপস্থিত হইয়া থাকে, ইহাতে যোগ নষ্ট हट्रेब्रॉ यांझे । જી : थिंनन =T-TT এই সকল কারণে মনের একাগ্রত হয় না, বরং সৰ্ব্বদা চিত্তবিক্ষেপ হইয়া থাকে। শরীরগত বাতপিত্তাদি ধাতুর বৈষম্য হইলেই দেহের জরাদি রোগ হইয়া থাকে, ইহার নাম ব্যাধি। কোন কোন কারণে চিত্ত অকৰ্ম্মণ্য হইয় পড়ে, এইরূপ চিত্তের অকৰ্ম্মণ্যতাকেই স্ত্যান বলে। উভয়ালৰন জ্ঞানের নাম সংশয়। যোগ সাধন করিলে ফলসিদ্ধি হইবে কি না, এইরূপ অনিশ্চয় জ্ঞানকে সংশয় কহে । সমাধি সাধনে ঔদাসীন্সে * পাম প্রসাদ, অর্থাৎ সিদ্ধি বিষয়ে দৃঢ়তর অধ্যবসায়পুৰ্ব্বক্ষ ঔদাসীন্ত পরিত্যাগ না করিলে যোগসাধন হয় না, শরীর ও চিত্তের গুরুতাকে আলস্ত বলা যায় অর্থাৎ যে কারণে শরীর ও চিত্ত গুরু হইলে যোগসাধনে প্রবৃত্ত হয় না, তাহাই জালস্ত শা-বাচ্য। বিষয়ে দৃঢ় মনঃসংযোগকে অবিরতি, শুক্তিকাদিতে রজতত্ত্বাদির জ্ঞানের দ্যায় বিপৰ্য্যক্ষ জ্ঞানের নাম জাস্তিদর্শন। শুক্তিকায় রজত ভ্রান্তি হয়, তদ্রুপ অপরিণামদশদিগের বিষয়স্বথকে প্রকৃত স্থখ বলিয়া ভ্রান্তি হয়, কোন কারণবশতg সমাধির উপযুক্ত ভূমির অপ্রাপ্তির নাম অ্যান্ধভূমিকত্ব। উপযুক্ত স্থানের অলাভে কদাচ যোগ সাধন হয় না, স্থানে স্থান সমাধির বিঘ্ন ঘটিয়া থাকে। লন্ধ স্থানে মনের অপ্রতিষ্ঠার নাম অনবস্থিতত্ব, স্থানবিশেষে মানসিক অসন্তোষ ঘটিয়া থাকে। এই সকল চিত্তৰিক্ষেপ যোগের অন্তরায়স্বরূপ । ইহা থাকিলে যোগৃ হয় না। পুনঃ পুনঃ একতত্ত্বাভ্যাস দ্বারা এই সকল চিত্তবিক্ষেপ তিরোহিত হয়। ( পাতঞ্জলদর্শন ) বিক্ষেপণ (প্লী) বি-ক্ষিপ-লুই। বিক্ষেপ। বিক্ষেপলিপি (স্ত্রী) লিপিভেদ। [ বর্ণমালা দেখ। ] বিক্ষেপশক্তি (স্ত্রী) বিক্ষেপায় শক্তি: মায়াশক্তি। বেদাভ মতে অজ্ঞানের আবরণ ও বিক্ষেপ নামে দুইটা শক্তি আছে.। “অস্তাজ্ঞানস্তাবরণবিক্ষেপনামকং শক্তিদ্বয়মস্তি" (ৰোন্তসার ) { বেদান্ত দেখ ] বিক্ষেপ্ত (ত্রি) বিক্ষিপ-তৃচ, বিক্ষেপকারক। বিক্ষোভ (পুং ) বি-ক্ষুভ-ঘঞ, ১সঞ্চালন, আলোড়ন। ২বিদারণ। ৩ ক্ষোভ, দুঃখ ৷ ই সংঘটন । ৫ কম্প, চাঞ্চল্য। ৬ তত্ব। ৭ চিত্তোদভ্রান্তি । ৮ উদ্রেক। ৯ ঔদান্ত। ১• ঔৎকণ্ঠ । বিক্ষোভণ (পুং ক্লী) ১ফিারণ। ২ বিক্ষোভ। বিক্ষোভিন (ত্রি) কিছুম্ভ-ণিনি। বিক্ষোভকারক। - বিখ (ত্রি) বিখ্য নিপাতনাৎ ঘলোপ । গৰ্ত্তনাসিক চলিত খাদা । ( ভরতপ্তত দ্বিরূপকোষ) বিখণ্ডিন (ত্রি) বিখও-ণিনি। বিখণ্ডকারক, ই খণ্ডকারক, দ্বিধাকারক । विथनन् (नै ) भ्रूनन ।
পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৫০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।