পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৫৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যানগর t - । বিদ্যানগর করিলেন। তাহার ফলে বিজয়নগরের হিন্দুরাজ্য চিরদিনের মত বিধ্বস্ত হইয়া গেল। দৃপ্ততঃ তিরুমলই বিজয়নগর ধ্বংসের শেষ হেতু। ইহাতে স্বদেশ ও স্বজাতিদ্রোহী তিরুমলের ক্ষতি ভিন্ন কোনও লাভ হয় নাই। তিরুমল অতঃপর মুলতান দ্বার সবিশেষরূপে উৎপীড়িত হইয়াছিলেন । মিঃ সিউএলের মতে বেঙ্কটপতির পরে অর্থাৎ ১৭৯৩ খৃষ্টান্ধের পরে তিরুমল রাজার নাম দেখিতে পাওয়া যায়। ১৮১ খৃষ্টাব্দের ১২ই জুলাই তারিখে মিঃ মনরো গভমেন্টের নিকট এক পত্র লিথিয় আনগুওঁীর রাজাদের কিঞ্চিৎ বিবরণ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আনগুওঁীর বর্তমান রাজা (১৮০১ খৃষ্টাব্দে ) বিজয়নগরের রাজবংশের দৌহিত্র। ইহঁাদের পূর্বপুরুষগণ মুসলমানদের নিকট হইতে হরপণবল্লী ও চিত্তলফুর্গ জায়গীর স্বরূপ প্রাপ্ত হন। ১৮০০ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে ইহারা মোগলসম্রাটুকে ২,০০০ টাকা করস্বরূপ প্রদান করিতেন। ১৬৪৯ খৃষ্টাব্দে এই স্থানদ্বয় মরাঠাদিগের অধীন হওয়ায় আনগুঞ্জীর রাজাকে দশহাজার টাকা এবং একহাজার পদার্তী ও একশত অশ্বারোহী সৈন্ত মহারাষ্ট্রশাসনকর্তাদিগকে প্রদান করিতে হইত। ১৭৮৬ খৃষ্টাব্দে টিপুসুলতান এই জায়গীর বাজেয়াপ্ত করেন। রাজা তিরুমল নিজামের রাজ্যে পলায়ন করেন এবং ১৭৯১ খৃষ্টাৰ পৰ্য্যন্ত তিনি তথায় পলাতক অবস্থায় অবস্থান করেন। ১৭৯৯ খৃষ্টাব্দে তিনি আবার আন গুঞ্জী আক্রমণ করেন। ইনি ইংরাজদের বগুত৷ অস্বীকার করেন। কিন্তু অতঃপর তাহাকে বাধ্য হইয়া আনগুওঁীর শাসনভার নিজামের হন্তে অর্পণ করিতে হয়। এই সময় হইতে রাজা তিরুমল নিজামের বৃত্তিভোগী হন। তিরুমল ১৮০১ খৃঃ অঃ হইতে নিজামের বৃত্তিপ্রাপ্ত হইয়। ১৮২৪ খৃঃ মানবলীলা সংবরণ করেন। তিরমলের দুই পুত্র জন্মে। পিতার মৃত্যুর পূর্বেই জ্যেষ্ঠপুত্র একটী কস্তা রাখিয়া কালকবলে পতিত হন। কনিষ্ঠের নাম বীর বেঙ্কটপতি । दिशाश्द्र भूलहे इंशद्र शृङ्गा इग्न । हेनि »७० খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত জীবিত ছিলেন । তিরুমলের পৌত্রীর গর্ভে তিরুমলদেব নামক এক পুত্র এবং লক্ষ্মীদেবাক্ষা নামে এক কস্তা জন্মে। তিরুমল ১৮৬৬ খৃষ্টাৰে মানবলীলা সংবরণ করেন। তিরুমলদেবের তিন পুত্র ও এক কন্যা। প্রথম পুত্র বেঙ্কটরাম রায় ২য় পুত্র কৃষ্ণদেবরায়, পরে বেঙ্কমা নামী এক কন্য, তৎপরে নরসিংহ রাজার জন্ম হয়। নরসিংহ রাজার জন্মকাল ১৮৭০ খৃষ্টাক, ইহার এক বৎসর পরে তীয় সৰ্ব্বাগ্রজ ৪ তাহার এক বৎসর পরেই প্তাহার দ্বিতীয় সহোদর কৃষ্ণদেবরায়ের মৃত্যু হয় । বেঙ্কটরামরায় দুইটা কড়াসন্তান রাখিয়া পরলোকগামী হইয়াছেন। cनौछिछथई* ঙ্ক্যিামগরের সমৃদ্ধি । - #. প্রসন্নসলিলা তুঙ্গভদ্রা নদীর দক্ষিণতাঁট সেই মহাসমৃদ্ধিশালী হিন্দুরাজকীৰ্ত্তির চিহ্নস্বরূপ বিস্কানগরের ধ্বংসাবশেষ এখনও বিরাজমান রহিয়া বিষ্ঠানগরের প্রাচীন গৌরবমহিমা উদ্যোবিত করিতেছে । শ্ৰীমস্তিারণ্যমুনির সময় হইতেই বিষ্ঠানগরের বিপুল বৈভবের স্বত্রপাত হয়। সেই শুভ সময় হইত্তেই এই বিশালসাম্রাজ্যের পরিমাণ, অর্থগৌরব ও ब्राबरडर प्तिित्र नि প্রবদ্ধিত হইতে থাকে। বিষ্ঠানগরের বিশাল বৈভবের কথা শুনিয়া পারস্ত ও য়ুরোপ প্রভৃতি স্থানের বিদেশীয় পৰ্য্যটকগণ এই বিশাল নগর সন্দর্শনার্থ আগমন করেন। গগনভেদী গিরিমালার স্থায় স্বরক্ষিত মুদৃঢ় দ্বর্ণমালা, কবিকল্পিত ইন্দ্রপুরীবিনিন্দিত বৈভবশোভামী বিপুল সুরম্য রাজপ্রাসাদসমূহ, নগরবক্ষঃপ্রবাহিণী বহুল জলপ্রবাহিকা, শম্বঘণ্টা কাসর প্রভৃতি মুখরিত ঐবিগ্ৰহগণ-অচ্যুষিত দেবমন্দিরবৃন্দ, অগণ্য শিক্ষার্থসস্কুল বিদ্যালয়সমূহ, বিবিধ কারুকার্যখচিত প্রতিহারীমগুলাধিষ্ঠিত সুশোভিত বস্ত্রমণ্ডল, বিবিধদ্রব্য পরিপূর্ণ অগণ্য লোকমুখরিত পণ্যশালা, বিলাসিজনমুখসেব্য সুরম্য প্রমোদভবন, চিরহরিৎশোভাময় লতামওপ, বিবিধ কুসুমরাজিরাজিত মধুকরকরম্বিত মনোহর পুষ্পোপ্তান, কমলকুমুদকলোরপূর্ণ সরোবর, সৌধশ্রেণী মধ্যবৰ্ত্তী সরল ও সুদীর্ঘ রাজপথ, হস্তিশালী, অশ্বশালা, গ্রীষ্মাবাস, ফলভারে অবনত ফলোস্তান, মন্ত্ৰভবন, সভামগুপ, ধৰ্ম্মাধিকরণ প্রভৃতি বিবিধ নাগরীয় বৈভবে বিষ্ঠানগর কোনও সময়ে জগতের প্রধানতম নগরের শ্রেণীভূক্ত হইয়াছিল। কৃষ্ণদেব রায়ালুর শাসন সময়ে বিষ্ঠানগরের সমৃদ্ধি অধিকতর বন্ধিত হইয়াছিল। এই সময়ে বসবপত্তনমূ হইতে নাগনপুর পর্য্যন্ত বিষ্ঠানগর সহর বিস্তৃত হইয়াছিল। দৈর্ঘ্যে ১৪ মাইল এবং প্রস্থে দশ মাইল, এই একশত চল্লিশ বর্গমাইল পরিমিত বিপুল ভূখণ্ডের উপর এই মহাবৈভবময় নগর প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ইহার সর্বত্রই ঘনলোকসন্নিবাস পরিলক্ষিত হুইত । সুদূরদেশাগত ধণিক্‌মণ্ডলী, রাজপ্রতিনিধি ও রাজদূতগণ সৰ্ব্বদাই বিষ্ঠানগরে আসিয়া স্বীয় স্বীয় কাৰ্য পরিচালন করি তেন । বিদ্যানগরের শাসনকৰ্ত্তাদের সমরবিভাগ তৎকালে অত্যন্ত প্রকট লাভ করিয়াছিল। সেনাবিভাগে সহম সহস্ৰ লোক অনবরত নিযুক্ত থাকিত, সমরসম্ভার দ্রব্য সততই লক্ষিত করিয়া রাখা হইত, কুস্তী, কসরত ও বিবিধ প্রকার ধ্যায়ামচর্চার অতীব সুবন্দোবস্ত ছিল। বিদ্যানগরে এই সময়ে যে সকল প্রভূত বলবান পালোয়ান পরিলক্ষিত হইত, ভারতবধের আর কোথাও সেইরূপ পালোয়ান দৃষ্ট হইত না । আবার অপরদিকে বিবিধ বিলাসজনক কলাবিদ্যারও যথেষ্ট চর্চ