বিদ্যাপতি [ (t ૧ ] বিদ্যাপতি দেখন্থও পৃথিনীকে রাজা পৌরুস মাঝ পুং বলিও । সতৰলৈ গঙ্গামিলিতকলেবর দেবসিংহ স্বয়পুর চলিও ॥ এক দিল জবন সকল দল চলিও এক দিল সে জমরাজ চন্ধ। দুহএ দলটি মনোরথ পুরও গন্ধএ দীপ সিবসিংহ কর । স্থরতরূকুসুম ঘালি দিস পুরেও দুহি সুন্দর সাদ ধর । বীরছত্র দেখনকে কারণ স্বরগণ সোভৈ গগন ভন্ধ ॥ অরিন্তী অঞ্চন্তেটি মহামখ রাজস্থম অশ্বমেধ জহঁ । পণ্ডিত ঘর আচার বখানিঅ ঘাচকৰ্ক ঘরদান কহুঁ ৷ বিজাবই কইবয় এহু গাবএ মানত মন আনন্দ ভও। সিংহাসন সিবসিংহ বইট্রেী উছবৈ বিসরি গও।” উক্ত পদের তাৎপৰ্য্য এই, ২৯৩ লক্ষ্মণাব্দে অথবা ১৩২৭ শকাব্দে চৈত্রমাসে ষষ্ঠ তিথি জ্যৈষ্ঠা নক্ষত্রে বৃহস্পতিবারে দেবসিংহ গিয়াছেন । তিনি এইরূপে সুররাজের অৰ্দ্ধাসনভাগী হইলেও রাজ্য রাজশূন্ত হয় নাই। উহার পুত্র শিবসিংহ রাজা হইয়াছেন। শিবসিংহ নিজ বাহুবলে যবনদিগকে তৃণের মত তুচ্ছ ভাবিয়া শত্রুসৈন্ত পরাভূত করিলেন। যবনরাজ পলায়ন করিল। স্বর্গে কতই না দুভি বাজিল। শিবসিংহের মাথার উপর কতই ন পারিজাতকুমম পড়িতে লাগিল। বিদ্যাপতি কবি বলিতেছেন, সেই শিবসিংহ এখন তোমাদের রাজা হুইয়াছেন। তোমরা নিৰ্ভয়ে বাস কর । রাজা শিবসিংহ বিদ্যাপতিকে বিসপী বা বিস্ক্ষী গ্রাম দান করেন। এই গ্রাম বৰ্ত্তমান দরভাঙ্গা জেলার সীতামারী মহকুমার অধীন জারৈল পরগণার মধ্যে কমলানদীর তীরে অবস্থিত। এখানে কবির বংশধরেরা আর বাস করেন না। র্তাহার এখন চারিপুরুষ ধরির সেরাট নামক অপর একখানি *গ্রামে বাস করিতেছেন । বিসপী গ্রাম দান উপলক্ষে রাজা শিবসিংছ বিদ্যাপতিকে যে তাম্রশাসন দান করেন, তাহা সম্ভবতঃ নষ্ট হইয় যাওয়ায় পরবর্তীকালে আরও কএক থানি জাল তামশাসন প্রস্তুত হইয়াছে, এই তাম্রশাসলেও ২৯৩ লক্ষ্মণাবা দৃষ্ট হয়। অনেকে ঐ সকল তাম্রশাসনকে মূল বলিয়া ভ্রমে •ऊिङ झ्हेब्रहछ्म । শিবসিংহের পত্নী রাস্ত্রী লছিমা দেবীও বিদ্যাপতিকে যথেষ্ট উৎসাহ দিতেন, এ কারণ বিষ্ঠাপতির বহু পদে লছিমা দেবীর নাম পাওয়া যায়। তাহার পদাবলী হইতে আরও জানা যায় বে, তিনি গয়াসীন ও নসির শাহ নামে দুই জন মুসলমান নরপাত্তরও কৃপা লাভ করিয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত তিনি রাণী বিশাল দেবীর আদেশে শৈবসৰ্ব্বস্বহার’ ও ‘গঙ্গাবাক্যাবলী, তৎপরে মহারাজ কীৰ্ত্তিসিংহের আদেশে ‘কীৰ্ত্তিলতা’ এবং মহারাজ ভৈরবসিংহের রাজত্বকালে যুবরাজ রামভদ্র ( রূপনারায়ণের ) | | উৎসাহে "গাভক্তিতরঙ্গিণী রচনা করেন। বিস্কাপতির কোন কোন পদে তাহার ‘কবিকণ্ঠহার উপাধি পাওয়া যায়। পূৰ্ব্বোক্ত গ্রন্থ ব্যতীত বিদ্যাপতিরচিত পুরুষপরীক্ষ, দানবাক্যাবলী, বর্ষকৃত্য, বিভাগলার প্রভৃতি কএক খানি গ্রন্থ পাওয়া যায়। 擊 ২ এক জন বৈস্তক গ্রন্থকার, বংশীধরের পুত্র, ইনি ১৬৮২ খৃষ্টাব্দে বৈদ্যরহস্তপদ্ধতি রচনা করেন। ইছার রচিত চিকিৎসাজন নামে আর এক খানি গ্রন্থের সন্ধান পাওরা যায় । বিদ্যাপতি বিহলণ, কল্যাণের চালুক্যরাজ বিক্ৰমাদিত্যের সভাস্থ এক মহাকবি। বিক্রমাঙ্কদেবচরিত কাব্য ও চৌরপঞ্চশিকা রচনা করিয়া ইনি প্রসিদ্ধ হইয়াছেন। বিক্রমাঙ্কচরিতের ১৮শ সর্গে কবি যেরূপ আত্মপরিচয় দিয়া গিয়াছেন, তাহা হইতে জানিতে পারি, কাশ্মীরের প্রাচীন রাজধানী প্রবরপুরের দেড় ক্রোশ দূরে খোনমুখ নামক স্থানে কুশিক গোত্রে মধ্যদেশী ব্রাহ্মণবংশে কবি জন্ম গ্রহণ করেন। গোপীদিত্য নামে কোন নৃপতি যজ্ঞকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহাৰ্থ মধ্যদেশ হইতে তাহার পুৰ্ব্বপুরুষকে কাশ্মীরে আনয়ন করেন। র্তাহার প্রপিতামহ মুক্তিকলশ ও পিতামহ রাজকলশ উভয়েই অগ্নিহোত্রী ও বেদপাঠে বিশেব পারদর্শী ছিলেন। তাহার পিতা জ্যেষ্ঠ কলশও এক জন বৈয়াকরণ ছিলেন, তিনি মহাভাষ্যের টকা প্রণয়ন করেন। তাছার মাতার নাম নাগদেবী। তাহার* ইষ্টরাম নামে কনিষ্ঠ ভ্রাতা ছিলেন, উভয় ভ্রাতাই কবি ও পণ্ডিত বলিয়া প্রসিদ্ধি লাভ করেন। বিহ্বলণ কাশ্মীরেই লেখা পড়৷ শিখেন। তিনি প্রধানতঃ বেদচতুষ্টয়, মহাভাষ্যপর্য্যন্ত ব্যাকরণ ও অলঙ্কারশাস্ত্রে অভিজ্ঞতা লাভ করেন। লেখাপড়া শেষ করিয়া তিনি দেশভ্রমণে ও নানা হিন্দুরাজসভায় নিজ কবিত্ব ও বিদ্যার পরিচয় দিবার অভিপ্রায়ে বাহির হন। প্রথমে তিনি জন্মভূমি পরিত্যাগ করিয়া বরাবর যমুনাতীর দিয়া পবিত্র তীর্থ মথুরায় আসিয়া উপনীত হইলেন। তৎপরে উত্তরে গঙ্গাপার হইয়া কনোঞ্জে আগমন । করেন। কনোজে কএক দিন পথপর্যটনক্লেশ দূর করিয়া প্রয়াগ ও তৎপরে বনারসে আসিয়া পৌছিলেন । বনারস হইতে তিনি আর পূর্বমুথে না গিয়া আবার পশ্চিমাভিমুখে যাহ্র করেন। এই সময়ে ডাহলপতি কর্ণের সহিত র্তাহার পরিচর হয়। ডাহলপতি মহাবীর কর্ণ র্তাহাকে বিশেষ সমাদর করেন । কর্ণের সভায় কবি বহু দিন অতিবাহিত করিয়াছিলেন। এখানে তিনি কৰি গঙ্গাধরকে পরাজয় এবং রামচরিতাখ্যায়ক • চেদি বা বুল্লেখণ্ডের নাম ডাম্বল।
পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৫৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।