বিন্ধ্যবং পালমাড়, ভীমার অববাহিকাপ্রদেশ, মহানদী ও গোদাবরী বিভাগ, শোপপ্রবাহিত পাৰ্ব্বত্যভূমি এবং বুনেলখওবিভাগে নিম্নতর বিন্ধ্য শ্রেণীর পর্বতস্তরই অধিক । আবার শোণনৰ্ম্মদ-সীমায়, যুদেলখণ্ডের সীমান্তে, গঙ্গাতীরবর্তী পাৰ্ব্বত্যভূমে ও আরাবল্পী-সীমায় উৰ্দ্ধতন-বিন্ধ্য প্রস্তরস্তর যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান দেখা যায়। এই উপর-বিষ্কা-পৰ্ব্বতস্তরে হীরক পাওয়া খায়। হীরক লাভের চেষ্টায় অনেক স্থলেই খনি কাটা হইয়াছে এবং তদভ্যস্তরে পলিময় চটা ভিন্ন বড় একটা হীরকন্তর দৃষ্টিগোচর হয় নাই। কিন্তু রেবারাজ্যের অন্তর্গত ঐক্কপ চটার (Rewashales ) নিম্নে কতক পরিমাণে হীরক পাওয়া যায়। ঐ হীরক আহরণের জন্ত খনির অধিকারীরা বিশেষ পরিশ্রম ও অর্থ নষ্ট করিয়া থাকে। পাল্লারাজ্যের দক্ষিণে আপার রেব çTzott TH ( Upper Rewa Sandstone) offgfrşH ঢালুদেশে, অথবা পৰ্ব্বতকনারের মধ্যে মধ্যে এবং উক্ত বেলেচটার নিম্নস্তরে বা নিম্নতর বিন্ধ্য পৰ্ব্বতস্তরের অপেক্ষাকৃত উচ্চ পাৰ্ব্বত্যদেশে এইরূপ অনেকগুলি হীরক খনি কাটা হইয়াছে। গ্রীষ্ম ঋতু ভিন্ন, অপর কোন ঋতুতে সেখানে কাজ করিবার বিশেষ সুবিধা নাই। নৰ্ম্মলানদীর তীরে বিন্ধ্যপৰ্ব্বতাংশের সুপ্রসিদ্ধ মৰ্ম্মর পর্বত (Marble rocks)। ঐরুপ ধবল মৰ্ম্মর পর্বত ভারতের আর কোথাও দেখিতে পাওয়া যায় না । [ মৰ্ম্মর প্রস্তর দেখ। ] বিন্ধ্যচুলিক (পুং) জাতিভেদ। (ভারত ভীষ্মপৰ্ব্ব ) বিন্ধ্য চুলক পাঠান্তর। বিন্ধ্যমিলয় ( স্ত্রী) বিক্ষ্যে বিন্ধ্যপৰ্ব্বতে নিলয়ে অবস্থানং যন্তাঃ। বিন্ধ্যবাসিনী দুর্গ । বিন্ধ্যপর (পুং ) বিদ্যাধরবিশেষ। (কথাসরিৎসা” ৩৭২২ ) বিন্ধ্যপৰ্ব্বত (পুং) বিন্ধ নামক শৈল । আধুনিক ভূগোলে (Windhya Hills) নামে বর্ণিত। ইহা আৰ্য্যাবৰ্ত্ত বা হিন্দুস্থানকে দাক্ষিণাত্য হইতে পৃথক্ রাখিয়াছে। [ বিন্ধীগিরি দেখ ] বিষ্কাপালিক (পুং । জাতিবিশেষ । (বিষ্ণুপুরাণ ) বিষ্ক্যপাশ্ব, বিন্ধগোত্রস্থ দেশভাগ। এখানে বিষ্কাবাসিনী মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত। ( ভবিষ্য ব্ৰহ্মখ০ ৮১-২৪,৭৫ ) বিষ্ক্যপূৰ্ষিক (পুং ) জাতিবিশেষ । ( মৎস্ত ১১৩৪৮) বিষ্ক্যমূলক (পুং) জাতিবিশেষ। (বিষ্ণুপুরাণ) বিষ্কামুৰিক পাঠান্তর। বিন্ধ্যমৌলেয় (পুং ) জাতিবিশেষ । ( মার্ক"পু" ৫৭,৪৭) বিন্ধ্যবৎ (পুং ) দৈত্যভেদ। ইহার কন্যা কুন্তলার স্বামীর নাম পুন্ধরমালী। শুন্তু ইহাকে বধ করেন। (মার্কণ্ডেয়পু” ২১৩৪ ) [ ७9२ ] বিন্ধ্যবাসিনী বিন্ধ্যবর্ণন (পুং) মালবের পরমারবংশীয় রাজভেদ। ইনি পিতা অজয়বৰ্ম্মার মৃত্যুর পর সিংহাসন অধিকার করেন। বিন্ধ্যবাসিন (পুং ) বিন্ধে বস্তীতি বাণিনি। ১ বাড়িমুনি। (ত্রি ) ২ বিন্ধ্যপৰ্ব্বতৰালিমাত্র। ৩ একজন বৈয়াকরণ। রায়মুকুট ও চরিত্রসিংহ ই হার উল্লেখ করিয়াছেন। ৪ একজন বৈস্তক গ্ৰন্থরচয়িত। লৌহগ্রীপে ইহার নামোল্লেখ পাওয়া যায়। বিন্ধ্যবাসিনী, বিষ্কাচলস্থ দেবীমূর্তিভেদ। তগবতী স্বাক্ষায়ণী দক্ষালয়ে দেহত্যাগ করিলে মহাদেব সতীবিল্পহে উন্মুক্ত হুইয়া সেই সতীদেহ স্বন্ধে লইয়া সমস্ত পৃথিবীতে ঘুরিতে থাকেন। তখন তগবান বিষ্ণু তাহাকে শান্ত ও সংসার-রক্ষা করিবার জন্ত নিজ চক্রদ্বারা সতীদেহ খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিয়া ফেলেন। দেবীর সেই খণ্ড খণ্ড দেহ যেখানে যেখানে পতিত হয়, সেইখানেই এক একটী শক্তিপীঠের উৎপত্তি হইল। এইরূপে বিন্ধ্যাচলে দেবীর যে অংশ পতিত হয়, তাহ হইতেই বিন্ধ্যবাসিনী দেবীর উৎপত্তি । “চিত্ৰকূটে তথা সীতা বিন্ধ্যে বিদ্ধ্যাধিবাসিনী।” ( দেবীভাগবত ৭ম স্কন্ধ) বামনপুরাণ পাঠে জানা যায় যে, সহস্রাক্ষ তগবতী দুর্গ দেবীকে বিন্ধ্যপৰ্ব্বতে লইয়া গিয়া তথায় স্থাপিত করিয়াছিলেন, এবং তথায় দেবগণ কর্তৃক পূজিত হইয়া বিষ্কাবাসিনী নামে খ্যাত হইয়াছিলেন। "সহস্রাক্ষোহপি তাং গৃহ ৰিন্ধ্যং বেগাজ্জগামহ । তত্ৰ গত্বা তয়োবাচ তিষ্ঠস্বাত্র মহাবনে। পুজামান মুরৈনামা খ্যাত ত্বং বিদ্ধবাসিনী। তত্ৰ স্থাপ্য হবিদেবীং দত্বা সিংহঞ্চ বাহনম্। ভবামরারিহন্ত্রীতি যুক্ত স্বৰ্গমবাপ্পয়াৎ ॥” (বামনপু ৭.১ অ') আবার দেবীপুরাণে লিখিত আছে যে, ভগবতী দুর্গ বিন্ধ্যপৰ্ব্বতে দেবতাদিগের জন্য অবতীর্ণ হইয়া মহাযোদ্ধা অসুরদিগকে হনন করিয়াছিলেন এবং তদবধি তথায় অবস্থান করিতেছেন। “বিন্ধ্যেছবতীর্থ্য দেবীর্যং হুতো ঘোরো মহাভটঃ। অস্থাপি তত্র সাবাসা তেন সা বিদ্ধবাসিনী।” (দেবীপু ৪৫অ') হরিবংশ ১৭৭ অধ্যায়ে বিষ্কাচলনিবাসিনীদেবী ভগবতীর কথা আছে । - বহু পূৰ্ব্বকাল হইতেই এই শক্তিমূৰ্ত্তি পূজিত হইয়া আমিতেছেন। কেহ কেহ ইহাকে স্থানীয় শবর, কোল প্রভৃতি অসভ্যজাতির উপাস্ত দেবী বলিয়াই কীৰ্ত্তন করিয়া থাকেন। খৃষ্টীয় ৮ম শতাৰোঁর মধ্যভাগে সুপ্রসিদ্ধ কৰি বাকৃপতি র্তাহার গৌড়ৰধকাব্যে সেই ভীষণ ৰিহ্মবাসিনী মূর্তির বর্ণনা করিয়া
পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৬৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।