বিপৰ্য্যচ, [ ৬৩৮ ] বিপৰ্য্যয় _ দৃগুমান হয়, তাহা ক্ষণকালও অপরিণত না হইয়া অবস্থান করিতে পারে মা। পরিবর্তনশীল। ২ বৈপরীত্য-বিশিষ্ট । বিপরিধান (স্ত্রী) ১ বিশেষরূপে পরিধান, পরা। ২ পরি ধানের অভাব । বিপরিভ্রংশ (পুং ) বিপরিণাম। বিনাশ। বিপরিলেপি (পুং ) বিলোপ। ধ্বংস। বিপরিবৎসর (পুং ) পরিবৎসর। বিপরিবর্তন (ক্লী) বি-পরিবৃত-লুটি, বিশেষরূপ পরিবর্তন, ফিরাণ ঘুরাণ। বিপরীত (ত্রি) ৰি-পরি-ই-ক্ত। বিপৰ্য্যয়, চলিত উলটা। পর্যায়-প্রতিসব, প্রতিকূল,অবসব্য, অপটু, বিলোমক,প্রসব, পরাচীন, প্রতীপ। (শঙ্করত্ন” ) ২ ষোড়শ প্রকার রতিবন্ধের মধ্যে দশম রতিবন্ধ। ইহার লক্ষণ “পাদমেকমুরে কৃত্ব দ্বিতীয়ং কটসংস্থিতম। নারীষু রমতে কামী বিপরীতত্ত্ব বন্ধক: ॥” (রতিমঞ্জরী) “পাদমেকমুরৌ কৃত্ব দ্বিতীয়স্কন্ধসংস্থিতম্। কামিন্তাঃ কাময়েৎ কামী বন্ধঃ স্তাদ্বিপরীতকঃ "(স্বরদীপিক) বিপরীতত (স্ত্রী) বিপরীতস্ত ভাবঃ তল-টাপ। বিপরীতের ভাব বা ধৰ্ম্ম, বৈপরীত্য, উলটা, প্রতিকূল । বিপরীতপথ্য৷ ( স্ত্রী ) ছন্দোভেদ। বিপরীতবৎ (অব্য” ) বিপরীত-ইবার্থে-বতি । বিপরীতের দ্যায়, বিপরীততুল্য। (ত্রি) বিপরীত অস্ত্যর্থে-মতুপ মস্ত ব। ২ বিপরীতবিশিষ্ট। বিপরীতমল্ল তৈল ( ক্লী) ত্রণরোগাধিকারোক্ত তৈলৌষধবিশেষ, প্রস্তুতপ্রণালী-কটুতেল ৪ সের, কন্ধাৰ্থ সিদূর, কুড়, বিষ, হিঙ্গু, রসুন, চিতামুল, ঈশলাঙ্গলা প্রত্যেকে একতোলা । পাকের জল ১৬ সের। তৈলপাকেয় বিধানামুসারে এই তৈল পাক করিবে। এই তৈল দিলে নানাপ্রকার ক্ষত শুষ্ক হয়। (ভৈষজ্যরত্ন” ত্রণশোখরোগাধি” ) বিপরীত! ( স্ত্রী) বিপরীত-টাপ, কামুকী স্ত্রী। ( ধনঞ্জয় ) বিপরীতাখ্যানকী ( স্ত্রী ) ছন্দোভেদ। বিপরীতাদি (ত্রি ) বক্ত, ছন্দঃ সম্বন্ধীয়। বিপরীতান্ত (ত্রি ) প্রগাথ সম্বন্ধীয় ছন্মঃ । (ঋকৃপ্রতি ১৮৯) বিপরীতোত্তর (ত্রি ) বিপরীত: উত্তরে যত্র। বিপরীত উত্তর বিশিষ্ট, প্রতিকুল উত্তর। প্রগাথ সম্বন্ধীয় ছন্দঃ। বিপর্ণক (পুং ) বিশিষ্ট্রানি পর্ণানি যন্ত । ( শশ্বচঞ্জিকা ) ( ত্রি । ২ পর্ণরহিত, পত্রহীন । বিপৰ্য্যচ (জি) বি-পৱি-অঞ্চতি অঞ্চ-ক্ষিপ, বিপরীত, প্রতি ফল, উল্টা । ১ পলাশবৃক্ষ। “কাশ্চিবিপৰ্য্যগ্ৰন্থতবস্ত্রভূষণ বিশ্বত্য চৈকং যুগলেঘথাপরাঃ * ( ভাগবত ১০৪১৷২৫ ) "বিপৰ্য্যকৃ বিপরীতং ( স্বামী ) বিপৰ্য্যয় (পুং ) বি-পরিই এরচ” ইত্যচ। ১ ব্যতিক্রম, বৈপরীত্য, পৰ্য্যায়—ব্যাত্যাস, বিপৰ্য্যাস, ব্যত্যয়, বিপৰ্য্যায়। ( ভরত ) ২ পাতঞ্জল-দর্শনোক্ত চিত্তবৃত্তিভেদ, প্রমাণবিপৰ্য্যয়বিকল্পনিদ্র স্বতয়ঃ” (পাতঞ্জলদ’ ১৬ ) প্রমাণ, বিপৰ্য্যয়, বিকল্প, নিদ্রা ও স্থতি এই পাঁচটী চিত্তের বৃত্তি। ইহার লক্ষণ— “বিপৰ্য্যয়ে মিথ্যা জ্ঞানমতরূপপ্রতিষ্ঠং।” (পাতঞ্জলদ” ১৮) “অতক্রপগ্ৰতিষ্ঠং তদ্রুপে জ্ঞানপ্রতিভাসিরূপে ন প্রতিষ্ঠতে, নাবাধিতং বৰ্ত্ততে ইতি, মিথ্যাজ্ঞানং অতদ্বতি তদুপ্রকাল্পকং ভ্ৰমজ্ঞানং বিপৰ্য্যয়ঃ’ । বিপৰ্য্যয় মিথ্যাজ্ঞান, যে জ্ঞান বিজ্ঞাত বিষয়ে স্থির থাকে ন}, পরিণামে বাধিত হয়, সেই মিথ্যাজ্ঞানকে বিপৰ্য্যয় অর্থাৎ ভ্রম বলা যায়। এক বস্তুকে অন্তরূপে জানার নাম বিপৰ্য্যয় বা ভ্রমজ্ঞান। যেমন রজুতে সর্পজ্ঞান, শুক্তিতে রজতজ্ঞান। প্রথমে শুক্তি রজত প্রভৃতি ভ্ৰমজ্ঞান জন্মে, পরিশেষে এটী রজত নয় কিন্তু শুক্তি ( ঝিনুক ) এইরূপ যথার্থ জ্ঞান জন্মিলে পুৰ্ব্বজ্ঞান বাধিত হয়। প্রথমে হইয়াছে বলিয়া পুৰ্ব্ব ভ্রমজ্ঞান প্রবল এবং পরে হইয়াছে বলিয়া উত্তর বথার্থ জ্ঞান দুৰ্ব্বল, অতএব উত্তর জ্ঞান দ্বারা পূৰ্ব্বজ্ঞান বাধিত হইবে না, এরূপ আশঙ্কা করা উচিত নছে। পূৰ্ব্বাপর বলিয়া জ্ঞানের সবল-দুর্বল-ভাব হয় না। যে জ্ঞানের বিষয় বাধিত, তাহাকেই দুৰ্ব্বল, এবং যাহার বিবষ্ণু বাধিত নহে, তাহাকে প্রবল বলা যায়। সুতরাং অবাধিতবিষয় উত্তরজ্ঞান বাধিতবিষয় পুৰ্ব্বজ্ঞান হইতে প্রবল। যে স্থলে পুৰ্ব্বজ্ঞানকে অপেক্ষা করিয়া উত্তরঞ্জান জন্মে, সেখানে পূৰ্ব্বজ্ঞানের বাধা জন্মাইতে উত্তরজ্ঞানের সঙ্কোচ হইতে পারে। এস্থলে কেহ কাহারও অপেক্ষ রাখে না। স্বতন্ত্রভাবে আপন আপন কারণ হইতে জ্ঞানদ্বয় জন্মিয় থাকে , অতএব সত্যজ্ঞান ভ্রমজ্ঞানের বাধা করিতে পারে। এটা ইহা কি না ? ইত্যাদি সংশয়জ্ঞানও বিপর্যায়ের অস্তগীত। বিপৰ্য্যয় ও সংশয়ের প্রভেদ এই যে, বিপৰ্য্যয় স্থলে বিচার করিয়া পদার্থের অন্যথাভাব প্রতীতি হয়, জ্ঞান কালে হর না। সংশয়স্থলে জ্ঞানকালেই পদার্থের অস্থিরতা প্রতীতি হয়, অর্থাৎ সংশয়স্থলে পদার্থসকল এই এইরূপই’ এরূপ নিশ্চয় হয় না । ভ্রমস্থলে বিপরীতরূপে একটা নিশ্চয় হইয়া যায়। উত্তরকালে “উহা ঐক্লপ নহে? এইরূপে বাধিত হয়। ভাষ্যে লিখিত আছে যে,“স কন্মাৎ ন প্রমাণং যুতঃ প্রমাণেন বাধতে ভূভার্থবিষয়াং প্রমাগন্ত,অত্র প্রমাণেন বাধনমগ্রামাণ্যং
পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৬৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।