«η αφ"! ! e L X 28 J লক্ষাসংহ । আসিতেছে, যাহ নিত্য, তাহ আজানিক এবং ষে সক্ষেত অনাদিকাল চলিয়া আসিতেছে না, কালবিশেষে প্রবর্তিত হইয়াছে, তাহা আধুনিক । আজানিক সম্বেতের অপর নাম শক্তি। আধুনিক সঙ্কেতের অপর নাম পরিভাষা। গো গবাদি সঙ্কেত আজানিক, এবং চৈত্র মৈত্রাদি সক্ষেত আধুনিক । আজালিক সঙ্কেত শক্তি অনুসারে যে শৰ যে অর্থ প্রতিপাদন করে, অনাদিকাল হইতে সেই শব্দের সেই অর্থে প্রয়োগ হইয়া থাকে । আধুনিক সক্ষেত বা পরিভাষা অনুসারে যে শব্দ যে অর্থ প্রতিপাদন করে, সে অর্থে সে শব্দের অনাদিকাল হইতে প্রয়োগ হয় না। কেননা আধুনিক সঙ্কেত বা পরিভাব ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছানুসারে প্রবর্তিত হইয়া থাকে। পরিভাষা স্বষ্টি হইবার পূৰ্ব্বে পারিভাষিক অর্থবোধ একান্ত অসম্ভব। ● [ রূঢ় শক দেখ । ] এইরূপ রূঢ়শব্দ সিদ্ধির জন্ত লক্ষণা স্বীকৃত হইয়াছে। গোশব্দ ব্যুৎপত্তিলভ্য অর্থ গমনশীল মনুষ্যাদিকে না বুঝাইয়া গোপণ্ড এবং কুশলশকে কুশগ্রাহী অর্থ না বুঝাইয়া দক্ষ এইরূপ অর্থ প্রতিপাদন করিতেছে । এইরূপ যে যে স্থলে রূঢ়শব্দের সিদ্ধি হইবে, তথায় লক্ষণ হইবে। প্রয়োজন সিদ্ধির বিষয় পুৰ্ব্বে অভিহিত হইয়াছে। সাধারণ ভাবে লক্ষণার লক্ষণ বলা হইল। এই লক্ষণ আবার নানা প্রকার। সাহিত্যদর্পণ, কাব্যপ্রকাশ ও সরস্বতীকণ্ঠভিরণ প্রভৃতিতে ইহার বিষয় বিশেষভাবে পর্য্যালোচিত হইয়াছে। উপাদান লক্ষণা ও লক্ষণলক্ষণ প্রভৃতি ভেদেও এই লক্ষণ অনেক প্রকার । - “মুখ্যার্থন্তেতরাক্ষেপো বাক্যার্থেইস্বয়সিদ্ধয়ে। স্তাদাত্মনোহপুপিাদানাদেষোপাদানলক্ষণ ॥” (সাহিত্যদ” ২।১৪) বাক্যার্থে অস্বয়বোধের জন্য অর্থাৎ বাক্যের অর্থবোধক অস্বয়সিদ্ধির জন্ত যে স্থলে মুখ্যার্থের ইতর অর্থের গ্রহণ হয়,সেই স্থলেই ইহা মুখ্যার্থের উপাদান হেতু হইয়াছে, এইজন্ত ইহাকে উপাদানলক্ষণ বলা হয় । 常 “অৰ্পণং স্বস্ত বাক্যার্থে পরস্তাম্বয়সিদ্ধয়ে । উপলক্ষণহেতুত্বাদেষ লক্ষণলক্ষণ ॥” (সাহিত্যদ• ২১৭ ) যে স্থলে পরের (ভিন্নার্থের ) অন্বয়সিদ্ধির জন্ত মুখ্যার্থ নিজের অর্পণ অর্থাৎ স্বাৰ্থপরিত্যাগ করে, তথায় এই লক্ষণা হয়। এই লক্ষণা উপলক্ষণ হেতুই হইয়া থাকে। এই জন্ত ইহার নাম লক্ষণলক্ষণ । এই লক্ষণ সারোপ ও অধ্যবসান ভেদে দ্বিবিধ। “আরোপাধ্যবসানাভ্যাং প্রত্যেকং তা অপি দ্বিধা।” g ( नांश्ठिान० २॥०७) এইরূপে লক্ষণ সকল চারিংশভেদযুক্ত। “তদেবং লক্ষণ ভোশ্চত্বারিংশষ্মতা বুধৈঃ ”(সাহিত্যক্ষ ২২১) এই সকল লক্ষণার ভেম্ব শব্দ ও শব্দার্থ লইয়া আলোচিত হইয়াছে । [ শব্দ ও শাশক্তি দেখ ] লক্ষণ (লখ না), যুক্তপ্রদেশের এতাবাজেলার অর্থালা অহসীলের অন্তর্গত একটা নগর । অক্ষা” ২৯-৩৮৫৫ উঃ এবং দ্রাখি" ৭৯১১৩৯′ পূঃ । নগরমধ্যে রাজা যশোবন্ত সিংহ c, i. &’র প্রাসাদ বিদ্যমান আছে। উক্ত মহাত্মা নগরে একটা ধৰ্ম্মমেলার প্রতিষ্ঠা করেন। তাহার আগ্নে এখানে কালিকান্ধীর মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় । নগরের পরিচ্ছন্নত রক্ষার্থ কয় আদায়ের ব্যবস্থা আছে । এখানে স্থত ও তুলার বিস্তৃত কারবার চলিয়া থাকে। এখানে পূৰ্ব্বে তহলীলী কাছারী ছিল। ১৮৬৩ খৃষ্টাৰে ভৰ্থানায় তহসীলি স্থানান্তরিত হওয়ায়, পূর্বের কাছারী গৃহে একটী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। লক্ষণাদোন, মধ্যপ্রদেশের সিওনীজেলার একটা তহসীল । ভূপরিমাণ ১৫৮৩ বর্গমাইল। ২ উক্ত তহসীলের অন্তর্গত একটা গওগ্রাম । লক্ষণালোঁহ (ক্লী) ঔষধবিশেষ। প্রস্তুতপ্রণালী--লক্ষণামূল, হস্তিকর্ণপলাশমূল, ত্রিকটু, ত্রিফল, বিড়ঙ্গ, চিতামুল, মুতী, অশ্বগন্ধামুল প্রত্যেকে ১ তোলা, লৌহ ১২ তোলা, এই সকল উত্তমরূপে মৰ্দ্দন করিয়া এই ঔষধ প্রস্তুত করিবে । অমুপান ঘূত ও মধু। এই ঔষধসেবনের পর চিনির সহিত দুগ্ধ পান বিধেয় । এই ঔষধবিশেষ বলকর । এই ঔষধসেবনে স্ত্রীদিগের কস্তাপ্রসব নিবৃত্ত হইয়া পুত্র প্রসব হয় । বাজীকরণাধিকারে ইহা একটা উত্তম ঔষধ । ( ভৈষজ্যরত্না” বাজীকরণাধি” ) লক্ষণিন (ত্রি) ১ লক্ষণ বা চিহ্নযুক্ত। ২ লক্ষণজ্ঞ। লক্ষণীয় (ত্রি ) লক্ষণ দ্বারা জ্ঞাতব্য বা বোধব্য । লক্ষণেরু (ত্রি ) উরুদেশে চিহ্ন বা লক্ষণযুক্ত। (পা ৪।১।৭০ ) লক্ষণ্য (ত্রি) ১ লক্ষণযুক্ত। ২ লক্ষণাৰ্ছ । ৩ দৈবশক্তিসম্পন্ন আদর্শ পুরুষ। ( দিব্যা” ৪৭৪৷২৭ ) লক্ষদত্ত (পুং ) রাজভেদ। (কথাসরিৎসা’ ৩৮) লক্ষপুর ( ক্লী ) প্রাচীন নগরভেদ । ( ঐ ৫৩৯ ) লক্ষসিংহ (রাণী ), মিবারের এক জন রাণী। বীরবর হামিরের পৌত্র ও ক্ষেত্রসিংহের পুত্র। তিনি আম্মানিক ১৩৮৩ খৃষ্টাব্দে পিতৃসিংহাসনে সমারূঢ় হন । রাজ্যশাসন ভার গ্রহণ করিয়াই তিনি পিতৃপুরুষদিগের পদাঙ্কামুসরণ করিয়াই বিজয়ুবিলাসমুখ উপভোগ করিবার নিমিত্ত প্রথমে মারবার রাজ্যের উপর দৃষ্ট নিক্ষেপ করিলেন । তিনি বিজয়গড়ের পাৰ্ব্বত্য দুর্গ অধিকারপূৰ্ব্বক ধ্বংস করিয়া ফেলিলেন এবং স্বীয় বিজয়কীৰ্ত্তির অক্ষয়স্তম্ভ স্বরূপ তদুপরি বেদনোর স্থৰ্গ নিৰ্ম্মাণ করাইলেন । এই সময়ে তাহার অধিকৃত ভীল প্রদেশের অন্তর্গত জাবুর নামক স্থানে
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।